সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড সেঞ্চুরি, তবুও ইনিংস হার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
শতরানে রাঙালেন সৌম্য সরকার

শতরানে রাঙালেন সৌম্য সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

দুজনেই জানতেন কি কঠিন সময় অপেক্ষা করছে তাদের সামনে, দলের সামনে এই টেস্টে। কিন্তু সামনের সেই সঙ্কট তাদের থামিয়ে-দমিয়ে রাখতে পারলো না। দুজনেই খেললেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। করলেন সেঞ্চুরি। স্মরণীয় সেঞ্চুরি। তবে তাদের সেই সেঞ্চুরি সত্ত্বে হ্যামিল্টনে ইনিংস হার এড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। কিন্তু ইনিংস ও ৫২ রানে ম্যাচ হারার আগে বাংলাদেশ ঠিকই লড়লো। করলো ৪২৯ রান।

দলের এই ৪২৯ রানের মধ্যে সৌম্য করলেন ১৪৯ রান। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট হাসলো ১৪৬ রানে। দুজনের সেঞ্চুরিই আবার রেকর্ডে ভাস্বর। মাত্র ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পেলেন সৌম্য। টেস্টে এটি বাংলাদেশের হয়ে দ্রততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। সৌম্য এখন এই রেকর্ডটি ভাগাভাগি করছেন তামিম ইকবালের সঙ্গে। আর মাহমুদউল্লাহর জন্য তো বিশ্বের সবচেয়ে পয়মন্ত মাঠ হলো হ্যামিল্টন। টেস্টে নিজের সর্বোচ্চ রান পেলেন মাহমুদউল্লাহ এই মাঠে। দুটি টেস্ট খেলেছেন এই ভেন্যুতে। দুটিতেই সেঞ্চুরি। একটি ওয়ানডে খেলেছেন। তাতেও সেঞ্চুরি!

এই দুজনের বীরত্বপূর্ণ সেঞ্চুরি সত্তে¡ও বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানেই হারলো। তবে এই দুইয়ের বড় সেঞ্চুরিে যা জানান দিলো তার নাম লড়াই! লড়তে জানা। সৌম্য-মাহমুদউল্লার রেকর্ড সেঞ্চুরিতে হ্যামিল্টন টেস্টের চতুর্থদিন পাওয়া গেলো লড়াকু মেজাজের ভিন্ন ব্যাটিংয়ের বাংলাদেশকে। তিন ম্যাচের সিরিজে ০-১ এ পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশের বড় অর্জন সেটাই।

ম্যাচ বাঁচলো না কিন্তু সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি এই টেস্টে বাংলাদেশকে এনে দিলো লড়াইয়ের তেজ।

চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ছিলো ৮ উইকেটে ৪২৪ রান। তখনো ইনিংস হার বাঁচাতে চাই ৫৭ রান। মাহমুদল্লাহ রিয়াদ লড়ছিলেন ১৪১ রান নিয়ে। চা বিরতির পর মাহমুদউল্লাহ ১৪৬ রান করে টিম সাউদির বলে আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংস টিকলো আর মাত্র চার বল!

চতুর্থদিনের সকালের সেশন থেকেই ব্যাটিংয়ের মেজাজ বদলে ফেলে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার পাল্টা আক্রমণকে টিকেই থাকার সেরা অস্ত্র হিসেবে বেছে নেন। শুরু করেন ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং। আগের দিনের ৩৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা সৌম্য দ্রæতই হাফসেঞ্চুরিতে পৌছে যান। সেঞ্চুরিতে পৌছাতেও বেশি সময় নিলেন না। নিউজিল্যান্ডের বাউন্সার, শর্ট বল মোকাবেলায় দারুণ দক্ষতা দেখান। মাত্র ৯৪ বলে টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সৌম্য। বলের হিসেবে টেস্টে এটি বাংলাদেশের দ্রæততম সেঞ্চুরি। যে রেকর্ডটি এতদিন ছিলো শুধুই তামিম ইকবালের। এখন তাতে সৌম্যের ভাগ।

৬০ বলে হাফসেঞ্চুরি পান সৌম্য। পরের ফিফটি আসে তার মাত্র ৩৪ বলে! ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করলেন দারুণ বীরত্বপূর্ণ কায়দায়। মাত্র ৯৪ বলে ১২ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় সেঞ্চুরি পুরো তার।
 
