ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ‘সুন্দর’ ম্যাজিক
পুনের উইকেট বেশ ভালোভাবেই ‘পড়তে’ পেরেছিল নিউজিল্যান্ড। স্পিনাররাই এখানে রাজত্ব করবেন তা অনুমান করে টস জিতে আগেভাগে এই উইকেটে তারা ব্যাটিং বেছে নেয়। তবে একটা গোটা দিনও ঠিক পারেনি নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। গুটিয়ে যায় তারা ২৫৯ রানে। পুনের এই উইকেট যে স্পিনস্বর্গ সেই প্রমান তো স্কোরবোর্ডই দিচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডের ১০ উইকেটের সবগুলো শিকার করলেন ভারতের দুই স্পিনার। ওয়াশিংটন সুন্দর ক্যারিয়ার সেরা ৫৯ রানে ৭ উইকেট পেলেন। বাকি ৩ উইকেট রবিচন্দ্র অশ্বিনের নামের পাশে যোগ হলো। প্রথমদিনে ৭৯.১ ওভারের মধ্যে ভারতের দুই পেসার জাসপ্রিত বুমরা ও আকাশ দ্বীপ দুজনে মিলে করলেন মাত্র ১৪ ওভার।
শেষ বিকেলের আলোয় ব্যাটিং করতে নেমে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা শূন্য রানে বিদায় নিলেন। দিনটা শেষ করল ভারত ১ উইকেটে ১৬ রান তুলে।
পুনের স্পিন সহায়ক উইকেটে শুধুমাত্র ডিফেন্স করলে টিকে থাকা যাবে না। এটা জেনেই নিউজিল্যান্ড রক্ষনের সঙ্গে আক্রমণের মিশেল-এই কৌশলে ব্যাটিং করলো। টপঅর্ডারে ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রাবিন্দ্র দুজনেই হাফসেঞ্চুরি পান। শেষের দিকে স্পিনার মিচেল স্যান্টার ৫১ বলে ৩৩ রান করেন।
২০২১ সালের পর ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে এই ম্যাচে নেমেই বল হাতে চমক দেখান অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর। ক্যারিয়ারে এর আগের ৪ ম্যাচে তার অর্জনে ছিল মাত্র ৬ উইকেট। আর পুনের এই ম্যাচে এক ইনিংসেই ৫৯ রান খরচায় শিকার করলেন ৭ উইকেট। অন্যপ্রান্ত থেকে তার সঙ্গে উইকেট শিকারে নামেন অশি^ন। ২৪ ওভারে ৬৪ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। সুন্দর ৭ ও অশ্বিন ৩, এতেই শেষ নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।
পুনের উইকেটে স্পিনের বাঁক দেখে নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টার ও আয়াজ প্যাটেলের চোখও চকচক করছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ২৫৯/১০ (৭৯.১ ওভারে, কনওয়ে ৭৬, রাবিন্দ্র ৬৫, স্যান্টার ৩৩, সুন্দর ৭/৫৯, অশ্বিন ৩/৬৪)।