টি-টুয়েন্টির একাদশে পেসার থাকছে, নিশ্চিত করলেন কোচ!



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের মাটিতে টেস্ট ম্যাচের একাদশ সাজাতে গিয়ে বাংলাদেশ দল সবচেয়ে বেশি চিন্তাশক্তি ব্যয় করে দুটো বিষয়ে; প্রথমত উইকেট। দ্বিতীয়: একাদশ সাজানো। দেশের মাটিতে টেস্ট মানেই যেন এখন পেসারবিহীন একাদশ। আর কোনো মতে একজন পেসার থাকলেও কয়েকওভার বোলিংয়ের পরে তিনি ম্যাচে প্রায় বেকার! তবে টি-টুয়েন্টিতে সেই ফমূর্লার পথে হাঁটছে না বাংলাদেশ। তিন জাতি টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নামার আগে সেটা নিশ্চিত করলেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

টুর্নামেন্ট পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাধারণত দলের অধিনায়কই আসেন। কিন্তু বাংলাদেশ দলের হয়ে এলেন কোচ নিজেই। চট্টগ্রাম টেস্ট চলাকালে সাকিব এতোবার দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন যে নতুন করে অধিনায়কের সম্ভবত বলার বাকি কিছু আর নেই!

টি-টুয়েন্টির একাদশ প্রসঙ্গে কোচ বলছিলেন-‘এটা ভিন্ন ফরম্যাটের খেলা। কন্ডিশনও ভিন্ন। এক বছরের মধ্যেই টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় হবে সেখানে আমাদের পেস বোলারদের অবশ্যই প্রয়োজন হবে। তাই টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে সন্দেহতীতভাবে আমাদের কিছু ফাস্ট বোলারের প্রয়োজন হবে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচের একাদশে থাকা নিয়ে তাহলে বাংলাদেশের পেসাররা কিছুটা স্বস্তি এখন পেতেই পারেন। টি-টুয়েন্টির ১৩ জনের দলে পেসার আছেন তিনজন। মুস্তাফিজুর রহমান ও সাইফুদ্দিন অভিজ্ঞজন। নতুন মুখ ইয়াসিন আরাফাত মিশু।

মিরপুরের টি-টুয়েন্টির উইকেট প্রসঙ্গে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানান-‘খেলা রাতের বেলা হবে। আমি এখনো উইকেট দেখিনি। পরে দেখবো। টেস্ট সিরিজে আমরা হেরেছি। খেলোয়াড়দের সবসময়ে উন্নতির চিন্তা করে সামনে বাড়তে হয়। একই ভাবে দলের কাছে কোচের বার্তা তাই-যথেস্ট কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। যথেস্ট প্রশিক্ষণ নিতে হবে। উন্নতির জন্য সুযোগ সবসময় থাকছে।’

টেস্ট সিরিজের ব্যর্থতা ভুলে তার দল টি-টুয়েন্টিতে ভালো সাফল্য নিয়ে আসবে বলে আশায় আছেন নতুন কোচ।

টেস্ট দলের সবার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে নতুন কোচের। কিন্তু টি-টুয়েন্টি দলের তিনজন ক্রিকেটার আফিফ, মিশু ও শেখ মেহেদি হাসানের সঙ্গে গতকালই প্রথম সাক্ষাত হলো কোচের ।

এখনো কোচ পরিচিতি পর্বের মধ্যেই আছেন। তবে টি-টুয়েন্টি লড়াই শুরুর আগে দলের কাছে তার পরিস্কার বার্তা-‘আমরা এই টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচে জয়ের জন্যই নামবো। তবে আগামীকালের (শুক্রবারের) ম্যাচে যে জিতবোই এমন কোনো গ্যারান্টি নেই। টি-টুয়েন্টি ম্যাচে যে কোন দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। জয়ের শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। তবে যা দিতে পারছি তা হলো জয়ের জন্য আমরা নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখাবো।’

জেতার জেদ তো ওতেই!

