অধিনায়ক বললেন, আমি নিজেও ব্যর্থ
শেষ ওভার হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশই ছিলো জয়ের জন্য ফেভারিট। জিততে হলে ৬ বলে আয়ারল্যান্ডের চাই ১৫ রান। সন্দেহ নেই কঠিন টার্গেট। সেই কঠিন কাজটাই শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড করে ফেলল, তাও আবার এক বল হাতে রেখেই! তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে টানা তিন বাউন্ডারিতে লরা ডিনেলি ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন আয়ারল্যান্ডকে।
-ঠিক কি কারণে হারলো বাংলাদেশ?
ম্যাচ শেষে এই প্রশ্নের খোঁজে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি জানালেন, ‘ম্যাচ পরিস্থিতি ঠিক কেমন আচরণ করতে হয় সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সেই চাপ সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই ম্যাচটা হেরে গেছি।’
শেষ ওভারে অধিনায়ক তার দলের পেস বোলিংয়ের ওপর আস্থা না রেখে স্পিনার স্বর্ণা আক্তারের স্পিনেই ভরসা খোঁেজন। পুরো ওভারে স্বর্ণা যে জায়গায় বল ফেললেন তা থেকে বাউন্ডারি হাঁকাতে লরা ডিনেলেকে বেশি কষ্ট করতে হয়নি। তাছাড়া ফিল্ডিং পজিশন নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। শেষ ওভারে ফিল্ডার বাউন্ডারির দড়ির কাছে না দাড়িয়ে কেন কয়েক ফুট ভেতরে দাড়াবে? লরার শেষ বাউন্ডারিটা নিশ্চিত ক্যাচ হতো যদি লংঅফের ফিল্ডার বাউন্ডারির দড়ির কাছে থাকতেন। তিনি তো দড়ি থেকে সাত আট গজ সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। তাই পিছিয়ে আসতে পারেননি।
টি- টোয়েন্টিতে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, আমরা ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। তাই হেরে গেছি। এই ফরমেটের জন্য পারফেক্ট খেলোয়াড়ের জন্য আমরা টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে প্রস্তাব করবো।’
অধিনায়কের এই মন্তব্যে এটা পরিস্কার যে টি- টোয়েন্টির এই দল নিয়ে তিনি পুরোদুস্তর সন্তুষ্ঠ না। নিশ্চিত যে সামনের টি- টোয়েন্টি সিরিজে হয়তো এই দলের অনেককে আর নাও দেখা যেতে পারে।
সিরিজে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে নিজের ব্যাটিং ফর্মকেও দায়ি করলেন অধিনায়ক। বললেন, ‘তিন ম্যাচে আমিও রান করতে পারিনি। আমিও ব্যাট হাতে ব্যর্থ। আমাকেও ব্যর্থ বলতেই পারেন।’
তিন ম্যাচে জ্যোতি করেন মাত্র ১৮ রান। প্রথম ম্যাচে ৫ বলে ৪। দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ বলে ৬। তৃতীয় ম্যাচে ১৬ বলে ৮। এই ১৬ রানের মধ্যে একটি মাত্র বাউন্ডারি। টি- টোয়েন্টি ফরমেটে অধিনায়কের নিজের ব্যাটিং স্কিল এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করার বিষয়টিই এখন বড় সমালোচনা তুলছে।