বড় হারে টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ম্যাচটার নিয়তি ভারতের ইনিংস শেষেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ২৯৭ রান হজমের পর টি-টোয়েন্টিতে জেতার কথা কল্পনাও করা কঠিন, বিশেষত দলের শক্তি-সামর্থ্য বিচারে তা অসম্ভবের চেয়েও বেশি কিছুই ছিল। বড় হারই অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশের জন্য। ২০তম ওভারের শেষ বলটা হওয়ার পর হারের ব্যবধানটা জানা গেল, বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে মোটে ১৬৪ রান, ম্যাচটা হেরেছে ১৩৩ রানে। 

ইচ্ছে হলেই যেন বল গ্যালারিতে পাঠাচ্ছে ভারত। এমন ম্যাচে বাংলাদেশ শুধু অসহায় ভঙ্গিতে চেয়ে দেখল ভারতের রান আনন্দ।

বিজ্ঞাপন

ওপেনার স্যাঞ্জু স্যামসন আগের দুই ম্যাচে স্কোর তেমন বড় করতে পারেননি। সেই দুঃখ ভুললেন সিরিজের শেষ এবং তৃতীয় ম্যাচে। মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ভাসলেন এই মারকুটো ব্যাটার। ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় হাফসেঞ্চুরি পান তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের কোনো ব্যাটারের টি-টোয়েন্টিতে এটি দ্রততম হাফসেঞ্চুরি।

একদিনে স্যামসন, অন্যপ্রান্তে সূর্যকুমার। কে কার চেয়ে বেশি শট খেলবেন, কার স্ট্রাইকরেট বেশি থাকবে- যেন সেই প্রতিযোগিতায় মেতে উঠলেন দুজনে। মাত্র ৪৪ বলে এই জুটিতে ১০০ রান যোগ হলো। সূর্যকুমার মাত্র ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ভাসেন। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি পান স্যামসন। টি- টোয়েন্টিতে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এ দুজনে যোগ করেন রেকর্ড ১৭৩ রান। টি- টোয়েন্টিতে যে কোনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যে কোনো জুটিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

শুরুর ১০ ওভারে ভারতের স্কোর গিয়ে পৌছাল ১৫২ রানে। তখনই বোঝা যায় এই ম্যাচে আরো অনেক বড় কিছু অপেক্ষা করছে। সেটাই তারা করে দেখাল। টি- টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২৯৭ রানের নতুন রেকর্ড গড়ল ভারত। আগেরটা ছিল ৫ উইকেটে ২৬০ রান, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।

ভারতের ইনিংসের পর বাংলাদেশ শুরুতেই পারভেজ ইমনের উইকেট খোয়ায়। এরপরও লিটন দাসের ব্যাটে চড়ে পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ তুলে ফেলে ৫৯ রান। পাওয়ারপ্লে শেষে তার আর তাওহীদ হৃদয়ের জুটি জমে গিয়েছিল যখন, তখন ২০০ ছোঁয়ার একটা সম্ভাবনা জেগে উঠেছিল। তবে লিটনের ৪২ রানে বিদায়ের পর নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন তাওহীদ। ফিফটি পেয়ে ৪২ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেও তিনি দলকে নিয়ে যেতে পেরেছেন স্রেফ ১৬৪ পর্যন্ত। 

ম্যাচটা মাহমুদউল্লাহর শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল, সে ম্যাচে বল হাতে একটা সাফল্য পেয়েছেন তিনি। আউট করেছেন সূর্যকুমারকে। এরপর ব্যাট হাতে করতে পেরেছেন মোটে ৯ বলে ৮। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে তার সঙ্গী হয় বিশাল ব্যবধানের হার।