খুঁড়িয়ে হলেও ফাইনালে খেলতে চান রশিদ!



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ফিজিওর পরিচর্যায় রশিদ খান, সোমবার মিরপুরে

ফিজিওর পরিচর্যায় রশিদ খান, সোমবার মিরপুরে

  • Font increase
  • Font Decrease

-ফাইনালে খেলার মতো ফিট কিনা আপনি?

আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খানকে সংবাদ সম্মেলনে প্রথমেই এই প্রশ্ন শুনতে হলো। রশিদের জবাব-‘ ফিটনেস নিয়ে আমি এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারবো না। হ্যামস্ট্রিং সমস্যাটা আছে। আজ এবং আগামীকাল পর্যন্ত আমাকে এই সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। সোমবার অনুশীলনে দেখবো কি অবস্থায় আছে ইনজুরির ধরন। তারপর আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেবো খেলার বিষয়ে।’

তিনি দলের সেরা তারকা। ম্যাচ উইনার। দলনেতা। বল হাতে দলের সবচেয়ে প্রভাবী ক্রিকেটার। এমন একজন ক্রিকেটার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যদি খেলতে না পারে তাহলে তো নিশ্চিতভাবে তার দল ভুগবে?

এই প্রশ্নের সঙ্গেও একমত হলেন না আফগান অধিনায়ক-‘আমাদের অন্য পরিকল্পনাও সাজানো আছে। মুজিব ও নবীর মতো দক্ষতাসম্পন্ন স্পিনার আছে আমাদের। তাছাড়া বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে শরফুদ্দিন আশরাফও আছে। আশরাফ বেশ ভাল একজন অলরাউন্ডারও।’

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের অষ্টম ওভারের সময় ফিল্ডিং করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন রশিদ। কয়েকওভারের জন্য মাঠের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নেন। সেই ব্যথা সঙ্গে নিয়েই আবার মাঠে নামেন। চিন্তা একটাই দলকে জেতাতে হবে। হ্যামস্ট্রিংয়ের সেই চোট নিয়ে ম্যাচে ৩ ওভার বোলিং করেন রশিদ খান। প্রায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বোলিং করেও দুটি উইকেটও পান। শেষের দিকে কোন রান আপ না নিয়ে জায়গায় দাড়িয়ে বোলিং করেন তিনি। যদিও ম্যাচটা বাঁচাতে পারেননি। সাকিবের ব্যাটিং বীরত্বে বাংলাদেশ সেই ম্যাচ জিতে নেয় ৪ উইকেটে।

আর রশিদ খান হ্যামস্ট্রিং নিয়ে বোলিং করে তার চোটকে আরো জটিল করে ফেললেন!

-ওভারে চোট নিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বোলিং করাটা কি ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো না?

বার্তাটোয়েন্টিফোরের এই প্রশ্নের উত্তরে রশিদ জানালেন-‘আসলে ইনজুরির মাত্রাটা কেমন ছিলো সেটা জানতেই আমি চোট নিয়েই বোলিং করেছি। ফিজিও এবং কোচ চাইছিলেন না, আমি যেন বোলিং করি। আমি প্রথম দুই ওভার ভালই বোলিং করি। কিন্তু দৌড়াতেই গিয়েই বিপদটা আরেকবার বাড়িয়ে ফেলি। ইনজুরির অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়ে। আশা করছি আমার এই ইনজুরি আগামীকাল ফাইনালের আগে ঠিক হয়ে যাবে। ফিজিওর সামনে এখন অনেক কাজ।’

-ইনজুরি নিয়ে বোলিং করা, দৌড়ানোর সেই সিদ্ধান্তের জন্য এখন কোন দুঃখ হচ্ছে কিনা? এখন তো ফাইনাল ম্যাচে খেলাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়লো আফগান অধিনায়কের!

