‘মিরাজ এখন ১৬ কোটি মানুষের’



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাবার সঙ্গে সস্ত্রীক মেহেদী হাসান মিরাজ- ছবি:বার্তা২৪

বাবার সঙ্গে সস্ত্রীক মেহেদী হাসান মিরাজ- ছবি:বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা : ‘সব বাবা মা চায় তাদের সন্তান একটা ভালো চাকরি করুক, এটা আমিও চাইতাম। আমার ছেলে যে ক্রিকেটার হবে, তার উপরে আবার বিশ্বকাপে খেলবে, এটা তো চিন্তাই ছিলোনা। আল্লাহর রহমত আর সবার দোয়াতে এখন মিরাজ এত দূর।’ -কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা মেহেদী হাসান মিরাজের গর্বিত বাবা জালাল হোসেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলছে খুলনা জেলার মিরাজ।

খুলনার খালিশপুরের হাউজিংয়ের নর্থ জোনের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন মিরাজের পরিবার। সেখানে গিয়ে কথা হয় মিরাজের বাবা জালাল হোসেনের সঙ্গে।

জালাল হোসেন আলাপচারিতায় বার্তা২৪. কম-কে বলেন, ‘আমাদের বাড়ি বরিশাল বাকেরগঞ্জের আউলিয়াপুর গ্রামে। ওখানেই মিরাজের জন্ম হয়। মিরাজের যখন ৫ বছর বয়স তখন আমরা খুলনায় আসি। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট পাগল ছিলো মিরাজ। স্কুল ফাঁকি দিয়ে ক্রিকেট খেলতে যেতো। বাড়ির কাছে বিএল কলেজ মাঠ থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার মাঠ আর সব জায়গায়ই ক্রিকেট খেলতো ও। মেতে উঠতেন তিনি। শুরু থেকে আমি মিরাজের ক্রিকেট খেলাকে পছন্দ করতাম না। আমার নিষেধ থাকলেও ওর মায়ের অনুপ্রেরণা ছিল মিরাজের ক্রিকেট জীবনের শক্তি। আমি গরিব মানুষ, আর সবার মতো আমিও চাইতাম ছেলে ভালো পড়ালেখা করে সরকারি চাকরি করবে। বিসিএস বা ভালো পদে বসবে। কিন্তু ক্রিকেট খেলে যে ও এতদূর আসবে এটাতো আমার কল্পনাতেও ছিল না। তার উপরে বিশ্বকাপ খেলাতো সবাই স্বপ্ন দেখে। মিরাজ এখন সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে। পিতা হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।’

মিরাজ এখন ১৬ কোটি মানুষের : ছেলে যখন দেশের জন্য কিছু করতে পারে তখন তো পিতা হিসেবে আমার ভালো লাগবেই। আমি মনে করি মিরাজ এখন শুধু আমার না, মিরাজ এখন দেশের ১৬ কোটি মানুষের। ও যখন মাঠে নামে ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতেই মাঠে নামে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/02/1559468554468.jpg

ভালো থাকুক ওরা : যারা বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে গেসে সবাই আমার সন্তান। আমি শুধু আমার ছেলের জন্য না, পুরো টিমের সবার জন্য দোয়া করি। ভালো থাকুক ওরা সবাই। সুস্থ্য থেকে বাংলাদেশকে ওরা যেনো বিশ্বের দুয়ারে অনেক উচুঁতে নিয়ে যেতে পারে।

জায়নামাজে দোয়া করে মিরাজের মা : বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া সবার জন্য মিরাজের মা প্রতিরাতে জায়নামাজে দোয়া করেন। চোখের পানি ফেলে সব ছেলেদের জন্য মন থেকে দোয়া করে। ছেলেরা যেনো ভালো খেলতে পারে। ক্রিকেট ভালো না বুঝলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ মিরাজের মা ছাড়েনা। ছেলের সাফল্যে তিনি সব থেকে বেশি খুশি। যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।

বিশ্বকাপ দেখতে নতুন টিভি : আমার ছেলে বিশ্বকাপে খেলছে তাই বাসায় নতুন টিভি কিনেছি। শুধু আমার বাসার জন্যই না মিরাজের মামা বাড়ি আর ওর গ্রামের বাড়িতেও নতুন টিভি কিনে দিয়েছি। সবাই যেনো আমার ছেলের খেলা দেখতে পারে।

বাসার সবাইকে নিয়ে খেলা দেখি : আগে খেলার দিকে তেমন ঝোক ছিলোনা, মিরাজ যখন থেকে খেলে তখন থেকে খেলার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে আমাদের। এখন তো খেলা হলেই বাসার সবাইকে নিয়ে খেলা দেখতে বসে যাই। সবাইকে বলি কাজ কাম রেখে সবাই খেলা দেখতে বসো।

নিরহংকার মিরাজ : আমার মিরাজের একটুও অহংকার নেই। একবার ও বাড়িতে এলে অনেক লোকজন ওকে দেখতে আসে। তার ভেতরে একটা খোড়া ছেলে সারা গায়ে ময়লা মেখে আসলে মিরাজ ওই ছেলেটাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। তারপর তার সাথে ছবি তুলে তাকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তাই ওর জন্য এলাকাবাসী থেকে শুরু করে ওর বন্ধু বান্ধব সবাই দোয়া করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/02/1559468567141.jpg

সবাই সম্মান করে : আগে আমি ইজিবাইক চালাতাম। অনেকে বলে ইজিবাইক চালকের ছেলে বিশ্ব কাপাচ্ছে। এখন যেখানেই যাই, সবাই সম্মান করে। পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে যেকোনো জায়গায় গেলে সবাই বলে, ওই দেখো মিরাজের বাবা আসছে। শুনেই বুকটা ভরে ওঠে।

দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা : মিরাজ বিশ্বকাপে ভালো করুক, দেশের সেরা খেলোয়াড় হোক, আল্লাহর কাছে এটাই কামনা আমার।  দেশবাসীর কাছে দোয়া চান মিরাজের বাবা।

এ বছরের ২১ মার্চ খুলনার খালিশপুরের কাশিপুর মেঘনা অয়েলের নিকটে রাজধানী মোড় এলাকায় দীর্ঘ ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্কের ইতি টেনে উচ্চ মাধ্যমিক পড়–য়া রাবেয়া আক্তার প্রীতির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বিশ্বকাপে মিরাজ খেলছে এ বিষয়ে নববধূ রাবেয়া আক্তার প্রীতি বার্তা২৪. কম কে বলেন, আমি ক্রিকেট ভালো বুঝিনা, ফুটবল খেলা বুঝি। আগে একটুও ক্রিকেট খেলা দেখতাম না। কিন্তু এখন মিরাজ খেলে তাই ক্রিকেট দেখি। বিশ্বকাপে মিরাজ খেলছে, এটা আমার জন্যও অনেক গর্বের। পুরো বাংলাদেশ টিমকে নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী। বাংলাদেশ অবশ্যই অনেক ভালো কিছু করবে। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন মিরাজের নববধূ।

   

ম্যানসিটি নাকি আর্সেনাল, শেষ হাসি কার?



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের মধ্যে। তবে সেবার শেষের একটু আগে পা হড়কে যায় গানারদের। তাই শেষ পর্যন্ত হেসেখেলেই লিগ জিতে যায় সিটি। কিন্তু এবার মৌসুমের শেষ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। টানটান উত্তেজনাময় প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে যতি পড়বে আজ। শেষ দৃশ্যে ইতিহাদে উৎসব হবে নাকি এমিরেটসে, তা দেখতেই এখন মুখিয়ে গোটা ফুটবল দুনিয়া।

ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য শিরোপার হিসাব-নিকাশে আর্সেনালের কিছুটা এগিয়ে বা বলা যায় স্বস্তিতে আছে। ৩৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮৮, দুই পয়েন্টে পিছিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। শেষদিনে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট হ্যামকে হারিয়ে দিলেই টানা চতুর্থবার লিগ শিরোপার স্বাদ পাবে তারা।

আর্সেনালের জন্য হিসেবটা একটু কঠিন। ঘরের মাঠে যদি তারা এভারটনকে হারিয়েও দেয়, তবু চেয়ে থাকতে হবে সিটি-ওয়েস্ট হ্যাম ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচে সিটিজেনরা পয়েন্ট হারালেই কেবল ২০ বছর পর লিগ জয়ের উৎসব করতে পারবে তারা। যেহেতু সিটির চেয়ে আর্সেনাল ১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে আছে, তাই আর্সেনাল জিতলে ও সিটি ড্র করলে শিরোপা এমিরেটসে আসবে।

শিরোপার হিসাব-নিকাশ শেষ দিনের জন্য তোলা থাকলেও সেরা চারের হিসাব এবার আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে। ম্যানসিটি এবং আর্সেনালের সঙ্গে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলা।

এবার টেবিলের তলানিতে চোখ বুলানো যাক। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে আসা তিন ক্লাব বার্নলি, শেফিল্ড ইউনাইটেড ও লুটন টাউনই অবনমিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে বার্নলি এবং শেফিল্ডের অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে।

কাগজে-কলমে না হলেও প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে আসা লুটনের অবনমনও নিশ্চিত বলা চলে। কারণ মৌসুমের শেষ দিনে তারা যদি ফুলহ্যামকে হারিয়ে দেয় এবং টেবিলের ১৭ নম্বরে থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্ট নিজেদের ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান ২৯। কিন্তু গোল ব্যবধানে ফরেস্টের (-১৯) চেয়ে লুটন (-৩১) অনেক পিছিয়ে থাকায় জয়টা তাদের জন্য সান্ত্বনার হয়েই থাকবে।

;

টি-টোয়েন্টিতে চাপ বেশি, সেটিই উপভোগ করেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটিং ঝড়ের টি-টোয়েন্টিতে এখন চাপটা যে বোলারদের সবচেয়ে বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আগে বোলিং পেলে ব্যাটারদের কমে আটকানোর চাপ, পরে বোলিং করলে  ব্যাটাররা যেন সেই লক্ষ্য ছুঁতে না পারে সেই চাপ। সম্প্রতিই আইপিএলের ব্যাটিং ঝড়ের হাত থেকে বোলারদের বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোলারদের এমন চাপের বিষয়টিকে সায় দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। তবে সেই চাপ বেশ উপভোগ করেন তিনি এবং এই কারণেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট তার সবচেয়ে পছন্দের। 

সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে টুর্নামেন্টটির সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই দেশটিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসরে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে ‘গ্রিন রেড স্টোরি’ শিরোনামে বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে বিসিবি। সেখানেই নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বোলার সময় মুস্তাফিজ জানান কেন এই ফরম্যাটই তার সবচেয়ে পছন্দের। 

বিশেষ সেই সাক্ষাৎকারে মুস্তাফিজ বলেন, ‘ভালো লাগার প্রসঙ্গ এলে আমি টি-টোয়েন্টিটা বেশি পছন্দ করি। এই সংস্করণে চাপটা বেশি। এ কারণেই মনে হয় আমার ভালো লাগে। আমি চাপটা অনেক উপভোগ করি।’

জাতীয় দলের দায়িত্ব ফেরার আগে দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এবার আইপিএলে খেলেছেন মুস্তাফিজ। সেখানে বিশ্বের নামীদামী সব খেলোয়াড়, কোচদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই শিখেছেন অনেক কিছু। সেসব অনায়াসেই জাতীয় দলের বাকি পেসারদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চান তিনি। এবং দেশের পেস আক্রমণ নিয়ে বেশ আশাবাদী এই বাঁহাতি পেসার। ‘আমাদের যে পেস বোলাররা আছে- তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন ( বিশ্বকাপ দলে নেই), হাসান মাহমুদ। আমি যেটুকু শিখেছি, সেগুলো ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করব। এতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।’ 

;

আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুস্তাফিজকে মিস করেছে চেন্নাই 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস এবার বিদায় নিল প্লে-অফের আগেই। গতকালের প্লে-অফ নির্ধারণী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে জয়ের জন্য ২১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য পায় চেন্নাই। তবে শেষ চারে পৌঁছাতে হলে ম্যাচটিতে ২০১ রান তুললেই হতো। তবে চেন্নাই শেষ পর্যন্ত থামল আরও ১০ রান আগে, ১৯১ রানে। এতে ২৭ রানের জয়ে শেষ চারে উঠে যায় বেঙ্গালুরু। 

গতকালের ম্যাচটিতে চেন্নাইয়ের পেসাররা ছিলেন বেশ খরুচে। পেসারদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে কম ইকোনমি ছিল তুষার দেশপান্ডের, সেটিও ১২ দশমিক ২৫। এতেই আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানকে মিস করেছেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। আসরের শুরু থেকেই চোটের কারণে একাধিক ক্রিকেটারকে পায়নি। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পেস বিভাগে। এতে এর আগেও নিজেদের পেস আক্রমণে মুস্তাফিজের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। 

