মিঠুন-সাইফুদ্দিনের ব্যাটে বাংলাদেশের স্বস্তি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
মোহাম্মদ মিঠুন

মোহাম্মদ মিঠুন

  • Font increase
  • Font Decrease

৯৬ রানে ৬ উইকেট নেই। সেখান থেকে শেষমেষ ২৩২ রান। ইনিংস শেষে স্কোরবোর্ডে এই সঞ্চয় দেখে স্বস্তি পেতেই পারে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের শুরুটা হলো ভয়াবহ! কিন্তু সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারলো দল ইনিংস শেষে। আর এই সংকট উত্তরণের পুরো কৃতিত্বের দাবিদার মিডলঅর্ডারে মোহাম্মদ মিঠুন এবং শেষের দুই ব্যাটসম্যান মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

মিঠুনের ব্যাট হাসলো ৬২ রানে। ৮ নম্বরে নামা মেহেদি হাসান মিরাজের ২৬ এবং লেজের সারিতে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ৫৮ বলে ৪১ রানের ইনিংস দলের বাকি স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের লজ্জাই দিচ্ছে! এই তিনের ব্যাটিংই বাংলাদেশকে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় ধরনের সমস্যা থেকে বের করে আনলো।

টসে জিতে নেপিয়ারে ব্যাটিংয়ের শুরু হতে না হতেই বাংলাদেশের তিন উইকেট নেই! ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি গতির ঝড়ে উড়ে যায় বাংলাদেশের শুরুর রক্ষণ। ফুলার লেন্থে পড়া বলে খেলতে গিয়ে তামিম ইকবাল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ৫ রানে। ম্যাট হেনরির গতির কাছে পরাস্ত হয়ে লিটন দাস বোল্ড ১ রানে। মুশফিক রহিমকে উইকেটে আসতে হলো পাওয়ার প্লে’তেই। কিন্তু অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল ব্যাটে লাগিয়ে মুশফিকও বোল্ড সিঙ্গেল ডিজিটেই!

সৌম্য সরকার শুরুর ধাক্কা কিছুটা সামলে নিয়ে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন; আক্রমণই সেরা রক্ষণ! তবে সব বলে যে হাঁকাতে হয় না, সেটা বুঝলেন সৌম্য উইকেট খুঁইয়ে দিয়ে এসে! ২২ বলে তার ৩০ রানের চেয়ে উইকেটে টিকে থাকাই তার বেশি প্রয়োজন ছিলো। সেই কাজটাই করতে পারলেন না সৌম্য।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও উইকেটে জমে গিয়ে আউট হলেন। সাব্বির রহমান উইকেটে এসে দুটো বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে উদ্ধারের ঘোষণা দিলেন। কিন্তু সেই তিনিও অতিরিক্ত উত্তেজনায় খেই হারিয়ে বসলেন যেন! লেগসাইডের বলে সুইপ করতে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে বসেন। তড়িৎগতিতে উইকেটের পেছনে টম লাথাম যে সামান্য সুযোগ পান সেটাকেই কাজে লাগিয়ে স্ট্যাম্পিং করেন। 

২২.৩ ওভারে ৯৪ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দল তখন তাসমান সাগরে যেন লাইফ জ্যাকেট ছাড়া ভাসছে! প্রায় ডুবন্ত দলকে উদ্ধারের কাজে নামেন মোহাম্মদ মিঠুন। প্রথমে মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ৩৭ রানের ছোট জুটি গড়েন। দলকে অক্সিজেন যোগানোর আসল কাজটা হয় তার সাইফুদ্দিনের সঙ্গে অষ্টম উইকেট জুটিতে। এই জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৮৪ রান।

ভবিষৎতের অলরাউন্ডার কোটায় খেলা সাইফুদ্দিন ঠিকই তার ব্যাটিং প্রতিভা দেখালেন এই ম্যাচে। মিঠুন খেললেন ৯০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬২ রানের ইনিংস। যাকে নিদ্বির্ধায় দলের মান বাঁচানো ইনিংস বলে রায় দেয়া যেতে পারে। ১৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। সাইফুদ্দিন খেললেন ৩ বাউন্ডারিতে ৫৮ বলে ৪১ রানের দারুণ কার্যকর ইনিংস।

দলের ইনিংস ২৩২ রানে পৌছানোর জন্য অতিরিক্ত খাতকেও একটা বাড়তি ধন্যবাদ দিতেই পারে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড অতিরিক্ত খাত থেকে ২৭ রান খরচা করে। যার ১৬টিই আবার ওয়াইড!