এই প্রশ্নে রশিদের ব্যাখা-বিশ্লেষণ সত্যিকার অর্থেই তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য শিক্ষনীয়-‘প্রথমেই বলে নেই, আমার বোলিং করা উচিত ছিল না। কিন্তু দল যখন আপনাকে চাইবে, তখন তো আপনাকে সেখানে হাজির হতেই হবে। আমরা তো আসলে দেশের জন্যই খেলি। যা কিছু করি, সবই দেশের জন্য। বিশ্বাস করুন, যদি এক হাত না থাকে তাও আমরা দেশের হয়ে লড়তে নেমে যাবো। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের একটা ম্যাচে আসগর আফগান তার অ্যাপেন্ডিসাইটিস অস্ত্রোপচারের মাত্র চারদিনের মধ্যেই ম্যাচ খেলতে নেমে গিয়েছিল। যদি আমি শতকরা ১০ ভাগও ফিট থাকি, তাও ফাইনালে খেলবো! আমি আমার দেশকে ভালবাসি। আমি নিজের জন্য চিন্তা করি না, দেশের জন্যই জিততে চাই।’

ইনজুরির যে ধরন রশিদ খানের তাতে ফাইনালে তাকে প্রায় সবাই অনিশ্চিতই ধরে রেখেছেন। তবে রশিদ খান সম্ভবত খুঁড়িয়ে হলেও ঠিকই ফাইনাল খেলে দেবেন।

৪ ওভার বোলিং তো মাত্র! দেশের জন্য এই ম্যাচে একটু না হয় বাড়তি কষ্টই করলাম-এই চিন্তা নিয়েই ফাইনালের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন আফগান অধিনায়ক!

   

বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরই মেয়েদের টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর বসবে বাংলাদেশের মাটিতে। আর তার আগে বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে ভারতীয় নারী দল। সফরে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে তারা। যার প্রথমটি মাঠে গড়াচ্ছে আজ। যেখানে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর।

এর আগে সবশেষ জুলাই মাসেই মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত। সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এরপর কদিন আগে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য সবশেষ সিরিজে হারতে হয়েছে ভারতেও। তাদের বিপক্ষেও প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই দু’দলের সামনেই সুযোগ জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করে এগিয়ে যাওয়ার।

ভারত একাদশ: হরমনপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), স্মৃতি মান্ধানা, ইয়াস্তিকা ভাটিয়া, দীপ্তি শর্মা, শেফালি ভার্মা, সাজনা সজীবন, রিচা ঘোষ, পূজা ভাস্ত্রকার, রেণুকা সিং ঠাকুর, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল, রাধা যাদব।

বাংলাদেশ একাদশ: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, দিলারা আক্তার দোলা, সোবহানা মোস্তারি, মুর্শিদা খাতুন, ঝর্ণা আক্তার, রাবেয়া, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, সুলতানা খাতুন, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা।

;

ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ এখন পাকিস্তানের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকটা অনুমেয়ই ছিল পাকিস্তানের কোচ হতে যাচ্ছেন জেসন গিলেস্পি ও গ্যারি কার্স্টেন। এরপরও দেশটা পাকিস্তান বলেই শেষ ঘোষণা না আসা পর্যন্ত শঙ্কা থাকেই। অবশেষে সেই শঙ্কায় দূর হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি।

অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি পেসার জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট কোচ করা হয়েছে। অন্যদিকে সাদা বল অর্থাৎ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২০১১ সালে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গ্যারি কার্স্টেনকে। অন্যদিকে সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজে সাময়িকভাবে দায়িত্ব সামলানো আজহার মাহমুদকে সব ফরম্যাটেই সহকারী কোচ হিসেবে রাখা হয়েছে। আর এই তিন জনকেই আগামী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি।

আসছে জুন মাসেই বসবে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর। আর সেই আসরের আগেই পাকিস্তান দলের ইংল্যান্ড সফরে দলের দায়িত্ব নেবেন কার্স্টেন। যেখানে তার অধীনে ২২ মে চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। যা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এরপর সেখান থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে বিমান ধরবে পাকিস্তান দল। অন্যদিকে পাকিস্তানের টেস্ট কোচ হিসেবে গিলেস্পির যাত্রা শুরু হবে আগস্টে। যেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে পাকিস্তান দল।

এই তিন কোচের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি বলেন, ‘তাদের তিন জনেরই দুর্দান্ত রেকর্ড আছে। আমি তাদের পাকিস্তান ক্রিকেট পরিবারে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। জেসনের কোচিং ক্যারিয়ার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়েই সাফল্যের ছিল। তাকে খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং দলের পারফরম্যান্সের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে গ্যারির কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। তার জয়ী মানসিকতা, সেই সঙ্গে তরুণ প্রতিভা বিকাশ করার ক্ষমতা রয়েছে। খেলার সর্বোচ্চ স্তরে সাফল্য অর্জন করেছে সে, তাকে ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্মানিত এবং ডিমান্ডেবল কোচদের একজন করে তোলেছে।’

