আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েই ফেললেন তামিম ইকবাল। গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তজার্তিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তার এই ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সতীর্থরা শ্রদ্ধা-ভালবাসায় সিক্ত করছেন তামিমকে।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় অবসর নেন তামিম। তবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তার একদিন পরেই অবসর ভেঙে ফের দলে ফেরেন তিনি। খেলেন দুটি ওয়ানডে ম্যাচ। তারপর আবার বিরতি।
এবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কেন্দ্র করে তার ফেরার জল্পনা আরও জোরালো হয়। তার সঙ্গে নতুন বোর্ড প্রধান ও নির্বাচকদের একদফা মিটিংও হয়। তামিম তখন সময় চাওয়াতে বিসিবি তাকে সময়ও দেন।
সেই অপেক্ষা শেষে গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তামিম জানালেন– তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ।
তামিমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়েছিল মুশফিকুর রহিমের। পুরোনো স্মৃতি উল্লেখ করে তামিমকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুশফিক লিখেছেন, ‘তোমার অবসরকালে আমি জানাতে চাই, তোমার অর্জনগুলো নিয়ে আমি কতটা গর্বিত তামিম। দোস্ত, তুমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের একজন অসাধারণ প্রতিনিধি ছিলে এবং বিশ্বমানের একজন ব্যাটার।
দুবাইয়ের সেই জুটি আমার সারাজীবন মনে থাকবে, বিশেষ করে যখন তুমি চোট পাওয়া আঙুল নিয়েও ব্যাটিং করেছিলে...তোমাকে মাঠে খুব মিস করব, ক্রিকেটের কল্যাণে দুর্দান্ত এক বন্ধু পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।’
দেশের ক্রিকেটে তামিমের অবদান নিয়ে আরেক তারকা ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তামিম, দীর্ঘ ও চমৎকার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তোমার অসাধারণ অর্জনগুলোর জন্য অনেক অভিনন্দন। তুমি অনেক কিছু অর্জন করেছ এবং বাংলাদেশের দলের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছ।’
একটি ছবি যুক্ত করে তিনি লিখেন, ‘আমার মনে হয়, এটি ছিল আমাদের শেষবারের মতো বাংলাদেশের হয়ে একসঙ্গে ব্যাটিং। তোমার সঙ্গে খেলতে পারা এবং মাঠের ভেতরে-বাইরে এত স্মৃতি ভাগাভাগি করতে পারা সত্যিই অনেক আনন্দের ছিল। আমি তোমার অবসরজীবনের জন্য শুভকামনা জানাই এবং ভবিষ্যতের সকল কাজে সাফল্য কামনা করি। তোমার রেখে যাওয়া ঐতিহ্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
জাতীয় দলের তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে সৌম্য সরকারেরও। তিনি সতীর্থকে সম্মান জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নতুন শুরুর জন্য এবং সারা জীবনের অমূল্য স্মৃতিগুলোর জন্য শুভেচ্ছা। অবসর কোনো শেষ নয়, বরং এটি এক নতুন সুন্দর অধ্যায়ের সূচনা। সামনের যাত্রাটা উপভোগ করুন। ভালো কাটুক অবসরকাল। মাঠে আপনার অভাব অনুভব করব।’