কুমিল্লার ১৬০ রানে রাজাপাকসে একাই ৯৬
দলের সঞ্চয় রান ১৬০। তাতে একজনের অপরাজিত ৯৬। এই একজন ভানুকা রাজাপাকসে। ওপেন করতে এসে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত ব্যাট করে গেলেন কুমিল্লা ওয়ারির্য়সের এই শ্রীলঙ্কান।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা প্লাটুন টসে জিতে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ব্যাট করতে পাঠায়। শুরুটা ভাল হয়নি কুমিল্লার। কিন্তু প্রায় একা হাতেই দলকে অনেক দুর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান ভানুকা রাজাপাকসে। ব্যক্তিগত ২০ রানের সময় ওয়াহাব রিয়াজের বলে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিলেন রাজাপাকসে। কিন্তু পরে টিভি আম্পায়ার জানান-ওয়াহাব রিয়াজের সেই বলটা ছিল নো বল। তাই ড্রেসিংরুম থেকে ফিরিয়ে আনা হয় রাজাপাকসেকে। দলের রান ছিল তখন ৪.৩ ওভারে ৩৯। সেই রাজাপাকসে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে যান। করলেন ৬৫ বলে অপরাজিত ৯৬ রান। কুমিল্লার সংগ্রহ দাড়াল ১৬০ রানে। ৪ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় এই সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই ইনিংস খেলেন রাজাপাকসে। সেঞ্চুরির সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ ওভারে খেলা দুই বল থেকে ব্যাটে কোন রান নিতে পারেননি।
৫৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ইনিংস সাজানোর দায়িত্বে রাজাপাকসের সঙ্গে যোগ দেন ইয়াসির আলী। পরের ১০.৩ ওভারে এই দুইয়ের জুটিতে রান উঠে হার না মানা ১০৩। আর তাতেই ঢাকাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো স্কোর তুলে ফেলল কুমিল্লা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচের উইকেট কিছুটা স্লো এবং স্পিন সহায়ক হয়ে পড়ে। অফস্পিনার মেহেদি হাসান ৪ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেট পান। মেহেদির ২৪ বলের মধ্যে ১৮টিই ডটবল!
সংক্ষিপ্ত স্কোর: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ১৬০/৩ (২০ ওভারে, রাজাপাকসে ৯৬*, সৌম্য ১০, ইয়াসির ৩০*, মেহেদি হাসান ২/৯)