৮০ ওভার শেষে কেন নতুন বল নেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা?
বৃষ্টি বাধায় খেলা বন্ধ থাকলো ৬২ মিনিটের মতো। বৃষ্টি থামতে, মাঠ শুকিয়ে খেলা শুরু হলো দুপুর ৩টায়। কিন্তু সেই শুরু টিকলো মাত্র ৫ ওভার! নতুন বিপদ হলো আলোর স্বল্পতা। মাঠের চারধারের ফ্লাডলাইট জ্বালানো হলো। কিন্তু তারপরও আম্পায়ার লাইটমিটার বের করে জানালেন, এই আলো যথেস্ট না। তবে এই আলোতেও খেলা সম্ভব, শর্ত হলো বোলিং করতে হবে শুধু স্পিন। পেস বোলিং করা যাবে না। এই আলোতে পেস বোলিং ব্যাটারদের বল দেখতে সমস্যা তৈরি করবে। দক্ষিণ আফ্রিকা এই শর্তে রাজি হলো না। আম্পায়ার তখন খেলা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান তখন ৮৫ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩। ৮১ রানের লিড বাংলাদেশের।
খেলার ৮০ ওভার হয়ে গেলেও সাধারণত বোলিং দল নতুন বলের দাবিদার হয়। দক্ষিণ আফ্রিকাও তাই হলো। কিন্তু তারপরও তারা নতুন বল নিলো না। কারণ নতুন বলেও এই স্বল্প আলোতে পেস বোলিং করার অধিকার নেই। করতে হবে শুধুমাত্র স্পিন। ক্রিকেটের নিয়ম জানাচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে পুরানো বলে ১১০ ওভার পর্যন্ত বোলিং দল বল করতে পারবে। কিন্তু ১১০ ওভারের পর পুরানো বলে আর বোলিং করা যাবে না। তখন নতুন বল নিতেই হবে। তখনো যদি আলোর স্বল্পতা থাকে সেক্ষেত্রে সেই নতুন বলেও শুধু স্পিন করতে হবে, পেস বোলিংয়ের অধিকার নেই। এমন পরিস্থিতিতে এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এউডউন মার্করাম আম্পায়ারদের জানান, তারা শুধু স্পিন করতে চান না। তখন বাধ্য হয়ে আম্পায়ার নিয়মের ঘেরাটোপে পড়ে খেলা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন।
৮০ থেকে ৮৫ এই ছয় ওভার পুরানো বলে স্পিন করেও দক্ষিণ আফ্রিকা তেমন সুবিধাজনক কিছু করতে পারছিল না। নতুন বল নিলেও তাতে স্পিন ছাড়া উপায় নেই। বাংলাদেশের দুই ব্যাটার স্পিন আবার ভালো ভাবেই সামাল দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা স্পিন বোলিং চালিয়ে গেলে বাংলাদেশের ব্যাটিং ক্রমশ আরো নিরাপদ অবস্থানে পৌছে যেতে পারে, তাই মার্করাম তার অপরাগতা জানান আম্পায়ারদের।
আম্পায়াররা সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেলা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন।