১১৬ বল হাতে রেখেই প্রোটিয়াদের হাসিমুখ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ডি কক-হাশিম আমলার ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়ারা পেলো অনায়াস জয়

ডি কক-হাশিম আমলার ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়ারা পেলো অনায়াস জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটে-বলে দাপটে হেসে-খেলে জয়! আফগানিস্তানকে নিয়ে রীতিমতো খেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। যে দলটি বিশ্বকাপ শুরুর আগে হুঙ্কার দিয়েছিল, তারাই এখন দিশেহারা। বড় ব্যবধানে একের পর এক ম্যাচ হেরে কোনঠাসা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি। বিশ্বকাপের লড়াইয়ে এবার প্রোটিয়ারাও উড়িয়ে দিয়েছে আফগানদের।

কার্ডিফ ওয়েলস স্টেডিয়ামে শনিবার ডাকওয়ার্থ ও লুইস ম্যাথডে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১৬ বল বাকী থাকতেই ধরা দিয়েছে দাপুটে জয়।

দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৪.১ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে অবশ্য ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৪৮ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৭ রান। সেই টার্গেট ২৮.৪ ওভারে ১ উইকেটে হারিয়ে তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। এটিই এবারের বিশ্বকাপে তাদের প্রথম জয়।

মামুলি সংগ্রহটা তুলে নিতে কোন বেগই পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক অনায়াসে রান তুলেছেন। যে উইকেটে সংগ্রাম করেছেন আফগান ব্যাটসম্যানরা সেখানে সাবলীল ছিলেন দু'জন। প্রথম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১০৪ রান। ৭২ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন কক।

এরপর আন্দিলে ফেলুকোয়ায়োকে নিয়ে বাকীটা পথ পাড়ি দেন হাশিম আমলা। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। ফেলুকোয়ায়োর ব্যাটে ১৭।

এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মন্দ ছিল না আফগানদের। আফগানিস্তান ৫.৫ ওভারে ৩৩ রান করার পরই প্রথম দফায় নেমে আসে বৃষ্টি। খেলা বন্ধ থাকে ২৫ মিনিট। এরপরই ফেরেন হজরতউল্লাহ জাজাই (২২)। নুর আলি জাদরান ফেরেন ৩২ রানে।

২০ ওভার শেষে আফগানদের রান যখন ২ উইকেটে ৬৯ তখন ফের নেমে আসে বৃষ্টি। এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর খেলা শুরু হলে বৃষ্টি আইনে কমে ম্যাচ দাঁড়ায় ৪৮ ওভারে। তারপরই পথ হারায় আফগানরা। ৭০ রানে ৬ উইকেট চলে যায়। এরপর একাই কিছুক্ষণ লড়লেন রশিদ খান। ২৫ বলে তিনি করেন ৩৫ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ইমরান তাহির নেন ২৯ রানে ৪ উইকেট। ক্রিস মরিস ১৩ রান খরচায় তুলেন তিন উইকেট। ম্যাচের সেরা ঘূর্ণি বলের জাদুকর ইমরান তাহির!

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

আফগানিস্তান: ৩৪.১ ওভারে ১২৫/১০ (জাজাই ২২, জাদরান ৩২, রহমত ৬, শাহিদি ৮, আসগর ০, নবি ১, ইকরাম ৯, নাইব ৫, রশিদ ৩৫, হামিদ ০, আফতাব ০*; রাবাদা ১/৩৬, ফেলুকোয়ায়ো ২/১৮, মরিস ৩/১৩, ইমরান ৪/২৯)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: (লক্ষ্য ৪৮ ওভারে ১২৭) ২৮.৪ ওভারে ১৩১/১ (আমলা ৪১*, ডি কক ৬৮, ফেলুকোয়ায়ো ১৭*; নাইব ১/২৯)
ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৯ উইকেটে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
ম্যাচসেরা: ইমরান তাহির

   

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;

টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’ সেখানে একক টেবিল টেনিস ইভেন্টে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের রুমেল খান। রানার্স-আপ হয়েছেন সংবাদ সংযোগের মো. শামীম হাসান এবং তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল।

আজ (শনিবার) সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোরে অনুষ্ঠিত হয় এই টেবিল টেনিস ইভেন্টটি।