   

বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেল না মালয়েশিয়া



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বড় জয় পাওয়া আত্মবিশ্বাসি বাংলাদেশ এবার হারিয়েছে মালয়েশিয়াকে। বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। সোমবার মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে মালেয়শিয়াকে ৬টি লোনাসহ ৭৩-২২ পয়েন্টে পরাজিত করেছে আরদুজ্জামান, মিজানুর, আল-আমিনরা। দারুণ ক্রীড়াশৈলী দেখিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন স্বাগতিক দলের রাইট রেইডার আল-আমিন।

বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে এবার দারুণ খেলছে বাংলাদেশ। গতকাল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় দক্ষিণ কোরিয়াকে ৬৭-২২ পয়েন্টে হারায় দলটি। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আজ মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও দাপুটে জয় তুলে নিতে সমর্থ হন আব্দুল জলিল শিষ্যরা। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ৩টি লোনাসহ ৩৭ পয়েন্ট এবং দ্বিতীয়ার্ধে ৩টি লোনাসহ আরো ৩৬ পয়েন্ট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিকদের টানা দ্বিতীয় জয়ের দিনে টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় হারের মুখ দেখেছে মালয়েশিয়া। গতকাল নেপালের কাছে ৬৭-৩০ পয়েন্ট ব্যবধানে হেরেছিল তারা।

বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির চতুর্থ আসর চলছে। চলতি আসরসহ টানা তিনটি আসরে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য অংশ রেইডার আল-আমিন। আজ মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা আল-আমিন ম্যাচশেষে বলেন, ‘আমি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছি এটা বড় কথা নয়। দল জয় পেয়েছে এটাই আমার কাছে বড়। টানা দ্বিতীয় জয় পেয়ে অবশ্যই আমরা আনন্দিত। মালয়েশিয়া শক্ত প্রতিপক্ষ। কিন্তু ম্যাচে আমরা দারুণ খেলে তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট তুলে নিয়েছি। এই ধারাবাহিকতা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ধরে রাখতে চাই। চ্যাম্পিয়ন হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই।’

বরিশালের ছেলে আল-আমিন। জাতীয় দলের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশেরও (বিজিবি) একজন সদস্য। ২৯ মে টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইন্দোনেশিয়া। আজ টানা দ্বিতীয় জয় পাওয়া আত্মপ্রত্যয়ী আল-আমিনরা তৃতীয় ম্যাচেও জেতার জন্য ম্যাটে নামবেন বলে জানান।

মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে দল জয় পাওয়াতে খুশি বাংলাদেশের কোচ আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে দল। আজ মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও বড় জয় পেয়েছে। আমি যেভাবে ছেলেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে দিচ্ছে সেটা তারা ম্যাচে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারছে। ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

;

বিশ্বকাপের আগে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে বাটলার



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর বাকি মাত্র ৫ দিন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। যেই ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ৪ জুন। তবে তার আগে গত আসরের রানাসআপ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলে প্রস্তুতি সারছে ইংল্যান্ড। আগামীকাল মাঠে গড়াবে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। যদিও সেই ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে না ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলারকে। পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে পরিবারের কাছে গেছেন তিনি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের সিরিজে অবশ্য ১-০ তে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। সিরিজে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে জশ বাটলারের দল। যেখানে বাটলার খেলেন ৫১ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। এমন একজন ব্যাটারকে তাই তৃতীয় ম্যাচে মিস করবে ইংলিশরা। তবে আপাতত ছুটি তৃতীয় ম্যাচের জন্য হলেও সেটা বেড়ে যেতে পারে কোনো জটিলতা তৈরি হলে। ফলে বাটলারকে ঠিক কবে নাগাদ পাওয়া যাচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বাটলার ছুটিতে থাকায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন মঈন আলী। তিনি অবশ্য নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতিটা নিয়ে রেখেছেন আগেভাগেই। সেটা বিশ্বকাপের মঞ্চে হলেও খুব বেশি দুশ্চিন্তার কারণ দেখছেন না তিনি। তবে প্রত্যাশা করছেন ঠিক সময়েই পৃথিবীতে আসবে বাটলারের সন্তান। এবং বাটলারও খুব দ্রুতই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। যদিও বাটলার জানিয়ে রেখেছেন তিনি কেবল বাবা হওয়ার সময়টাতেই স্ত্রীর পাশে থাকবেন। এরপর যতদ্রুত সম্ভব যোগ দেবেন দলের সঙ্গে।

