টেস্টে শুধু মাঠে নয়, মনেও যে হারছে বাংলাদেশ!



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, ছবি: বিসিবি

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ দল থেকে সবচেয়ে বেশি একটা শব্দই শোনা গিয়েছিল-চ্যালেঞ্জ।

ইন্দোরে ইনিংস ও ১৩০ রানের বড় টেস্ট হার। তিন দিনে শেষ হওয়া ম্যাচের ইতিবৃত্ত। পুরোটা সময় জুড়ে নেতিয়ে পড়া দলের প্রতিচ্ছবি। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংয়েও ব্যর্থতা। স্কিলের সার্বিক ঘাটতি। এসব কিছুকে এক পাল্লায় রাখলে সিরিজ শুরুর আগে বারংবার শোনা চ্যালেঞ্জ শব্দটা যা ছড়াচ্ছে তা আর কিছু নয়-ঠাট্টা!

টেস্ট সিরিজে যে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে সেটা অনুমিতই ছিল। এই সিরিজের ফলও কি হতে যাচ্ছে- তা নিয়েও কারো মধ্যে তেমন বেশি দ্বিমত ছিল না। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশ লড়াইটুকুও করতে পারবে না-এতো খারাপ ভাবনা কারোর মধ্যে ছিল না। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জয় এবং তৃতীয় ম্যাচে জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা এই দুটো বিষয় টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলকে ঘিরে একটা ইতিবাচক বৃত্ত তৈরি করেছিল।

কিন্তু তিন দিনেই ইন্দোর টেস্টে প্রায় ন্যুব্জ ভঙ্গিতে হারের পর চারপাশ থেকে সমর্থন সরিয়ে নেওয়ার যে কুৎসিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে সেটা এই দলকে নিশ্চয়ই কলকাতা টেস্টের আগে আমিষ না, বরং বিষের বড়িই গেলাচ্ছে!

হয়তো বলবেন-ভালো না খেললে প্রতিক্রিয়া তো হবেই। তা তো নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু প্রতিক্রিয়া আর অতি প্রতিক্রিয়াশীলতার মধ্যেও যে একটা সীমারেখা আছে- সেটুকুও যদি মেনে না চলেন তাহলে তো নিজের প্রতিক্ষণের নিঃশ্বাসেও অবিশ্বাস খুঁজে বেড়ানো একজন আপনি!

সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ খারাপ খেলেছে। অনেক খারাপ খেলেছে। অনেক! কিন্তু এখনই শাস্তি হিসেবে সবাইকে ক্লাসরুমের বাইরে বের করে দেওয়ার কিছু তো নেই। এখনো তো সিরিজের আরেকটি টেস্ট ম্যাচ বাকি আছে। আর এই প্রথম কি দেশের বাইরে বাংলাদেশ কোনো টেস্ট ম্যাচে ইনিংস ও এত বড় রানের ব্যবধানে হারল?

ইন্দোর টেস্টে ব্যবচ্ছেদ করতে বসে, এ চলে না! ওর যোগ্যতা ওটুকুই! পুরো দলে একটা ওভারহোলিং বদল দরকার-সিরিজের মাঝপথে এমন সব রূঢ়তা এই মুহূর্তে দলের উপকার করার চেয়ে যে সঙ্কটের গর্তটা আরও গভীর করছে।

কলকাতা টেস্টে নিশ্চয়ই পুরো এগারওজনকে বদলে খেলতে নামবে না বাংলাদেশ? বাস্তবতা হলো দল যখন হারে তখন তাৎক্ষণিক দায়টা শুধুমাত্র একাদশ এবং অধিনায়কের ঘাড়েই বর্তায় বেশি। টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেক বলেই হয়তো মুমিনুল সেই কোপ থেকে আপাত মুক্ত। কিন্তু ইন্দোরের হারে একাদশের সংখ্যাগরিষ্ঠকে সমালোচনার শূলে চড়িয়ে তৃপ্তি খোঁজা আর তেলচর্বি সর্বস্ব বিরিয়ানি গেলার সুখের মধ্যে বড় কোনো পার্থক্য নেই!

দুটোই আঙ্গুল চেটে খাওয়ার তাৎক্ষণিক সুখ হয়তো দেবে- কিন্তু সঙ্গে অনেক বড় অসুখও যে বাঁধিয়ে দেবে!

