প্রধান উপদেষ্টার কাছে কী দাবি-দাওয়া পেশ করলেন সাফজয়ী ফুটবলাররা?
সাফ জয়ের পর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে এবার সংবর্ধনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে নারী ফুটবলাররা নিজেদের কিছু দাবি-দাওয়া, আকাঙ্ক্ষাও তুলে ধরেছেন। সেসবের মধ্যে ছিল ইউরোপের সেরা দল বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলার ইচ্ছাও।
বার্সেলোনা শেষ কয়েক বছর ধরে নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠ দল। শেষ দুই বছর নারীদের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন দলটির খেলোয়াড় আইতানা বোনমাতি, এর আগে বিশ্বসেরা ফুটবলার ছিলেন অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস। শেষ পাঁচ বছরে লিগ হাতছাড়া হয়নি দলটার, শেষ চার বছরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে তিন বার, যার মধ্যে শেষ দুই বছর জিতেছে টানা।
বার্সেলোনা কেমন অপ্রতিরোধ্য, তা ঠাহর করা যাচ্ছে এখান থেকেই। সাফজয়ী বাংলাদেশ এবার সেই পুতেয়াস-আইতানাদের বিপক্ষেই খেলতে চাইলেন। এই চাওয়াটা ব্যক্ত করেছেন কৃষ্ণা রাণী সরকার। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন যে, তাদের জন্য এশিয়ার বাইরে, সম্ভব হলে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হোক।
কৃষ্ণা ঢাকায় তাদের আবাসন সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। মিডফিল্ডার মণিকা চাকমা ফাইনালে একটি গোল করেছিলেন। তিনি তার জন্মস্থান খাগড়াছড়ির লাক্ষীছড়ি উপজেলার মতো দূর্গম এলাকায় ফুটবলার হতে গিয়ে যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হয়েছেন সেগুলো তুলে ধরেন।
মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী দিনাজপুর জেলার তার নিজ এলাকা রানশংকৈলের নিম্নমানের অবকাঠামোর কথা বর্ণনা করেন। এছাড়াও আরও অনেক ফুটবলার নিজেদের চাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। সাবিনা খাতুন জানান, দলের অনেকেই আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী থেকে দলে এসেছেন। তবে বাফুফে থেকে যে বেতন দেওয়া হয়, তা তাদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য খুবই অপ্রতুল। প্রধান উপদেষ্টা তাদের এ চাওয়া পূরণের আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ শনিবার বেলা ১১টায় এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে গেছেন ২৩ জন ফুটবলার, ম্যানেজার মাহমুদা অনন্যা ও কোচ পিটার বাটলার। নেপালে সাফজয়ী বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা– গোলরক্ষক কোচ, সহকারী কোচ, ফিজিও ও মিডিয়া অফিসার যেতে পারেননি যমুনায়।
এছাড়া কোনো বাফুফে কর্তাও যাননি সে সংবর্ধনায়। সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন– আসিফ মাহমুদ, সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান চন্দ্র রায় এবং নূরজাহান বেগম।