তামিমের ইতিহাস গড়ার ম্যাচে বরিশাল করল ১৯৭
ম্যাচটা আগে থেকেই ছিল হাইভোল্টেজ ম্যাচ। বিপিএলের শীর্ষ দুই দল রংপুর রাইডার্স আর বরিশাল মুখোমুখি হয়েছিল এই লড়াইয়ে। ইতিহাস গড়ার জন্য এই ম্যাচটাকেই যেন বেছে নিলেন তামিম ইকবাল। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ছুঁয়ে ফেলেছেন ৮০০০ টি-টোয়েন্টি রানের মাইলফলক।
এই ম্যাচে বরিশালও বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে। ১৯৮ রানের টার্গেট দিয়েছে রংপুরকে। শেষ দিকে কাইল মায়ার্সের অপরাজিত ২৯ বলে ৬১ রানে ঝড়ো ইনিংসে ভর করে এই পুঁজি পায় তারা।
টসে জিতে বরিশালকে ব্যাট করতে পাঠায় রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করেন বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসের শান্ত। ইনিংসের ১০.১ ওভারের সময় দলীয় ৮১ রানের মাথায় ৩০ বলে ৪১ রান করে আউট হন শান্ত।
একই ওভারের শেষ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক তামিম। এই ৪০ রানের ইনিংস খেলার শুরুর দিকেই মাইলফলকটা ছুঁয়ে ফেলেন তামিম। ৯ রান করতেই রেকর্ডটা গড়া হয়ে যায় তার। তার বিদায়ের পর ইনিংসের হাল ধরেন ক্যারিবীয় ব্যাটার কাইল মায়ার্স। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বরিশালের ইনিংসে ঝড় ওঠে। মায়ার্স ২৯ বলে ৬১ রানের এক মারকাটারি ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ১টি চার ও ৭টি ছক্কা। বিশেষ করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শেষ ওভারে তিনি হাঁকান ৩টি ছক্কা।
তবে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হৃদয় ১৮ বলে ১টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ মাত্র ৪ বল খেলে ২ রান করে ফিরে যান। ইনিংসের শেষ দিকে ফাহিম আশরাফের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ২০ রানের ক্যামিও।
রংপুরের হয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিলেও তিনি ছিলেন সবচেয়ে খরুচে বোলার। ৩ ওভারে ৪৭ রান দেন তিনি। এছাড়া আকিফ জাবেদ ও মোহাম্মাদ সাইফুদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।