;

লিগ শিরোপা জেতার অপেক্ষা বাড়ল পিএসজির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রেঞ্চ লিগের নিচের সারির দল লে হাভ্রের সঙ্গে টেবিল টপার পিএসজির ম্যাচ, তাও আবার পিএসজির ঘরের মাঠে। এই ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিবে স্বাগতিকরা, তা দেখা ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে সবাইকে অবাক করে পিএসজিকে রুখে দিল লে হাভ্রে, ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হলো ম্যাচ।

চলতি মৌসুমের ফ্রেঞ্চ লিগ শিরোপা নিশ্চিতই বলা যায় পিএসজির। তবে এই ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট আদায় করতে পারলেই আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা যেত লুইস এনরিকের দলকে। তবে হতাশাজনক এই ড্রয়ের পর সেই অপেক্ষা আরেকটু বাড়ল তাদের।

এদিন ম্যাচের ১৯তম মিনিটে প্রথম গোল হজম করে পিএসজি। মিনিট দশেক পরে তা শোধ করেন ব্র্যাডলি বারকোলা। বিরতির আগে আবারও এগিয়ে যায় লে হাভ্রে।

বিরতির পরই দেম্বেলের পরিবর্তে দলকে উদ্ধার করতে মাঠে নামেন কিলিয়ান এমবাপে। ৬১তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় সফরকারীরা। ম্যাচ হাত থেকে ছুটে যেতে থাকায় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। ৭৯তম মিনিটে পিএসজির হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন হাকিমি। এক গোলে পিছিয়ে থেকেই হারতে যাচ্ছে পিএসজি বেশিরভাগ দর্শকরা তাই ধরে নিয়েছিল।

তবে যোগ করা সময়ের শেষ মুহুর্তে এসে দলের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস। ফলে ৩-৩ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। এই ড্রয়ের পর ৩১ ম্যাচে ৭০ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ্বেই আছে এমবাপেরা। তবে কাগজে-কলমে এখনো দুইয়ে থাকা মোনাকোর লিগ জয়ের সম্ভাবনা আছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে পিএসজিকে বিজয়ী ঘোষণা করা যাচ্ছে না।

;

অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল লেভারকুসেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুন্দেসলিগার শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে আরও আগেই। লিগ জয়ের উদযাপনও অনেকাংশেই শেষ করে রেখেছে বায়ার লেভারকুসেন। তবে এবার ইতিহাস গড়ার দিকেই যেন নজর তাদের। গতরাতে স্টুটগার্ডের সঙ্গে ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ করে এমনটাই আভাস দিয়েছে লেভারকুসেন।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই কিছুটা চাপে ছিল স্বাগতিকরা। ফলস্বরূপ প্রথমার্ধে একের অধিক আক্রমণের শিকার হয় তারা। যদিও গোল দিতে ব্যর্থ হয় স্টুটগার্ড। তবে বিরতির পর মাঠে নেমেই দশ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল হজম করে বসে লেভারকুসেন।

তবে পরপর কয়েক ম্যাচে নিজেদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচে ফেরত এসেছে লেভারকুসেন এই নজির তো আছেই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ৬১তম মিনিটে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন আমিনে আডলি। ম্যাচের শেষ বাঁশি যেকোনো সময়ে বেজে উঠবে, হার নিয়ে মাঠ ছাড়বে লেভারকুসেন তা যখন অনেকেই নিশ্চিত, ঠিক তখনই চমক দেখাল তারা!

যোগ করা সময়ে (৯৬ তম মিনিটে) সমতাসূচক গোলটি দিয়ে পুরো গ্যালারিতে উল্লাসের জন্ম দেন রবার্ট আন্ড্রিক। এই ড্রয়ের সঙ্গে লেভারকুসেনের চলতি মৌসুমে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটিও তারা ধরে রাখল। লিগের আর মাত্র তিনটি ম্যাচ বাকি জাবি আলোনসোর দলের। এর একটি ম্যাচও না হেরে শেষ করতে পারলেই লেভারকুসেন গড়বে ইতিহাস।

;