গোল উৎসবের ফাইনালে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন



এম. এম. কায়সার ,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্স ৪ : ক্রোয়েশিয়া ২

আপনি যতোই ভালো খেলেন না কেন, ম্যাচে জেতে কিন্তু বেশি গোল করা দলই!

গোলের খেলা ফুটবলের সেই চিরায়িত শ্লোগান নিয়েই বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে উল্লাসে মাতল ফ্রান্স। আর ভাল খেলেও কোন লাভ নেই-যদি না গোল করতে পারো; ক্রোয়েশিয়ার জন্য সেই দুঃখই হয়েই রইল রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল।

৪-২ গোলের স্কোরলাইন হয়তো এই ফাইনালের প্রতিযোগিতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাষ তেমন দিচ্ছে না। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও ক্রোয়েশিয়া যে দাপুটে এবং প্রভাবী ফুটবল খেললো তাতে তারা আরেকবার হৃদয় ঠিকই জিতল; কিন্তু ম্যাচের শেষ বাঁশি যখন বাজল তখন উল্লাস যে শুধু করল ফ্রান্স।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাস। বিশ্বকাপে এটি ফ্রান্সের দ্বিতীয় শিরোপা।

৯০ মিনিটের ফাইনালকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও ক্রোয়েশিয়া সুন্দর ফুটবলের হকদার। আর দ্বিতীয়ার্ধে গোলের উৎসব করে ফ্রান্স আগামী চারবছরের জন্য বিশ্বকাপের দাবিদার! ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর খানিকবাদেই স্কোরলাইন ৪-১ করে দেয়। মুলত এই ফাইনালের ফল তখনই পরিস্কার হয়ে যায়। সঞ্চয়ে বেশি গোল জমা হয়ে গেলে যা হয়-খানিকটা আত্মতুষ্ঠি বা আত্মতৃপ্তি চলে আসে; সেই সমস্যা বাঁধিয়ে ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস যে গোল হজম করলেন সেটা তাকে অনেকদিন পোড়াবে। ব্যাকপাস থেকে আসা বল ক্লিয়ার না করে লরিস সামনে থাকা মানজুকিচের সঙ্গে ড্রিবলিংয়ের কারিকুরি শুরু করে দেন।

/uploads/files/xcKE12SZaeIyocoYnmHB8mPnZ0co7BT1NpGoiLbT.jpeg

স্ট্রাইকারের সঙ্গে এমন ‘মাস্তানির’ শাস্তি হিসেবে লরিস দেখেন বল জালে! তবে এই বোকামো মার্কা গোল হজমের পর ফ্রান্সের রক্ষণ সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ করে দেয়। ক্রোয়েশিয়া চেষ্টার পর চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিশ্বকাপ ট্রফি যে ততক্ষণে ফ্রান্সের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। তাই বাড়তি গোলের পথে না ছুটে লিড অক্ষত রাখার চেষ্টাই করে তারা। এবং দারুণভাবে তাতে সফলও হয় তারা।

৫৯ মিনিটে পল পগবা এবং ৬৫ মিনিটে কিলিয়েন এমবাপ্পের দুই গোলার মতো শটেই এই ফাইনালের হিসেব পরিস্কার করে দেয় ফ্রান্স। দুজনেই প্রায় সমান দুরুত্ব থেকে একই কায়দায় ক্রোয়েশিয়ার জালে বল পাঠান। দুটো শটেই এত জোর ছিল এবং এত দ্রুতগতি নিয়েছিল যে গোলপোষ্টে দাড়ানো সুভাসিচ জায়গা ছেড়ে নড়ার সুযোগই পাননি! নড়তে গিয়েই দেখেন বল জালে। আর ফ্রান্সের ডাগআউটে তখনি যে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ শুরু।

ফাইনালে হট ফেবারিট ছিল ফ্রান্স। অথচ কি দুর্দান্ত দাপুটে ভঙ্গিতেই না ম্যাচ শুরু করল ক্রোয়েশিয়া। প্রেসিং ফুটবলের ধাক্কায় ফ্রান্সের ফেবারিট তকমা প্রায় উড়ে যাওয়ার অবস্থায় পড়ে। ঠিক তখনই পুরো ম্যাচের ¯স্রোতের বিপরীতে গোল পেয়ে যায় ফ্রান্স। তাও আবার আত্মঘাতি গোলে! গ্রিজম্যানের ফ্রিফিক থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে পেনাল্টি বক্সে লাফিয়ে উঠে হেড করেন মানজুকিচ। বল তার মাথার উপরিভাগে হালকা স্পর্শ নিয়ে জালে! ফ্রান্সের লিড।

