বাংলাদেশ কোচ সিমন্সের দুই চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ দল যখন পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজের জন্য সফরে ছিল তখনই বিসিবি নতুন কোচের জন্য চারধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। সেই চেষ্টায় ফিল সিমন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিসিবি। পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দল দুটি টেস্ট ম্যাচই জিতে।
বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ এবং বাংলাদেশের কোচ হতে নিজের আগ্রহ প্রসঙ্গে ফিল সিমন্স জানান,‘ পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ যখন ২-০ তে টেস্ট সিরিজ জেতে তখনই আমার আগ্রহের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। বিশেষ করে সেই সিরিজে তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড়দের দক্ষতা, প্রতিভা ও সক্ষমতা দেখে বাংলাদেশ নিয়ে আমারও আগ্রহের মাত্রা বেড়ে যায়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে তরুণ খেলোয়াড়রা পরিস্থিতি দারুণভাবে সামাল দেয়।’
পাকিস্তান সফর শেষে বাংলাদেশ দল ভারত সফরে যায়। সেই সফরের ফল আবার পুরো উল্টো। দুটো টেস্ট ম্যাচই হারে বাংলাদেশ প্রতিরোধ ছাড়াই। টি- টোয়েন্টি সিরিজের হারের ধরণ আরো বাজে। একতরফা ভঙ্গিতে তিনটি টি- টোয়েন্টিই জেতে ভারত। দলের সেই ব্যর্থতা প্রসঙ্গে ফিল সিমন্স বলেন, ‘টি- টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ওখানে ভালো করতে পারেনি। তবে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ সেই সিরিজ খেলেছে বিশ্ব সেরা টি- টোয়েন্টি দলের বিপক্ষে।’
বাংলাদেশের কোচের পদের চাকরি নিতে যে দুটি বিষয় সিমন্সকে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী করে তুলে তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, প্রথমত এখানকার তরুণ খেলোয়াড়দের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জটা আমাকে আগ্রহী করেছে। দ্বিতীয়ত, টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের দায়িত্বও আমি পাচ্ছি। এই দুটো চ্যালেঞ্জ যখন সামনে আসে তখন বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব নিতে হ্যাঁ বলাটা আমার জন্য আর কঠিন কিছু ছিল না।’
নতুন কোচ ফিল সিমন্স আত্মবিশ্বাসী যে এই সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর একটা ভালো সুযোগ আছে বাংলাদেশ দলের সামনে। টেস্টে অবশ্য এখনো দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা পেছনের দশ বছরে উপমহাদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই দুর্বল পরিসংখ্যান জানলেও বাংলাদেশ এই সিরিজে এই দলকে মোটেও হালকা মেজাজে নিচ্ছে না।