শুরুর দিন থেকেই ফেভারিট ইংল্যান্ড, শেষের দিনও তাই!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন, ইংল্যান্ড
একটি ম্যাচ জিতলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ মিলবে ইংল্যান্ডের

একটি ম্যাচ জিতলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ মিলবে ইংল্যান্ডের

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ড ফাইনালে খেলছে। খুব কি অবাক হওয়ার মতো তথ্য?

-মোটেও না। একেবারে সরল অঙ্কের সমাধানের সূত্র মেনেই ইংল্যান্ড এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই থেকেই ওয়ানডে ক্রিকেটের র‌্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান দল ছিলো ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালের চার দলের একটি তো বটেই, নিজ মাঠে ফাইনালও এবার ইংল্যান্ডই খেলবে-প্রায় সব ক্রিকেট বিশ্লেষক, পন্ডিত এমন ‘ক্রিকেট গণনা’ করেছিলেন।
 
 মাঠের পারফরমেন্সে সেই হিসেব ঠিকই মিলিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। ১৪ জুলাই লর্ডসের ফাইনালে যখন খেলতে নামছে তখনো ইংল্যান্ডই ফেভারিট। একেবারে শক্তপোক্ত ভাবে হট ফেভারিট!

লর্ডসের এই মাঠে অনেক ম্যাচ কাভার করা ইংল্যান্ডের এক বন্ধু সাংবাদিক ঝলমলো সূর্যকিরণের দিকে তাকিয়ে বললেন-‘ম্যাচের দিন যদি এখানে এমন সূর্যের তেজ থাকে তাহলে ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের সামনে ¯্রফে উড়ে যাবে এই নিউজিল্যান্ড।’

তার যুক্তি -‘দেখো, ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিউজিল্যান্ড যে ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছে তাতে বৃষ্টিভেজা আবহাওয়া অনেক বড়ো একটা ফ্যাক্টর ছিলো। লর্ডসে তেজি সূর্যকিরণ থাকলে সেই সুবিধা পাবে না কিউইরা। কড়কড়া রোদ পাওয়া লর্ডসের উইকেটে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলে ইংল্যান্ড ম্যাচের সেই ভাগেই ফাইনাল সমাধান করে ফেলবে!’

২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল। পেছনের এই চার বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের উত্তরণ বা বদলে যাওয়া-সত্যিকার অর্থেই বিস্ময়কর। বোলিংটা যে তাদের খুব আহামরি ধরনের কিছু তা কিন্তু নয়। তবে ব্যাট হাতে এই সময়ের মধ্যে ইংল্যান্ড ঘরানার ক্রিকেট খেলেছে তার নাম-‘নিষ্ঠুর ক্রিকেট!’

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের আগেভাগে বিদায় নেয়ার পর ইংল্যান্ড ওয়ানডে ক্রিকেটকে নতুন এক ফ্লেভার এনে দিয়েছে।

ব্যাট করতে নামলে এই দলটির একটাই লক্ষ্য-প্রতিপক্ষকে নকআউট করা! স্কোরবোর্ডে এতো বেশি রান তোলা যেন প্রতিপক্ষ তাতেই কাবু। ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের প্রথম দুটি স্কোরও এখন ইংল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৮১/৬ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৪৪/৩।

এবারের বিশ্বকাপেও ব্যাট হাতে সেই নিষ্ঠুরতাই দেখিয়েছে ইংল্যান্ড।

উদাহরণ খুঁজছেন?

আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের ম্যাচের স্কোরকার্ডে একবার চোখ বুলিয়ে নিন, উত্তর পেয়ে যাবেন। চলতি টুর্নামেন্টের ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের প্রথম এবং দ্বিতীয় রেকর্ডও তাদেরই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা তুলেছে ৩৯৭ রান রান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আছে তাদের আরেকটি রান বন্যার ৩৮৬ রানের ইনিংস।

ফাইনালেও ব্যাট হাতে তেমনকিছু করার পরিকল্পনা নিয়ে নামছে ইংল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড যদি শুরুতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং আটকাতে না পারে-তাহলে ১৪ জুলাই লর্ডসের ফাইনাল ম্যাচের গল্প এবং উপসংহার আপনি এতক্ষণে জেনে যাচ্ছেন নিশ্চয়ই!