এদিকে সৌম্যের সেঞ্চুরি আর অন্যপ্রান্তে মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরি পুরো। স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের সঞ্চয় বাড়ছে।

সেঞ্চুরির পর সৌম্য সরকার তার ব্যাটিং কৌশল বদলে ফেললেন। কোন ঝুঁিক নেয়ার পথে গেলেন না। ধৈর্য্য নিয়ে সামনে বাড়লেন। সৌম্যের সেঞ্চুরি মাহমুদউল্লাহও সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। ১৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৮৩ বলে তার সেঞ্চুরির জন্য একটা শব্দই ফুটে বেরুলো-ক্যাপ্টেনস নক! মাহমুদউল্লাহও সেঞ্চুরির পর আরো অনেক দুর যেতে হবে এই চিন্তায় মনোনিবেশ করলেন।
 
 সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর পঞ্চম উইকেট জুটিতে পেলো বাংলাদেশ ২৩৫ রান। ১৪৯ রান করে সৌম্য সরকার ফিরে আসার পর লিটন দাস ও মেহেদি মিরাজ এই ম্যাচে দ্বিতীয় দফা ব্যাটিংয়ের ব্যর্থ। লিটন দাস বাইরের বল টেনে এনে বোল্ড হলেন। আর মিরাজ হয়তো ভেবেছিলেন এটাই খেলার শেষ বল, ছক্কা না হলে যেন হয় না! হুক শটে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন।
 
চা বিরতির খানিকবাদে মাহমুদউল্লাহ ১৪৬ রান করে ফিরে আসার পর সাউদির সেইওভারেই ম্যাচ জিতে নিলো নিউজিল্যান্ড।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর: তৃতীয়দিন শেষে, বাংলাদেশ ১ম ইনি: ২৩৪/১০ (৫৯.২, তামিম ১২৬, সাদমান ২৪, মুমিনুল ১২, মিঠুন ৮, সৌম্য ১, মাহমুদউল্লাহ ২২, লিটন ২৯, মেহেদি ১০, আবু জায়েদ ২, খালেদ ০, এবাদত ০, অতিরিক্ত ০, ওয়াগনার ৫/৪৭, সাউদি ৩/৭৬)। নিউজিল্যান্ড ১ম ইনি: ৭১৫/৬ ডি. (রাভাল ১৩২, লাথাম ১৬১, উইলিয়ামসন ২০০*, নিকোলস ৫৩, ওয়াটলিং ৩১, গ্র্যান্ডহোম ৭৬*, মিরাজ ২/২৪৬, এবাদত ১/১০৭, সৌম্য ২/৬৮)। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনি: ৪২৯/১০ (১০৩ ওভারে, তামিম ৭৪, সাদমান ৩৭, মুমিনুল ৮, মিঠুন ০, সৌম্য ১৪৯, মাহমুদউল্লাহ ১৪৬, বোল্ট ৫/১২৩, সাউদি ৩/৯৮, ওয়াগনার ২/১০৪)। ফল: নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৫২ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: কেন উইলিয়ামস।

   

ম্যানসিটি নাকি আর্সেনাল, শেষ হাসি কার?



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের মধ্যে। তবে সেবার শেষের একটু আগে পা হড়কে যায় গানারদের। তাই শেষ পর্যন্ত হেসেখেলেই লিগ জিতে যায় সিটি। কিন্তু এবার মৌসুমের শেষ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। টানটান উত্তেজনাময় প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে যতি পড়বে আজ। শেষ দৃশ্যে ইতিহাদে উৎসব হবে নাকি এমিরেটসে, তা দেখতেই এখন মুখিয়ে গোটা ফুটবল দুনিয়া।

ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য শিরোপার হিসাব-নিকাশে আর্সেনালের কিছুটা এগিয়ে বা বলা যায় স্বস্তিতে আছে। ৩৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮৮, দুই পয়েন্টে পিছিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। শেষদিনে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট হ্যামকে হারিয়ে দিলেই টানা চতুর্থবার লিগ শিরোপার স্বাদ পাবে তারা।

আর্সেনালের জন্য হিসেবটা একটু কঠিন। ঘরের মাঠে যদি তারা এভারটনকে হারিয়েও দেয়, তবু চেয়ে থাকতে হবে সিটি-ওয়েস্ট হ্যাম ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচে সিটিজেনরা পয়েন্ট হারালেই কেবল ২০ বছর পর লিগ জয়ের উৎসব করতে পারবে তারা। যেহেতু সিটির চেয়ে আর্সেনাল ১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে আছে, তাই আর্সেনাল জিতলে ও সিটি ড্র করলে শিরোপা এমিরেটসে আসবে।