ম্যাচ শেষের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রুতুরাজ বলেন, ‘চোটের কারণে কনওয়ে নেই, পাশাপাশি - পাথিরানাও ইনজুরিতে পড়েছিল। তবে আমরা ফিজকে বেশি মিস করেছি। কেননা, স্কোয়াডের ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে এই জিনিসগুলো স্বাভাবিক। আমার কাছে ব্যক্তিগত মাইলফলকগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা এখানে জিততে পারিনি, তাই আমি কিছুটা হতাশ।’ 

এদিন পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬১ রান। এদিকে সিমারজিত সিং ১ ওভার করেই দিয়েছেন ১৯ রান। তবে স্পিনাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। মিচেল সান্টনার ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট। এদিকে মাহিশ থিকশানা কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৫ রান। এতে স্পিনারদের প্রশংসা করে রুতুরাজ আরও বলেন, ‘এটি একটি ভালো উইকেট ছিল। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। মৌসুমে ১৪ ম্যাচের সাতটিতে জয় পাওয়ায় আমি বেশ খুশি।’ 

চেন্নাইয়ের হয়ে সবশেষ ১মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেলে জাতীয় দলের দায়িত্বে দেশে ফেরেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের এবারের আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। যা এক আসরে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে নিজের আইপিএল অভিষেক মৌসুমে ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ।  

;

‘নেভারলুজেন’ মৌসুম শেষ লেভারকুজেনের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাফিকার ৫৯ বছরের আগের রেকর্ড ভেঙে ইউরোপে কোনো ক্লাব হিসেবে টানা ৪৯ ম্যাচের রেকর্ডটি সপ্তাহখানেক আগেই গড়ে বায়ার লেভারকুজেন। পরে বুন্দেসলিগায় এর আগের ম্যাচে বোখুমকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে প্রথম ইউরোপিয়ান ক্লাব হিসেবে অপরাজিত যাত্রা ফিফটি'র মাইলফলকটিও স্পর্শ করে তারা। রেকর্ড, কীর্তি, মাইলফলক। একের পর এক ম্যাচে এই তিনের কোনো একটি বিশেষণ যেন জুড়েই যাচ্ছে লেভারকুজেনের নামে। সেই যাত্রা বজায় থাকলো লিগের শেষ ম্যাচেও। গত রাতে অগসবুর্গকে ২–১ গোলে হারিয়েও অনন্য কীর্তিতে নিজেদের নাম তুলল ‘দ্য কোম্পানিস এলেভেন’ খ্যাত দলটি। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে প্রথম কোনো ক্লাব লিগ শেষ করলো অপরাজিত থেকে। 

এ নিয়ে মৌসুমে সব মিলিয়ে ৫১ ম্যাচে অপরাজিত লেভারকুজেন। এতে তাদের সঙ্গে এই বিশেষণটা পুরোপুরি মানায়, বায়ার লেভারকুজেন এই মৌসুমে ‘নেভারলুজেন’। শব্দটির উৎপত্তি অবশ্য তাদের থেকেই। গত রাতে অপরাজিত মৌসুম শেষে করে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা নিজেদের নতুন ডাকনাম দিয়েছেন ‘বায়ার জিরোফোর নেভারলুজেন’। 

অবিশ্বাস্য এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জিতল লেভারকুজেন। গত রাতে নিজেদের মাঠ বে অ্যারেনায় অগসবুর্গের ম্যাচটি লেভারকুজেনের শিরোপা উদযাপনের থাকেলও লিগে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছিল জাবি আলোনসোর দলটি। বাকি ম্যাচগুলো ছিল নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচগুলোতেও নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ধরে রেখেই মৌসুম শেষ করলো তারা। 

এই মৌসুমেই লেভারকুজেনের সম্ভাবনা আছে নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ৫৩-তে নিয়ে যাওয়ার। যেটি হলে তাদের নামের পাশে বসে যাবে ট্রেবল খেতাব। আগামী ২২ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালের আতালান্তার বিপক্ষে নামবে লেভারকুজেনন। এর দুদিন পর ২৫ মে ডিএফবি-পোকালের (জার্মান কাপ) ফাইনালে কাইজারস্লাটার্নের বিপক্ষে লড়বে তারা।

;