৩ গোলে এগিয়ে গিয়েও জয় হাতছাড়া সিটির
‘একটা জয় আর কতদূর!’ – পেপ গার্দিওলা প্রশ্ন করতেই পারেন নিজেকে। একটা জয়ের জন্য মরিয়া এতটা ছিলেন না আর কখনও, টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে এই ম্যাচে পা রেখেছিল তার দল ম্যানচেস্টার সিটি।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ফেইনুর্দকে পেয়ে ৩ গোল করে দলটা সে খরা কাটানোর পথেই ছিল। এরপরই ঘটল সে অঘটনটা। একটি-দুটি করে ৩ গোল হজম করে বসল দলটা। তাতে টানা ষষ্ঠ ম্যাচে জয় হাতছাড়াই রইল সিটির।
নিজেদের মাঠ এতিহাদে গত রাতে সিটি সমর্থকেরা দু’রকমের অনুভূতির মধ্য দিয়ে গেছেন, তা বলাই বাহুল্য। তবে দুটো অনুভূতিই একেবারে তাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। গোল যখন হয়েছে, ধাতস্থ হয়ে বসার আগেই হয়েছে; নিজেদের জালে জড়ানোর বেলাতেও ঠিক সে রকমই হলো। সিটির সবগুলো গোল হয়েছে ৯ মিনিটের এদিক ওদিকে, হজমও করেছে খুবই কম সময়ে, ১৪ মিনিটে।
সিটির সব গোলের শুরুটা হয় আর্লিং হালান্ডের পা থেকে। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল পায় স্বাগতিকরা। বিরতি থেকে ফিরে ইলকায় গুন্দোয়ান গোল করলেন। তার তিন মিনিট বাদে হালান্ড গোল করলেন আরও একবার।
সিটির পতনের শুরুটা হয় ৭৫ মিনিটে। আনিস হাজ-মুসার গোলে ম্যাচে ফেরার টিকিট কাটে ফেইনুর্দ। সান্তিয়াগো হিমিনেজের ৮২ মিনিটের গোলটা যখন এল, সিটির চোখেমুখে তখন শঙ্কা টের পাওয়া যাচ্ছিল। ৯০ মিনিটে সে শঙ্কাটা সত্যি করে দেন ডেভিড হ্যাঙ্কো। তার গোলেই জয়টা হাতছাড়া হয়ে যায় সিটির।
তার ফলে বেশ কিছু বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছে সিটি আর গার্দিওলা। স্প্যানিশ এই কোচ তার কোচিং ক্যারিয়ারের ৯৪২ ম্যাচে কখনও ৩ গোল করে জয়হীন থাকেননি, যা হয়ে গেল গত রাতে।
আর সিটি এই শতাব্দিতে প্রথমবারের মতো টানা ছয় ম্যাচে জয়বঞ্চিত রইল। শেষবার এমন রেকর্ড দলটা দেখেছিল ১৯৬৩ সালে। সেবার দলটা ফুটবল লিগ থেকে অবনমিতই হয়ে গিয়েছিল।
তা হবে কি না, সে অনেক পরের বিষয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সিটির অবস্থা বেশ বেগতিক। টানা দুই ম্যাচে জয়বঞ্চিত দলটা। তাতে তারা নেমে গেছে ১৫তম স্থানে।