বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যতিক্রমী বোলিং অ্যাকশন রশিদ খানের
এমন কিছু আসছে সেজন্য সম্ভবত প্রস্তুত ছিলেন না মেহেদি মিরাজ। আফগান স্পিনার রশিদ খানকে এর আগেও অনেকবার সামাল দিয়েছেন তিনি। রশিদের চতুর্থ ওভারেও তাকে বেশ ভালোই দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিলেন। বেশ কয়েকবার অবশ্য শট খেলতে গিয়ে বিট হলেন। মিরাজের ব্যাটিংয়ের এমন আক্রমণাত্মক ভঙ্গি রশিদের খুব একটা পছন্দ হলো না। বোলিং করার পর ফলো থ্রু তে সামনে এগিয়ে এসে মিরাজকে লক্ষ্য করে বিড়বিড় করে কি যেন বললেন!
নিশ্চিত থাকতে পারেন তিনি মিরাজকে শুভ কামনা জানিয়ে কিছু বলেননি। যা বলেছেন সেটা মিরাজের কানে গেলে সেটা সুখকর কিছু হওয়ূার মতো না। রশিদের ভাবভঙ্গিতেই স্পষ্ঠ বোঝা যাচ্ছিলো মিরাজের এই ব্যাটিংকে তার কাছে মাতব্বরী মনে হচ্ছিল। তাই চোখেমুখে সুস্পষ্ঠ বিরক্তি তার।
পরের ওভারে তাই সাফল্যে পেতে খানিকটা কৌশলে বদল আনেন রশিদ। তিনি সাধারনত ওভার দ্য উইকেটে এসে বল করেন। নিজের পঞ্চম ওভারে মিরাজকে অবাক করতে যা করলেন তাতে সম্ভবত ননস্ট্রাইক প্রান্তে দাড়ানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও কিছুটা চমকে গেলেন। ইনিংসের ২৩ নম্বর ওভারের প্রথম বল করার জন্য স্ট্যাম্পের পেছন থেকে আড়াআড়ি দৌড়ালেন। স্ট্যাম্প ও আম্পায়ারের মাঝের ফাঁক গলে বোলিং অ্যাকশনে গেলেন। সাধারণ ডানহাতি কোনো বোলারের জন্য এটা পুরোপুরি আনঅর্থোডক্স বোলিং অ্যাকশন।
তবে মজার ব্যাপার হলো স্ট্যাম্পের পেছন থেকে আড়াআড়ি দৌড়ে এসেও রশিদ খান বল করেন কিন্তু ওভার দ্য উইকেটের অ্যাঙ্গেল থেকে! সাধারণত বাঁহাতি স্পিনারদের এমন ভঙ্গিতে স্ট্যাম্পের পেছন থেকে আড়াআড়ি এসে বোলিং করতে দেখা যায়। কিন্তু ডানহাতি বোলারের জন্য তো এমন কায়দায় বোলিং পুরোপুরি তার ফলোথ্রু’র বিপরীত!
ভারতের স্পিনার রাহুল চাহারকেও এমন কায়দায় বোলিং করতে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি ম্যাচে। মুলত ব্যাটারকে সমস্যায় ফেলতেই এমন কায়দায় বোলিংয়ের বুদ্ধি আঁটেন রশিদ। তার সেই বোলিংয়ের বুদ্ধিমত্তা প্রশংসা পেলেও উইকেট পাননি রশিদ। মেহেদি ও মাহমুদউল্লাহ তাকে চমৎকার দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়ে গেলেন। শুরুর ৭ ওভারে রশিদের বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ২১ রানে ১ উইকেট। তার শুরুর এই সাত ওভারের মধ্যে ২৮ বলই ছিল ডট!