   

বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেল না মালয়েশিয়া



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বড় জয় পাওয়া আত্মবিশ্বাসি বাংলাদেশ এবার হারিয়েছে মালয়েশিয়াকে। বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। সোমবার মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে মালেয়শিয়াকে ৬টি লোনাসহ ৭৩-২২ পয়েন্টে পরাজিত করেছে আরদুজ্জামান, মিজানুর, আল-আমিনরা। দারুণ ক্রীড়াশৈলী দেখিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন স্বাগতিক দলের রাইট রেইডার আল-আমিন।

বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে এবার দারুণ খেলছে বাংলাদেশ। গতকাল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় দক্ষিণ কোরিয়াকে ৬৭-২২ পয়েন্টে হারায় দলটি। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আজ মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও দাপুটে জয় তুলে নিতে সমর্থ হন আব্দুল জলিল শিষ্যরা। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ৩টি লোনাসহ ৩৭ পয়েন্ট এবং দ্বিতীয়ার্ধে ৩টি লোনাসহ আরো ৩৬ পয়েন্ট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিকদের টানা দ্বিতীয় জয়ের দিনে টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় হারের মুখ দেখেছে মালয়েশিয়া। গতকাল নেপালের কাছে ৬৭-৩০ পয়েন্ট ব্যবধানে হেরেছিল তারা।

বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির চতুর্থ আসর চলছে। চলতি আসরসহ টানা তিনটি আসরে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য অংশ রেইডার আল-আমিন। আজ মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা আল-আমিন ম্যাচশেষে বলেন, ‘আমি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছি এটা বড় কথা নয়। দল জয় পেয়েছে এটাই আমার কাছে বড়। টানা দ্বিতীয় জয় পেয়ে অবশ্যই আমরা আনন্দিত। মালয়েশিয়া শক্ত প্রতিপক্ষ। কিন্তু ম্যাচে আমরা দারুণ খেলে তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট তুলে নিয়েছি। এই ধারাবাহিকতা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ধরে রাখতে চাই। চ্যাম্পিয়ন হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই।’

বরিশালের ছেলে আল-আমিন। জাতীয় দলের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশেরও (বিজিবি) একজন সদস্য। ২৯ মে টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইন্দোনেশিয়া। আজ টানা দ্বিতীয় জয় পাওয়া আত্মপ্রত্যয়ী আল-আমিনরা তৃতীয় ম্যাচেও জেতার জন্য ম্যাটে নামবেন বলে জানান।

মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে দল জয় পাওয়াতে খুশি বাংলাদেশের কোচ আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে দল। আজ মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও বড় জয় পেয়েছে। আমি যেভাবে ছেলেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে দিচ্ছে সেটা তারা ম্যাচে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারছে। ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

;

বিশ্বকাপের আগে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে বাটলার



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর বাকি মাত্র ৫ দিন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। যেই ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ৪ জুন। তবে তার আগে গত আসরের রানাসআপ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলে প্রস্তুতি সারছে ইংল্যান্ড। আগামীকাল মাঠে গড়াবে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। যদিও সেই ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে না ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলারকে। পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে পরিবারের কাছে গেছেন তিনি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের সিরিজে অবশ্য ১-০ তে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। সিরিজে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে জশ বাটলারের দল। যেখানে বাটলার খেলেন ৫১ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। এমন একজন ব্যাটারকে তাই তৃতীয় ম্যাচে মিস করবে ইংলিশরা। তবে আপাতত ছুটি তৃতীয় ম্যাচের জন্য হলেও সেটা বেড়ে যেতে পারে কোনো জটিলতা তৈরি হলে। ফলে বাটলারকে ঠিক কবে নাগাদ পাওয়া যাচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বাটলার ছুটিতে থাকায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন মঈন আলী। তিনি অবশ্য নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতিটা নিয়ে রেখেছেন আগেভাগেই। সেটা বিশ্বকাপের মঞ্চে হলেও খুব বেশি দুশ্চিন্তার কারণ দেখছেন না তিনি। তবে প্রত্যাশা করছেন ঠিক সময়েই পৃথিবীতে আসবে বাটলারের সন্তান। এবং বাটলারও খুব দ্রুতই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। যদিও বাটলার জানিয়ে রেখেছেন তিনি কেবল বাবা হওয়ার সময়টাতেই স্ত্রীর পাশে থাকবেন। এরপর যতদ্রুত সম্ভব যোগ দেবেন দলের সঙ্গে।