অবশ্য কোনো কারণে বাটলারের ফিরতে বিলম্ব হলেও নেতৃত্ব ভার নিতে প্রস্তুত আছেন সহ-অধিনায়ক মঈন আলী। মঈন বলেন, ‘অবশ্যই যদি আমাকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়, তাহলে এটা আমার জন্য একটা বড় সম্মানের বিষয়। যেমনটা সবসময় হয়। আমি অধিনায়ক হিসেবে ভাল থাকব। কিছুই খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। এরপর যখন সে ফিরে আসবে, তখন সে দায়িত্ব নিবে। তবে আমি আশা, শিশুটি সঠিক সময়ে আসবে। তার খুব বেশি ম্যাচ মিস করতে হবে না।’

;

ক্রিকইনফোর আইপিএল একাদশে নেই হায়দরাবাদের কেউ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরো ৬৬ দিনের আইপিএলের এবারের আসর শেষ হয়েছে গতকাল। সেখানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় শিরোপা জেতে কলকাতা। আইপিএলের লম্বা এই আসর শেষের পরের দিন পুরো মৌসুমে পারফর্ম বিবেচনায় এবারের আসরের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে ক্রিকেট বিশ্লেষণভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো। তবে অবাক করা মতো বিষয় হলো, তাদের একাদশে জায়গা মেলেনি রানার্স-আপ হায়দরাবাদের কোনো ক্রিকেটারের।

আইপিএলের এবারের আসরের প্রথমপর্বে ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। এই আসরেই তারা আড়াইশ পেরোনো দলীয় সংগ্রহ পেয়েছে তিনবার। যা কোনো ফ্রাঞ্চাইজির পুরো আইপিএল ইতিহাস মিলেও নেই। তবে প্লে-অফে খুব একটা সুবিধা করতে পারলো না তাদের ব্যাটাররা। কোয়ালিফায়ারের বাঁধা দ্বিতীয়বারে উতরে গেলেও ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে অনেকটা একপেশেভাবেই হেরেছে তারা। 

ক্রিকইনফোর এই আইপিএল একাদশের সঙ্গে দুটি ইমপ্যাক্ট-সাবের নামও প্রকাশ করেছে তারা। সব মিলিয়ে হিসেব করলে সর্বোচ্চ চারজন ক্রিকেটার আছেন চ্যাম্পিয়ন কলকাতা থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনজন আছেন রাজস্থান থেকে। দুজন করে জায়গা মিলেছে বেঙ্গালুরু ও দিল্লি থেকে এবং একজন করে আছেন মুম্বাই ও লক্ষ্ণৌ থেকে। তবে জায়গা মেলেনি চেন্নাই, হায়দরাবাদ, গুজরাট ও পাঞ্জাবের কোনো ক্রিকেটারের। 

ক্রিকইনফোর প্রকাশ করা একাদশের দুই ওপেনার বেঙ্গালুরুর বিরাট কোহলি ও কলকাতার সুনীল নারাইন। ১৫ ম্যাচে ৬২ ছুঁইছুঁই গড় ও ১৫৪.৬৯ স্ট্রাইক রেটে আসরের সর্বোচ্চ ৭৪১ রান করেন কোহলি। এদিকে আরেক ওপেনার নারাইন তো জিতলেন টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব। ৪৮৮ রান ছাড়াও তিনি উইকেট নিয়েছেন ১৭টি। 

একাদশে তিনে জায়গা মিলেছে রাজস্থানের সঞ্জু স্যামসনের। দলের উইকেটরক্ষক ছাড়া অধিনায়কও তিনিই। দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বাদ পড়লেও ব্যাট হাতে আসরটা ভালোই কেটেছে রাজস্থানের অধিনায়কের। ১৬ ম্যাচে তার মোট রান ৫৩১, যা আসরের পঞ্চম সর্বোচ্চ। চারের জায়গাটিও রাজস্থানের দখলে, যেখানে আছেন রিয়ান পরাগ। মৌসুমে নিজেকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন তিনি। ১৬ ম্যাচে রান করেছেন ৫৭৩, যা আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ। 

পাঁচে আছেন ক্যারিবীয় ব্যাটার নিকোলাস পুরান। ১৪ ম্যাচে তার রান ৪৯৯। ব্যাটিং গড় ৬২.৩৭, যা আসরের সেরা দশ ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৮০। ছয়ে আছেন দিল্লির ট্রিস্টান স্টাবস। ১৪ ম্যাচে তার রান ৩৭৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১৯০ এর ওপরে। 