এদিকে টেবিল টেনিসের দ্বৈত ইভেন্টে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রুমেল খান ও মাহমুদুন্নবী চঞ্চল জুটি। এর মধ্য দিয়ে দ্বিমুকুট জয় করেন রুমেল খান। দ্বৈতে রানার্স-আপ হয় মজিবুর রহমান ও মোরসালিন আহমেদ জুটি এবং তৃতীয় হয়েছে মো. শামীম হাসান ও সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জুটি।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আর্চারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবকটি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও। এছাড়া প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

;

শিরোপা জেতানোর দুই দিন পর কোচকে বিদায় করল জুভেন্টাস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দিন আগেই জুভেন্টাসকে কোপা ইতালিয়া জিতিয়েছিলেন ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। অথচ সেই কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে মেজাজ হারানোর কারণে ক্লাবের চাকরি হারাতে হলো তাকে।

তুরিনে আতালান্তাকে ১-০ গোলে হারায় জুভেন্টাস। ম্যাচ চলাকালে রেফারিদের উপর মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। শিরোপা উদযাপনের সময় ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল তার।

কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে তার আচরণ খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি ট্রাইব্যুনাল।

সেসব বিষয়ের জের ধরেই অ্যালেগ্রিকে চাকরীচ্যুত করেছে জুভেন্টাস। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে জুভেন্টাস লিখেছে, ‘ইতালিয়ান কাপ ফাইনালে ক্লাবের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আচরণ তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকে এই মূল্যবোধগুলো আপন করে নিতে হবে।’

জুভেন্টাসে অ্যালেগ্রির প্রথম অধ্যায় ছিল সাফল্যে মোড়ানো। ২০১৪-১৯ পর্যন্ত ‘তুরিনের বুড়ি’দের পাঁচটি লিগ, চারটি ইতালিয়ান কাপ জিতিয়েছিলেন। এছাড়া দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালও খেলেছিল তার দল।

তবে ২০২১-২২ মৌসুমে জুভেন্টাসে ফিরে আগের সে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেননি। এ যাত্রায় এক ইতালিয়ান কাপ ছাড়া আর কিছুই এনে দিতে পারেননি ক্লাবকে।

সিরি আ মৌসুমে এখনো দুই ম্যাচ বাকি রয়েছে জুভেন্টাসের। এই দুই ম্যাচে ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়াবেন পাওলো মন্তেরো। আগামী মৌসুমে বর্তমান বোলোনিয়া ম্যানেজার থিয়াগো মোত্তাকে অ্যালেগ্রির উত্তরসূরি করতে চাইছে জুভেন্টাস।

;

বিশ্বকাপের আগে বড় দুঃসংবাদ পেলেন পান্ডিয়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দুঃস্বপ্নের মতো এক আইপিএল কাটিয়েছে। ১৪ ম্যাচের ১০টি হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে আইপিএল শেষ হয়েছে তাদের। শেষ ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে ১৮ রানে হেরেছে তারা। হারের পর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে।

গুজরাট টাইটান্সে সফল দুই মৌসুম কাটিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছিলেন হার্দিক। চলতি মৌসুমে রোহিত শর্মাকে সরিয়ে তার হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয় মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু সেই নেতৃত্বই যেন তার জন্য শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল।

মাঠে সমর্থকদের দুয়ো, নিজের এবং দলের বাজে ফর্ম- সবমিলিয়ে ভুলে যাওয়ার মতো একটা আইপিএল কাটালেন হার্দিক। যার শেষবেলাতেও দুঃসংবাদ সঙ্গী হলো তার। মন্থর ওভাররেটের কারণ এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন তিনি।

যেহেতু এই মৌসুমে আর আইপিএলে মাঠে নামা হবে না হার্দিকের, তাই আগামী মৌসুমের প্রথম ম্যাচে এই শাস্তি প্রয়োগ হবে। ২০২৫ আইপিএলের প্রথম ম্যাচে খেলা হবে না তার।

এবারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৮ গড়ে ২১৬ রান এসেছে হার্দিকের ব্যাটে। অন্যদিকে বল হাতে উইকেট পেয়েছেন ১১টি। 

;