ক্যানসার কেড়ে নিলো ক্রিকেটার ব্রুস ইয়ার্ডলেকে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ব্রুস ইয়ার্ডল : লড়াইয়ে হার মানলেন

ব্রুস ইয়ার্ডল : লড়াইয়ে হার মানলেন

  • Font increase
  • Font Decrease

চলে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ব্রুস ইয়ার্ডলে। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন। সেই লড়াইয়ে হেরে গেলেন ব্রুস ২৭ মার্চ, বুধবার। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলো ৭১।

একাধারে অনেককিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে ছিলেন তিনি। ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। আর্ন্তজাতিক ধারাভাষ্যকার হিসেবেও ভাল সুনাম কুড়ান। কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর নতুন লড়াই শুরু হয় তার। লম্বা সময় ধরে চলা সেই লড়াইয়ে হার মানলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের অনেক ইতিহাসের সঙ্গী এই ক্রিকেটার।

ক্রিকেট জীবনের শুরুর গল্পটা তার আরো অনেকের সঙ্গে মিলে যায়। ছিলেন মূলত সুইং ও সিম বোলার। যে উচ্চতা ও শারীরিক গঠন ছিলো তার, তাতে পেস বোলিংয়ে বেশ ভালই মানাতো। কিন্তু হঠাৎ করে পেস বোলার থেকে স্পিনার হয়ে গেলেন ব্রুস ইয়ার্ডলে।

প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পেলেন ১৯৭৭-৭৮ সালে। অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। অভিষেক টেস্টে ৪৮ রান খরচায় পান ৪ উইকেট। ৩৩ টেস্ট ক্যারিয়ারে উইকেট শিকার করেন ১২৬টি। সেরা বোলিং ৯৮ রানে ৭ উইকেট। শুধু বোলিং নয়, ব্যাটিংটাও বেশ ভালই জানতে ব্রুস। টেস্টে তার চারটি হাফসেঞ্চুরি আছে। এরমধ্যে ১৯৭৮ সালে বার্বাডোস টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার দ্রুততম (২৯ বলে) হাফসেঞ্চুরির অস্ট্রেলীয় রেকর্ড টিকে ছিলো প্রায় ৩৮ বছর। ডেডিভ ওয়ার্নার ২০১৭ সালে সেই রেকর্ড ভাঙ্গেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে সেই সফরে অবশ্য চাকিং বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন ব্রুস ইয়ার্ডলে। জ্যামাইকায় ট্যুর ম্যাচে বল চাকিং বিতর্কে তার নাম জড়িয়ে পড়েছিলো। পুরানো বলে অফস্পিন করাতে বেশ দক্ষ ছিলেন ইয়ার্ডলে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার নাম্বার ওয়ান স্পিনার হিসেবে স্বীকৃতি পান তিনি।

১৯৮১-৮২ সালের মৌসুমে ঘরের মাটিতে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৮টি উইকেট শিকার করে আলোচনায় আসেন ইয়ার্ডলে। সেসময় বোলিং আক্রমণে অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলাররাই মুলত নজর কাড়তেন বেশি। ১৯৮৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টে ৭ উইকেট পেলেও নির্বাচকরা তাকে পরের সিরিজে উপেক্ষা করেন। সম্ভবত সেই অভিমান থেকেই ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ফেলেন ব্রুস ইয়ার্ডলে। তবে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ঠিকই খেলে যান।

কোচিংয়েও বেশ ভাল পারফরমেন্স দেখান তিনি। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ৮০০ উইকেট শিকারি শ্রীলঙ্কার স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের স্পিন কোচ এবং মেন্টর হিসেবেও কাজ করেন তিনি।

৭টি ওয়ানডে ম্যাচও খেলেছিলেন ব্রুস ইয়ার্ডলে।

   

গম্ভীরকে রোহিতদের কোচ হিসেবে চায় বিসিসিআই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে বিসিসিআইয়ের প্রথম পছন্দ গৌতম গম্ভীর। ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, গম্ভীর ভারতের কোচ হতে চান কিনা তা জানতে এরই মধ্যে তার সঙ্গে আলোচনাও করেছে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে ভারতের কোচ হিসেবে দায়িত্বকাল শেষ হবে রাহুল দ্রাবিড়ের। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর রোহিত শর্মাদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল চুক্তির মেয়াদ। তবে সেটা কিছুটা বাড়িয়ে এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত টেনে নিতে সম্মত হয় বিসিসিআই ও দ্রাবিড়।

তবে এবার আর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি নন দ্রাবিড়। এই কথা বিসিসিআইকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিসিসিআই তাই প্রধান কোচের পদ পূরণ করতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আগামী ২৭ মে পর্যন্ত আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন। নতুন কোচকে সাড়ে তিন বছর মেয়াদি চুক্তির প্রস্তাব দেবে বিসিসিআই।