অবশ্য কোনো কারণে বাটলারের ফিরতে বিলম্ব হলেও নেতৃত্ব ভার নিতে প্রস্তুত আছেন সহ-অধিনায়ক মঈন আলী। মঈন বলেন, ‘অবশ্যই যদি আমাকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়, তাহলে এটা আমার জন্য একটা বড় সম্মানের বিষয়। যেমনটা সবসময় হয়। আমি অধিনায়ক হিসেবে ভাল থাকব। কিছুই খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। এরপর যখন সে ফিরে আসবে, তখন সে দায়িত্ব নিবে। তবে আমি আশা, শিশুটি সঠিক সময়ে আসবে। তার খুব বেশি ম্যাচ মিস করতে হবে না।’

;

ক্রিকইনফোর আইপিএল একাদশে নেই হায়দরাবাদের কেউ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরো ৬৬ দিনের আইপিএলের এবারের আসর শেষ হয়েছে গতকাল। সেখানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় শিরোপা জেতে কলকাতা। আইপিএলের লম্বা এই আসর শেষের পরের দিন পুরো মৌসুমে পারফর্ম বিবেচনায় এবারের আসরের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে ক্রিকেট বিশ্লেষণভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো। তবে অবাক করা মতো বিষয় হলো, তাদের একাদশে জায়গা মেলেনি রানার্স-আপ হায়দরাবাদের কোনো ক্রিকেটারের।

আইপিএলের এবারের আসরের প্রথমপর্বে ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। এই আসরেই তারা আড়াইশ পেরোনো দলীয় সংগ্রহ পেয়েছে তিনবার। যা কোনো ফ্রাঞ্চাইজির পুরো আইপিএল ইতিহাস মিলেও নেই। তবে প্লে-অফে খুব একটা সুবিধা করতে পারলো না তাদের ব্যাটাররা। কোয়ালিফায়ারের বাঁধা দ্বিতীয়বারে উতরে গেলেও ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে অনেকটা একপেশেভাবেই হেরেছে তারা। 

ক্রিকইনফোর এই আইপিএল একাদশের সঙ্গে দুটি ইমপ্যাক্ট-সাবের নামও প্রকাশ করেছে তারা। সব মিলিয়ে হিসেব করলে সর্বোচ্চ চারজন ক্রিকেটার আছেন চ্যাম্পিয়ন কলকাতা থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনজন আছেন রাজস্থান থেকে। দুজন করে জায়গা মিলেছে বেঙ্গালুরু ও দিল্লি থেকে এবং একজন করে আছেন মুম্বাই ও লক্ষ্ণৌ থেকে। তবে জায়গা মেলেনি চেন্নাই, হায়দরাবাদ, গুজরাট ও পাঞ্জাবের কোনো ক্রিকেটারের। 

ক্রিকইনফোর প্রকাশ করা একাদশের দুই ওপেনার বেঙ্গালুরুর বিরাট কোহলি ও কলকাতার সুনীল নারাইন। ১৫ ম্যাচে ৬২ ছুঁইছুঁই গড় ও ১৫৪.৬৯ স্ট্রাইক রেটে আসরের সর্বোচ্চ ৭৪১ রান করেন কোহলি। এদিকে আরেক ওপেনার নারাইন তো জিতলেন টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব। ৪৮৮ রান ছাড়াও তিনি উইকেট নিয়েছেন ১৭টি। 

একাদশে তিনে জায়গা মিলেছে রাজস্থানের সঞ্জু স্যামসনের। দলের উইকেটরক্ষক ছাড়া অধিনায়কও তিনিই। দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বাদ পড়লেও ব্যাট হাতে আসরটা ভালোই কেটেছে রাজস্থানের অধিনায়কের। ১৬ ম্যাচে তার মোট রান ৫৩১, যা আসরের পঞ্চম সর্বোচ্চ। চারের জায়গাটিও রাজস্থানের দখলে, যেখানে আছেন রিয়ান পরাগ। মৌসুমে নিজেকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন তিনি। ১৬ ম্যাচে রান করেছেন ৫৭৩, যা আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ। 

পাঁচে আছেন ক্যারিবীয় ব্যাটার নিকোলাস পুরান। ১৪ ম্যাচে তার রান ৪৯৯। ব্যাটিং গড় ৬২.৩৭, যা আসরের সেরা দশ ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৮০। ছয়ে আছেন দিল্লির ট্রিস্টান স্টাবস। ১৪ ম্যাচে তার রান ৩৭৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১৯০ এর ওপরে। 