ইন্দোরে ‘অন্দরমহল’ হারানো বাংলাদেশ দল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে গোলাপি বলে টেস্ট খেলতে যাওয়ার আগেই এখন চোখ বন্ধ করলেই সামনে লাল-নীল-হলুদ রংয়ের সর্ষেফুলের বিন্দুর উড়াউড়ি দেখছে।

প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে ফ্লাডলাইটের আলোয় টেস্ট ম্যাচ যে রোমান্টিকতা অথবা রোমাঞ্চের উষ্ণতা ছড়াচ্ছিল, সেটা এখন বাংলাদেশ দলের জন্য হর’র সিনেমা আর কি!

আনন্দকে এক লহমায় আতঙ্কে বদলে দেওয়ার উপায় সম্ভবত আমরাই সবচেয়ে ভালো জানি!

   

বল ব্যাটে লেগেছে তাতেই খুশি লিটন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসকে অদ্ভুত এক নেশায় পেয়ে বসে। স্কুপের নেশা! ব্লেসিং মুজারাবানির করা এক ওভারে টানা তিনবার এই শট খেলার চেষ্টা করেন। প্রথমবার বল ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি। তৃতীয় প্রচেষ্টায় বল ব্যাটে লাগলেও আঘাত হানে স্টাম্পে গিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন লিটন এমন স্কুপ খেলা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, তখন লিটন বল ব্যাটে লাগাতে পেরেই সন্তুষ্টির কথা জানালেন।

দীর্ঘ সময় ধরে ফর্মে নেই লিটন দাস। ‘বিকল্পের অভাবে’ তবু জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজেও তিন ম্যাচে তার পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়। এর মধ্যে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্কুপ নিয়ে তার ‘পাগলামি’তে খেপেছেন ভক্তরা। তবে লিটন সেসব গায়ে মাখছেন না, ‘আমি উদ্বিগ্ন না। দেখেন (বল) ব্যাটে লেগে স্টাম্পে লেগেছে। এটা যদি ওদিক দিয়ে চলে যেত তাহলে বাউন্ডারি পেয়ে যেতাম।’

লিটন ইতিবাচক তার ফর্মে ফেরা নিয়েও, ‘দেখা যাক (জিম্বাবুয়ে সিরিজে) আরও দুটো ম্যাচ আছে। আশা করি সামনেই আমার ব্যাট হাসবে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩ বলে ১ রান আসে লিটনের ব্যাটে। পরের ম্যাচে ২৩ রান করতে খরচ করেন ২৫ বল। আর সবশেষ ম্যাচে ১৫ বলে ১২ রান করে স্কুপ খেলতে গিয়ে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হন। এমন পারফরম্যান্সের পরও অবশ্য সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টির স্কোয়াডে টিকে গেছেন লিটন। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে মেলে ধরার এই সুযোগ লুফে নিতে পারবেন এই ব্যাটার?

;

এক সপ্তাহেই রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ পানেসারের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ ঘটা করেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন মন্টি পানেসার। জনসম্মুখে তাকে পরিচয় করে দিয়েছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টি অব গ্রেট ব্রিটেনের প্রধান জর্জ গ্যালোওয়ে। কিন্তু এত হাঁকডাক দিয়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখার সপ্তাহ যেতে না যেতেই বিদায়ের সুর বাজিয়ে দিলেন সাবেক এই ইংলিশ স্পিনার।

যুক্তরাজ্যের পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে পশ্চিম লন্ডনের ইলিং সাউথল থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি অব গ্রেট ব্রিটেনের প্রার্থী করা হয়েছিল পানেসারকে। এই দলে যোগ দেয়ার পর ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফে লেখা এক কলামে পানেসার শ্রমিকদের কণ্ঠস্বর হতে চেয়েছিলেন। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেছিলেন।

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পর সংবাদমাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক আদর্শ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন পানেসার। টাইমস রেডিও’র সঙ্গে আলাপে ন্যাটোতে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারেননি তিনি।

এরপরই এক টুইটে রাজনীতি থেকে আপাতত অব্যাহতি নেয়ার ঘোষণা দেন পানেসার, ‘ব্রিটেনের একজন নাগরিক হিসেবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত। আমি এখন অন্যদেরও সহায়তা করতে চাই। তবে আমি বুঝতে পারছি যে, রাজনীতিতে আমি এখনো নতুন। রাজনীতির মাধ্যমে কীভাবে মানুষকে সাহায্য করা, সেটা আমি এখনো হাতেকলমে শিখছি।’