শিরোপার হিসাব-নিকাশ শেষ দিনের জন্য তোলা থাকলেও সেরা চারের হিসাব এবার আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে। ম্যানসিটি এবং আর্সেনালের সঙ্গে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলা।

এবার টেবিলের তলানিতে চোখ বুলানো যাক। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে আসা তিন ক্লাব বার্নলি, শেফিল্ড ইউনাইটেড ও লুটন টাউনই অবনমিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে বার্নলি এবং শেফিল্ডের অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে।

কাগজে-কলমে না হলেও প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে আসা লুটনের অবনমনও নিশ্চিত বলা চলে। কারণ মৌসুমের শেষ দিনে তারা যদি ফুলহ্যামকে হারিয়ে দেয় এবং টেবিলের ১৭ নম্বরে থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্ট নিজেদের ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান ২৯। কিন্তু গোল ব্যবধানে ফরেস্টের (-১৯) চেয়ে লুটন (-৩১) অনেক পিছিয়ে থাকায় জয়টা তাদের জন্য সান্ত্বনার হয়েই থাকবে।

;

টি-টোয়েন্টিতে চাপ বেশি, সেটিই উপভোগ করেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটিং ঝড়ের টি-টোয়েন্টিতে এখন চাপটা যে বোলারদের সবচেয়ে বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আগে বোলিং পেলে ব্যাটারদের কমে আটকানোর চাপ, পরে বোলিং করলে  ব্যাটাররা যেন সেই লক্ষ্য ছুঁতে না পারে সেই চাপ। সম্প্রতিই আইপিএলের ব্যাটিং ঝড়ের হাত থেকে বোলারদের বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোলারদের এমন চাপের বিষয়টিকে সায় দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। তবে সেই চাপ বেশ উপভোগ করেন তিনি এবং এই কারণেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট তার সবচেয়ে পছন্দের। 

সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে টুর্নামেন্টটির সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই দেশটিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসরে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে ‘গ্রিন রেড স্টোরি’ শিরোনামে বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে বিসিবি। সেখানেই নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বোলার সময় মুস্তাফিজ জানান কেন এই ফরম্যাটই তার সবচেয়ে পছন্দের। 

বিশেষ সেই সাক্ষাৎকারে মুস্তাফিজ বলেন, ‘ভালো লাগার প্রসঙ্গ এলে আমি টি-টোয়েন্টিটা বেশি পছন্দ করি। এই সংস্করণে চাপটা বেশি। এ কারণেই মনে হয় আমার ভালো লাগে। আমি চাপটা অনেক উপভোগ করি।’

জাতীয় দলের দায়িত্ব ফেরার আগে দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এবার আইপিএলে খেলেছেন মুস্তাফিজ। সেখানে বিশ্বের নামীদামী সব খেলোয়াড়, কোচদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই শিখেছেন অনেক কিছু। সেসব অনায়াসেই জাতীয় দলের বাকি পেসারদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চান তিনি। এবং দেশের পেস আক্রমণ নিয়ে বেশ আশাবাদী এই বাঁহাতি পেসার। ‘আমাদের যে পেস বোলাররা আছে- তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন ( বিশ্বকাপ দলে নেই), হাসান মাহমুদ। আমি যেটুকু শিখেছি, সেগুলো ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করব। এতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।’ 

;

আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুস্তাফিজকে মিস করেছে চেন্নাই 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস এবার বিদায় নিল প্লে-অফের আগেই। গতকালের প্লে-অফ নির্ধারণী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে জয়ের জন্য ২১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য পায় চেন্নাই। তবে শেষ চারে পৌঁছাতে হলে ম্যাচটিতে ২০১ রান তুললেই হতো। তবে চেন্নাই শেষ পর্যন্ত থামল আরও ১০ রান আগে, ১৯১ রানে। এতে ২৭ রানের জয়ে শেষ চারে উঠে যায় বেঙ্গালুরু। 

গতকালের ম্যাচটিতে চেন্নাইয়ের পেসাররা ছিলেন বেশ খরুচে। পেসারদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে কম ইকোনমি ছিল তুষার দেশপান্ডের, সেটিও ১২ দশমিক ২৫। এতেই আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানকে মিস করেছেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। আসরের শুরু থেকেই চোটের কারণে একাধিক ক্রিকেটারকে পায়নি। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পেস বিভাগে। এতে এর আগেও নিজেদের পেস আক্রমণে মুস্তাফিজের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। 