শুরুতে কিউইদের পেস ঝড় এবং শেষে স্যান্টারের স্পিন; এই সম্মিলিত আক্রমনেই বাংলাদেশের ইনিংস থেমে গেলো ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ২৩২/১০ (৪৮.৫ ওভারে, তামিম ৫, লিটন ১, সৌম্য ৩০, মুশফিক ৫, মিঠুন ৬২, মাহমুদুল্লাহ ১৩, সাব্বির ১৩, মেহেদি হাসান ২৬, সাইফুদ্দিন ৪১, মাশরাফি ৯*, মুস্তাফিজুর ০, অতিরিক্ত ২৭, হেনরি ২/৪৮, বোল্ট ৩/৪০, ফার্গুসন ২/৪৪, স্যান্টার ৩/৪৫)।

   

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;

টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’ সেখানে একক টেবিল টেনিস ইভেন্টে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের রুমেল খান। রানার্স-আপ হয়েছেন সংবাদ সংযোগের মো. শামীম হাসান এবং তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল।

আজ (শনিবার) সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোরে অনুষ্ঠিত হয় এই টেবিল টেনিস ইভেন্টটি।

এদিকে টেবিল টেনিসের দ্বৈত ইভেন্টে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রুমেল খান ও মাহমুদুন্নবী চঞ্চল জুটি। এর মধ্য দিয়ে দ্বিমুকুট জয় করেন রুমেল খান। দ্বৈতে রানার্স-আপ হয় মজিবুর রহমান ও মোরসালিন আহমেদ জুটি এবং তৃতীয় হয়েছে মো. শামীম হাসান ও সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জুটি।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আর্চারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবকটি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও। এছাড়া প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

;

শিরোপা জেতানোর দুই দিন পর কোচকে বিদায় করল জুভেন্টাস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দিন আগেই জুভেন্টাসকে কোপা ইতালিয়া জিতিয়েছিলেন ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। অথচ সেই কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে মেজাজ হারানোর কারণে ক্লাবের চাকরি হারাতে হলো তাকে।

তুরিনে আতালান্তাকে ১-০ গোলে হারায় জুভেন্টাস। ম্যাচ চলাকালে রেফারিদের উপর মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। শিরোপা উদযাপনের সময় ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল তার।

কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে তার আচরণ খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি ট্রাইব্যুনাল।

সেসব বিষয়ের জের ধরেই অ্যালেগ্রিকে চাকরীচ্যুত করেছে জুভেন্টাস। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে জুভেন্টাস লিখেছে, ‘ইতালিয়ান কাপ ফাইনালে ক্লাবের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আচরণ তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকে এই মূল্যবোধগুলো আপন করে নিতে হবে।’

জুভেন্টাসে অ্যালেগ্রির প্রথম অধ্যায় ছিল সাফল্যে মোড়ানো। ২০১৪-১৯ পর্যন্ত ‘তুরিনের বুড়ি’দের পাঁচটি লিগ, চারটি ইতালিয়ান কাপ জিতিয়েছিলেন। এছাড়া দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালও খেলেছিল তার দল।

তবে ২০২১-২২ মৌসুমে জুভেন্টাসে ফিরে আগের সে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেননি। এ যাত্রায় এক ইতালিয়ান কাপ ছাড়া আর কিছুই এনে দিতে পারেননি ক্লাবকে।

সিরি আ মৌসুমে এখনো দুই ম্যাচ বাকি রয়েছে জুভেন্টাসের। এই দুই ম্যাচে ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়াবেন পাওলো মন্তেরো। আগামী মৌসুমে বর্তমান বোলোনিয়া ম্যানেজার থিয়াগো মোত্তাকে অ্যালেগ্রির উত্তরসূরি করতে চাইছে জুভেন্টাস।

;