অলরাউন্ডার কোটায় সাতে আছেন আন্দ্রে রাসেল। ব্যাট হাতে মৌসুমটা খুব একটা ভালো না কাটলেও (১৪ ম্যাচে ২২২ রান) বোলিংয়ে ১৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি, যা যৌথভাবে আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা। 

আটে আছেন দলের একমাত্র বাঁহাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব। ১১ ম্যাচে তিনি উইকেট নিয়েছেন ১৬টি। বাকি তিন জায়গায় পেসারের। কলকাতার হারশিত রানা, মুম্বাইয়ের যশপ্রীত বুমরাহ ও রাজস্থানের সন্দ্বীপ শর্মা। তাদের মধ্যে ১৩ ম্যাচে আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০টি উইকেট নিএয়ছেন বুমরাহ। এদিকে সমান ম্যাচে হারশিতে উইকেট সংখ্যা ১৯ এবং ১১ ম্যাচে সন্দ্বীপ নিয়েছেন ১৩ উইকেট। 

ইমপ্যাক্ট-সাব হিসেবে আছেন ব্যাটার রজত পাতিদার ও স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। এর মধ্যে পাতিদার ১৫ ম্যাচে করেন ৩৯৫ এবং এবং বরুণ ১৫ ম্যাচে নিয়েছেন আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ উইকেট।

;

ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট বেশি খেলতে ওয়ানডেতে অবসরের ইঙ্গিত স্টার্কের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিচেল স্টার্ক। সময়ের অন্যতম তারকা পেসারদের একজন। তার বাঁ হাতের ইন-সুইং, ইয়োর্কার ব্যাটারদের কাছে যেন দুঃস্বপ্নের মতো। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই অজি পেস ইউনিটের অন্যতম ভরসার নাম স্টার্ক। 

আধুনিক ক্রিকেটে নিজেদের তারকা খ্যাতি বাড়াতে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নাম লেখান ক্রিকেটাররা। তবে স্টার্ক হেঁটেছিলেন ভিন্ন পথে। জাতীয় দলের দায়িত্বে মনোনিবেশ করতে ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। তবে আট বছর পর এবারের ২০২৪ আসরে নাম লেখান আইপিএলে এবং এখনো যে তার চাহিদা আকাশচুম্বী তার প্রমাণ মেলে নিলামেই। রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে তাকে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। 

আসরের শুরুতে বল হাতে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও প্লে-অফে নিজের জাত চেনান এই অজি পেসার। এর মধ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ারে স্বদেশী ট্রাভিস হেড এবং ফাইনালে অভিষেক শর্মার বোল্ড ছিল দেখার মতো একটা পারফেক্ট ডেলিভারি। এবার কলকাতার হাতেই উঠল শিরোপা এবং ফাইনালে ম্যাচসেরা স্টার্ক। সেই ম্যাচের পরই জানালেন এখন নতুন করে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়েই ভাবছেন তিনি এবং সেখানে বেশি মনোযোগ দিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো একটা ফরম্যাটকে বিদায় বলবেন। 

গতকালের ফাইনালের পর সংবাদ সম্মেলনে স্টার্ক বলেন, ‘গেল ৯ বছর আমি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকেই বেশি গুরুত্ দিয়েছি। শরীরকে বিশ্রামের সুযোগ দিয়েছি এবং ক্রিকেট থেকে দূরে থেকে স্ত্রীর সঙ্গেও কিছুটা সময় কাটিয়েছি। মূলত সেই নয় বছরে আমার লক্ষ্য সেটিই ছিল।’ 

তবে ৩৪ বছর বয়সে এসে লক্ষ্যটা এবার পাল্টাতে চান স্টার্ক। আগের চেয়ে বেশি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে চান। কারণ বয়সটা যে অবসরের দিকেই। ‘দেখুন, আমি ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে গেছি। একটা সংস্করণ এবার হয়তো বাদ দেব। পরবর্তী (ওয়ানডে) বিশ্বকাপ অনেক দূরে এবং এই সংস্করণটা আমি চালিয়ে যাব কি না...এটা হয়তো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দরজা আরও খুলে দেবে।

২০১৪ ও ২০১৫ আসরের পর এটি ছিল আইপিএলে স্টার্কের তৃতীয় আসর। সেখানে ১৪ ম্যাচে ১৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগের দুই আসরে রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ২৭ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৩৪ উইকেটে। 

;