ম্যাচ শেষের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রুতুরাজ বলেন, ‘চোটের কারণে কনওয়ে নেই, পাশাপাশি - পাথিরানাও ইনজুরিতে পড়েছিল। তবে আমরা ফিজকে বেশি মিস করেছি। কেননা, স্কোয়াডের ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে এই জিনিসগুলো স্বাভাবিক। আমার কাছে ব্যক্তিগত মাইলফলকগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা এখানে জিততে পারিনি, তাই আমি কিছুটা হতাশ।’ 

এদিন পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬১ রান। এদিকে সিমারজিত সিং ১ ওভার করেই দিয়েছেন ১৯ রান। তবে স্পিনাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। মিচেল সান্টনার ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট। এদিকে মাহিশ থিকশানা কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৫ রান। এতে স্পিনারদের প্রশংসা করে রুতুরাজ আরও বলেন, ‘এটি একটি ভালো উইকেট ছিল। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। মৌসুমে ১৪ ম্যাচের সাতটিতে জয় পাওয়ায় আমি বেশ খুশি।’ 

চেন্নাইয়ের হয়ে সবশেষ ১মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেলে জাতীয় দলের দায়িত্বে দেশে ফেরেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের এবারের আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। যা এক আসরে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে নিজের আইপিএল অভিষেক মৌসুমে ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ।  

;

‘নেভারলুজেন’ মৌসুম শেষ লেভারকুজেনের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাফিকার ৫৯ বছরের আগের রেকর্ড ভেঙে ইউরোপে কোনো ক্লাব হিসেবে টানা ৪৯ ম্যাচের রেকর্ডটি সপ্তাহখানেক আগেই গড়ে বায়ার লেভারকুজেন। পরে বুন্দেসলিগায় এর আগের ম্যাচে বোখুমকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে প্রথম ইউরোপিয়ান ক্লাব হিসেবে অপরাজিত যাত্রা ফিফটি'র মাইলফলকটিও স্পর্শ করে তারা। রেকর্ড, কীর্তি, মাইলফলক। একের পর এক ম্যাচে এই তিনের কোনো একটি বিশেষণ যেন জুড়েই যাচ্ছে লেভারকুজেনের নামে। সেই যাত্রা বজায় থাকলো লিগের শেষ ম্যাচেও। গত রাতে অগসবুর্গকে ২–১ গোলে হারিয়েও অনন্য কীর্তিতে নিজেদের নাম তুলল ‘দ্য কোম্পানিস এলেভেন’ খ্যাত দলটি। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে প্রথম কোনো ক্লাব লিগ শেষ করলো অপরাজিত থেকে। 

এ নিয়ে মৌসুমে সব মিলিয়ে ৫১ ম্যাচে অপরাজিত লেভারকুজেন। এতে তাদের সঙ্গে এই বিশেষণটা পুরোপুরি মানায়, বায়ার লেভারকুজেন এই মৌসুমে ‘নেভারলুজেন’। শব্দটির উৎপত্তি অবশ্য তাদের থেকেই। গত রাতে অপরাজিত মৌসুম শেষে করে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা নিজেদের নতুন ডাকনাম দিয়েছেন ‘বায়ার জিরোফোর নেভারলুজেন’। 

অবিশ্বাস্য এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জিতল লেভারকুজেন। গত রাতে নিজেদের মাঠ বে অ্যারেনায় অগসবুর্গের ম্যাচটি লেভারকুজেনের শিরোপা উদযাপনের থাকেলও লিগে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছিল জাবি আলোনসোর দলটি। বাকি ম্যাচগুলো ছিল নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচগুলোতেও নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ধরে রেখেই মৌসুম শেষ করলো তারা। 

এই মৌসুমেই লেভারকুজেনের সম্ভাবনা আছে নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ৫৩-তে নিয়ে যাওয়ার। যেটি হলে তাদের নামের পাশে বসে যাবে ট্রেবল খেতাব। আগামী ২২ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালের আতালান্তার বিপক্ষে নামবে লেভারকুজেনন। এর দুদিন পর ২৫ মে ডিএফবি-পোকালের (জার্মান কাপ) ফাইনালে কাইজারস্লাটার্নের বিপক্ষে লড়বে তারা।

;