আর এই কারণেই আপাতত রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এই ইংলিশ স্পিনার, ‘আজ আমি সাধারণ নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি। সবকিছু শুনতে, শিখতে এবং আমার ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে খাপ খায় এমন রাজনৈতিক ঠিকানা খুঁজে পেতে আরও সময় লাগবে।’

;

রোমান সানার বিস্ময়কর ইউটার্ন!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাসেই বদলে গেল দৃশ্যপট! গত মার্চে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ও আর্থিক বিষয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন রোমান সানা। তবে গত ২ মে ফেডারেশনে চিঠি দিয়ে ক্ষমা চেয়ে আমার আর্চারিতে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দেশের অন্যতম আলোচিত এই আর্চার।

অবসর ঘোষণার পর নিজের অভিযোগ ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের কাছে তুলে ধরতে তার সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছিলেন রোমান। তবে সেসবই এখন অতীত। জানা গেছে, নিজের ‘বিতর্কিত’ সব মন্তব্যের জন্য যে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে, সেজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।

একইসঙ্গে অবসর ভেঙে আবার লাল-সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করতে আগ্রহের কথাও জানিয়েছন। তার চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীবউদ্দিন আহমেদ চপল সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘রোমান ক্ষমা চেয়ে ফেডারেশনের কাছে চিঠি দিয়েছে। ফেডারেশনে চিঠি জমা হওয়ার পর অফিস আমাকে অবহিত করেছে। সভাপতির কাছে দেওয়া নতুন চিঠিতে অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে।’

তবে রোমান সানার ফেরার পথটা যে মসৃণ হবে না, তার ইঙ্গিত মিলেছেন এই ফেডারেশন কর্তার কথায়, ‘সভাপতি মহোদয় চিঠি দেখে প্রয়োজনবোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। রোমানের বিষয়ে কারো কোনো একক সিদ্ধান্ত নেই, যা হয়েছিল ফেডারেশনের নির্বাহী সভায় এবং সামনে কিছু হলেও সেটা সভার মাধ্যমেই হবে।’

;

বিশ্বকাপের আগে সুসংবাদ পেলেন তাসকিন-মেহেদী-হৃদয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের বাকি নেই এক মাসও। ২০ দলের সবচেয়ে বড় এই বিশ্বকাপ সামনে রেখে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্স করে এরইমধ্যে জিতে নিয়েছেন সিরিজ। যেখানে প্রথম তিন ম্যাচেই বল হাতে দাপট ছিল তাসকিন আহমেদের।

তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রামে থাকলেও প্রথম দুই ম্যাচে সফল ছিলেন শেখ মেহেদী। ব্যাট হাতে তাওহিদ হৃদয় তো পুরো সিরিজে জুড়েই দুর্দান্ত। এমন পারফরম্যান্সের পুরস্কারটাও পেয়েছেন তারা। বিশ্বকাপের আগে নিজ নিজ বিভাগে তাদের সুখবর দিয়েছে আইসিসি।

আইসিসির সবশেষ ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিং তালিকায় লম্বা লাফ দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। সবশেষ দুই ম্যাচে দলকে জিতিয়ে এক লাফে ২৬ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে তার বর্তমান র‌্যাঙ্কিং ৯১। তাওহিদ সুখবর পেলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচের বাজে ব্যাটিংয়ের প্রভাব পড়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাসের র‌্যাঙ্কিংয়ে। ২ ধাপ করে পিছিয়েছেন দু’জনেই। র‌্যাঙ্কিংয়ে লিটনের অবস্থান ৩১ ও শান্তর অবস্থান ৩৫। টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের শীর্ষস্থানটা ধরে রেখেছেন ভারতের সূর্যকুমার যাদব।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে তাসকিনের শিকার ৬ উইকেট। যেখানে তার বোলিং গড় ছিল ৮.৮৩। এমন পারফরম্যান্সের পর বোলিংয়ে ৬ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার অবস্থান ২৬ নম্বরে। অন্যদিকে তার মতোই ৬ ধাপ এগিয়েছেন শেখ মেহেদী। তার অবস্থান ২৩ নম্বরে। বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থান তার। বোলিংয়ের শীর্ষস্থান দখলে রেখেছেন আদিল রশিদ।

;