ঢাকা সফরে ফিফা সভাপতি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ বৃহস্পতিবার সকালে
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ১৬ ঘন্টার সফরে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ঢাকায় আসছেন। হযরত শাহজালাল (রাঃ) বিমানবন্দরে তিনি রাত দেড়টায় নামছেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফিফা সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো তিনি বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
১৬ ঘন্টার এই সংক্ষিপ্ত সফরে ফিফা সভাপতি বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এদিনের বাকি সময়টা কাটবে তার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর সঙ্গে কর্মব্যস্ততায়।
বিশ্ব ফুটবলের টপ বসের এই ঢাকা সফর উপলক্ষে বাফুফেতে সাজসাজ রব। মতিঝিলের সুরম্য বাফুফে ভবনে নতুন রংয়ের পলিশ দেওয়া হয়েছে। সিঁড়ি-বারান্দা থেকে বাফুফের চেয়ার- টেবিল পর্যন্ত সব ঝাঁ চকচকে!
বোঝাই যাচ্ছে বিশেষ অতিথি আসছেন। ফিফা সভাপতির জন্য বাফুফে ভবনে লাল গালিচার সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ইনফান্তিনো চলে আসবেন বাফুফে ভবনে। এখানে বিভিন্ন প্রজেক্টরের মাধ্যমে বাফুফে তাদের ফুটবল কার্যক্রম সম্পর্কে ফিফা বসকে অবহিত করবে। মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য হোটেলে ফিরে যাবেন। সেখানেই দুপুর ২টা ২০ মিনিটে অংশ নেবেন সাংবাদিক সম্মেলনে।
এই সফরে ফিফার কাছ থেকে চাওয়া বা আদায় করার মতো বিশেষ কোনো এজেন্ডা কি আছে বাফুফের?
এই প্রশ্নের উত্তরে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নায়েম সোহাগ জানান-‘ তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট চাওয়া পাওয়া আমাদের থাকবে না। আমাদের সাম্প্রতিক সাফল্যগুলো আমরা তার সামনে তুলে ধরবো। আর সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার আমাদের ফুটবল উন্নয়নে কিভাবে সাহায্য সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, আমরা সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে তাকে জানাবো। ফিফা আমাদের এখানে যে প্রজেক্টগুলোতে সহায়তা দিচ্ছে সেগুলো যেন অব্যাহত থাকে এবং সার্বিকভাবে আমরা যাতে ফুটবল উন্নয়নের কাজ আরো প্রসারিত করতে পারি সেই বিষয়ে ফিফার সহযোগিতা কামনা করবো।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ফিফা সভাপতির বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের জানান-‘তার এই সফরটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবল উন্নয়নের জন্য আমরা কি কি কর্মসূচি নিয়েছি সেটা তিনি নিজে এসে দেখে যাবেন। আর যেহেতু এটা মূলত একটা শুভেচ্ছা সফর তাই আমরা সুনির্দিষ্ট করে তার কাছ থেকে কোনো কিছুর দাবি বা চাওয়া-পাওয়ার প্রসঙ্গটা উত্থাপন করবো না। তবে কথা প্রসঙ্গে যদি কিছু আলোচনায় তেমন বিষয়ের সূচনা হয় তখন আমরা হয়তো সেগুলো নিয়েও কথা বলবো।’
এর আগে ফিফা সভাপতি হিসেবে জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ এবং সেপ ব্লাটার বাংলাদেশ সফরে এসে ছিলেন। ১৯৮০ সালে জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ বাংলাদেশ সফরে আসেন। তারপর সেপ ব্লাটার প্রথমবার ২০০৬ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০১২ সালে বাংলাদেশ সফর করে ছিলেন।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো চলতি মাসে এশিয়ায় তার শুভেচ্ছা সফর শুরু করেছেন। সফরের শুরুটা হয়েছে লেবানন থেকে। তারপর তিনি উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে যান। সেখানে দুই কোরিয়ার মধ্যকার একটি প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করেন। পিয়ংইয়ং সফর শেষে তিনি মঙ্গোলিয়ায় যান। বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ঢাকায় পা রাখছেন তিনি মঙ্গোলিয়া সফর শেষে। ঢাকায় ১৬ ঘন্টা সফর শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইনফান্তিনো লাওসের উদ্দেশ্যে বিমান ধরবেন। সেখান থেকে চীন, ব্রুনাই ও ফিলিপাইন সফরে যাবেন।