গৌতম গম্ভীর এখন পর্যন্ত পেশাদার কোচিং শুরু করেননি। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর দুই মৌসুম আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন। এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সে একই পদে কাজ করছেন। কোচ হিসেবে অনভিজ্ঞ হলেও অধিনায়ক এবং মেন্টর হিসেবে তাকে সফল বলা যায়।

অধিনায়ক হিসেবে কলকাতাকে দুইবার আইপিএল জিতিয়েছেন, মেন্টর হিসেবে লক্ষ্ণৌকে দুইবার প্লে-অফ পর্বে তুলেছেন গম্ভীর। এবার মেন্টর হিসেবে কলকাতাকে আসরের প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট এনে দিয়েছেন।

গম্ভীর বিসিসিআইয়ের প্রস্তাব নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না। আইপিএল শেষের পর এই বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে বলে খবর ইএসপিএন ক্রিকইনফোর।

;

প্রথমবার ব্রাজিলে হবে নারী বিশ্বকাপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো ব্রাজিলে বসবে নারী বিশ্বকাপের আসর। শুক্রবার (১৭ মে) ফিফা কংগ্রেসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ভোট পেয়ে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে ব্রাজিল। এটাই হবে লাতিন আমেরিকায় প্রথম নারী বিশ্বকাপ।

২০২৭ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা ছিল ব্রাজিল এবং জার্মানি-নেদারাল্যান্ডস-বেলজিয়ামের যৌথ বিডের মধ্যে। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ব্রাজিলের পক্ষে পড়ে ১১৯ ভোট। জার্মানি-নেদারাল্যান্ডস-বেলজিয়ামের ইউরোপীয় বিড ভোট পায় ৭৮টি।

২০২৭ নারী বিশ্বকাপ আয়োজনে আরও বেশ কয়েকটি দেশ শুরুতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে গত বছরের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো তাদের যৌথ বিড প্রত্যাহার করে নিলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকে কেবল ব্রাজিল ও জার্মানি-নেদারাল্যান্ডস-বেলজিয়ামের ইউরোপীয় বিড।

এবারই প্রথম মেয়েদের বিশ্বকাপ আয়োজক নির্ধারণে ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছে ফিফার সব সদস্য দেশ। এর আগে ফিফার নীতিনির্ধারণী পর্ষদ ফিফা কাউন্সিল নারী বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচন করত।

নারী বিশ্বকাপ এটাই প্রথম হলেও পুরুষদের বিশ্বকাপ দুইবার আয়োজনের অভিজ্ঞতা রয়েছে ব্রাজিলের। ১৯৫০ এবং ২০১৪ সালে পুরুষদের বৈশ্বিক আসর সফলভাবে আয়োজন করে তারা।

;

কোপার আগে যে দুই দেশের বিপক্ষে খেলে প্রস্তুতি নেবেন মেসিরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্রে পর্দা উঠবে কোপা আমেরিকার। তার আগে দুটি প্রস্তুতিমূলক প্রীতি ম্যাচ খেলবে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, ইকুয়েডর এবং গুয়াতেমালার বিপক্ষে ম্যাচ দুটি খেলবেন মেসিরা। ৯ জুন শিকাগোর সোলজার ফিল্ডে ইকুয়েডর ও পাঁচ দিন পর ওয়াশিংটন ডিসির কমান্ডার্স ফিল্ডে গুয়াতেমালার বিপক্ষে হবে দুই ম্যাচ।

২০ জুন আটলান্টায় কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা মিশন। তার আগে এই প্রস্তুতি হিসেবে এই দুটি ম্যাচই খেলার সুযোগ পাবে লা আলবিসেলেস্তেরা।

১২ জুনের মধ্যে কোপা আমেরিকার জন্য ২৬ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি।

এবারের কোপা আমেরিকায় গ্রুপ ‘এ’তে রয়েছে আর্জেন্টিনা। কানাডা ছাড়াও দেশটির অন্য দুই গ্রুপসঙ্গী পেরু ও চিলি।

;

সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন মিদুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’

আজ শুক্রবার (১৭ মে) আইভি রহমান সুইমিং কমপ্লেক্সে স্পোর্টস কার্নিভালের সাঁতার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই ইভেন্টে প্রথম হয়েছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের মিদুল হাসান। দ্বিতীয় হয়েছেন সংবাদ সংযোগের মো. শামীম হাসান এবং তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক কালবেলার ওমর ফারুক।

আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় শহীদ তাজউদ্দিন উডেন ফ্লোরে টেবিল টেনিস ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া একই দিন বিকেল ৩টায় বিএসপিএ কার্যালয়ে ক্যারাম ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আরচারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবক’টি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও। এছাড়া প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

;