অলরাউন্ডার কোটায় সাতে আছেন আন্দ্রে রাসেল। ব্যাট হাতে মৌসুমটা খুব একটা ভালো না কাটলেও (১৪ ম্যাচে ২২২ রান) বোলিংয়ে ১৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি, যা যৌথভাবে আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা। 

আটে আছেন দলের একমাত্র বাঁহাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব। ১১ ম্যাচে তিনি উইকেট নিয়েছেন ১৬টি। বাকি তিন জায়গায় পেসারের। কলকাতার হারশিত রানা, মুম্বাইয়ের যশপ্রীত বুমরাহ ও রাজস্থানের সন্দ্বীপ শর্মা। তাদের মধ্যে ১৩ ম্যাচে আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০টি উইকেট নিএয়ছেন বুমরাহ। এদিকে সমান ম্যাচে হারশিতে উইকেট সংখ্যা ১৯ এবং ১১ ম্যাচে সন্দ্বীপ নিয়েছেন ১৩ উইকেট। 

ইমপ্যাক্ট-সাব হিসেবে আছেন ব্যাটার রজত পাতিদার ও স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। এর মধ্যে পাতিদার ১৫ ম্যাচে করেন ৩৯৫ এবং এবং বরুণ ১৫ ম্যাচে নিয়েছেন আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ উইকেট।

;

ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট বেশি খেলতে ওয়ানডেতে অবসরের ইঙ্গিত স্টার্কের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিচেল স্টার্ক। সময়ের অন্যতম তারকা পেসারদের একজন। তার বাঁ হাতের ইন-সুইং, ইয়োর্কার ব্যাটারদের কাছে যেন দুঃস্বপ্নের মতো। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই অজি পেস ইউনিটের অন্যতম ভরসার নাম স্টার্ক। 

আধুনিক ক্রিকেটে নিজেদের তারকা খ্যাতি বাড়াতে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নাম লেখান ক্রিকেটাররা। তবে স্টার্ক হেঁটেছিলেন ভিন্ন পথে। জাতীয় দলের দায়িত্বে মনোনিবেশ করতে ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। তবে আট বছর পর এবারের ২০২৪ আসরে নাম লেখান আইপিএলে এবং এখনো যে তার চাহিদা আকাশচুম্বী তার প্রমাণ মেলে নিলামেই। রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে তাকে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। 

আসরের শুরুতে বল হাতে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও প্লে-অফে নিজের জাত চেনান এই অজি পেসার। এর মধ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ারে স্বদেশী ট্রাভিস হেড এবং ফাইনালে অভিষেক শর্মার বোল্ড ছিল দেখার মতো একটা পারফেক্ট ডেলিভারি। এবার কলকাতার হাতেই উঠল শিরোপা এবং ফাইনালে ম্যাচসেরা স্টার্ক। সেই ম্যাচের পরই জানালেন এখন নতুন করে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়েই ভাবছেন তিনি এবং সেখানে বেশি মনোযোগ দিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো একটা ফরম্যাটকে বিদায় বলবেন। 

গতকালের ফাইনালের পর সংবাদ সম্মেলনে স্টার্ক বলেন, ‘গেল ৯ বছর আমি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকেই বেশি গুরুত্ দিয়েছি। শরীরকে বিশ্রামের সুযোগ দিয়েছি এবং ক্রিকেট থেকে দূরে থেকে স্ত্রীর সঙ্গেও কিছুটা সময় কাটিয়েছি। মূলত সেই নয় বছরে আমার লক্ষ্য সেটিই ছিল।’ 

তবে ৩৪ বছর বয়সে এসে লক্ষ্যটা এবার পাল্টাতে চান স্টার্ক। আগের চেয়ে বেশি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে চান। কারণ বয়সটা যে অবসরের দিকেই। ‘দেখুন, আমি ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে গেছি। একটা সংস্করণ এবার হয়তো বাদ দেব। পরবর্তী (ওয়ানডে) বিশ্বকাপ অনেক দূরে এবং এই সংস্করণটা আমি চালিয়ে যাব কি না...এটা হয়তো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দরজা আরও খুলে দেবে।

২০১৪ ও ২০১৫ আসরের পর এটি ছিল আইপিএলে স্টার্কের তৃতীয় আসর। সেখানে ১৪ ম্যাচে ১৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগের দুই আসরে রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ২৭ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৩৪ উইকেটে। 

;