/uploads/files/R1x7ihTjqmhiMpDxjv6yFEjFggdHEm76Rk4sbFix.jpeg

তবে পিছিয়ে পড়েও বীরত্বের ভঙ্গিতে লড়াই করে ক্রোয়েশিয়া। বারবার আক্রমণে কাঁপিয়ে দেয় ফ্রান্সের রক্ষণ। যেভাবে খেলছিল ক্রোয়েশিয়া তাতে গোল পাওয়াটা ছিল তাদের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। এবং সেটা তারা পেয়েও গেল। মানজুকিচের ফ্রিকিক থেকে পাওয়া বল ভিদা ডি বক্সের ভেতরে সামনে দাড়ানো ইভান পেরিসিচের দিকে বাড়িয়ে দেন। ডানপায়ের স্পর্শে বলকে শটের পজিশনে নিয়ে বামপা থেকে প্রচন্ড শট নেন পেরিসিচ। বামদিকে ঝাঁপিয়ে সেই গোল রক্ষা করতে পারেননি লরিস.. গোল এবং ম্যাচে ১-১ সমতা। এই গোলের পর ক্রোয়েশিয়া যেন আরও জেগে উঠে।

মনে হচ্ছিল এই ম্যাচেই তারাই একমাত্র দল যারা বিশ্বকাপ জিততে মাঠে নেমেছে। প্রতিজ্ঞা, জেদ, বল নিয়ন্ত্রণের কৌশল, আক্রমণে উঠে আসা, বল দখলে প্রভাব-সব ফ্যাক্টরে ক্রোয়েশিয়া চাপে রাখে ফ্রান্সকে। ঠিক তখনই আরেকবার বিপদ ঘাড়ে। ডি বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পেরিসিচের হাতে লাগে বল। আর্জেন্টাইন রেফারি ভিডিও রিপ্লে দেখে পেনাল্টির নির্দেশ দিলেন। পেরিসিচের এই হ্যান্ডবল ইচ্ছেকৃত ছিল না অনিচ্ছাকৃত সেটা নিয়ে আগামী অনেকদিন হয়তো আলোচনা-সমালোচনা হবে। তবে পেনাল্টি থেকে গ্রিজম্যানের গোলে সেই যে ফাইনালে এগিয়ে গেল ফ্রান্স, সেটাই তাদের দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ এনে দিল।

/uploads/files/6kllv4ptIEH3Cs7gikzy6alaN3Lpiui8rzYu66qG.jpeg

কারণ আর কিছু নয়, গ্রিজম্যান যে ম্যাচে গোল করেন সেই ম্যাচে ফ্রান্স কখনোই হারেনি। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালেও সেই রেকর্ডই অক্ষুণœ রইল!

এরপর দ্বিতীয়ার্ধের কাহিনীর প্রায় পুরোটা জুড়েই ফ্রান্সের গোল উৎসবের গল্প। প্রথমে পল পগবা, খানিকবাদে এমবাপ্পেÑএই দুই তারকার দুই গোলেই ফ্রান্স লিড নেয় ৪-১ গোলের! যে অবস্থান থেকে বিশ্বকাপের ফাইনালে কখনো কোন দল হারেনি।

মস্কোর লুজনিকি ষ্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ফ্রান্স উল্লাস করছে। চারপাশে রং বেরংয়ের কনফেত্তি উড়ছে। সেই আলোয় ফ্রান্সের পাগল পারা উল্লাস। আর এত রঙিন উৎসবেও ক্রোয়েশিয়ার জন্য ফাইনালের রাতটা নেহাৎ সেই সাদা কালো হয়েই রইল।

ফ্রান্সকে অভিনন্দন বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার আনন্দে। ক্রোয়েশিয়াকে ধন্যবাদ হৃদয় জেতার জন্য!

   

হায়দরাবাদের বিপক্ষে সহজ জয়ে ফাইনালে কলকাতা 



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে শক্তিশালী সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের সহজ জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এতে আসরজুড়ে আদিপত্য বজায় থাকলো শ্রেয়াস আইয়ারের দলটি। গ্রুপপর্বে দাপুটে ক্রিকেট খেলে সবার আগে নিশ্চিত করেছিল প্লে-অফের জায়গা। এবার সবার আগে ফাইনালটাও নিশ্চিত করলো কলকাতা। 

গতকাল আহমেদাবাদের নরেদ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা হায়দরাবাদকে ১৫৯ রানেই আটকে ফেলে কলকাতা। পরে সেই লক্ষ্যে স্রেফ ১৩ ওভার ৪ বলেই পৌঁছে যায় তারা। 

ফাইনালে উঠার স্বপ্ন এখানেই অবশ্য শেষ হয়নি হায়দরাবাদের। এলিমিনেটরের রাজস্থান ও বেঙ্গালুরুর মধ্যকার জয়ী দলের সঙ্গে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আরও একবার ফাইনালে টিকিটের লড়াইয়ের সুযোগ পাবে প্যাট কামিন্সের দল। 

জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিল সল্ট নিজ দেশে ফেরে গেলে সুনীল নারাইনের বিপরীতে যোগ্য ওপেনার নিয়ে অনেকটা শঙ্কাই ছিল কলকাতা। সেখানে আসরে প্রথমবারের মতো একাদশে জায়গা মেলে আফগান তারকা ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজের। তাও আবার কোয়ালিফায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে। নারাইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরুটা বেশ ভালোই এনে দিয়েছেন গুরবাজ। যদিও ৬ ওভার ২ বলের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দু’জনেই, তবে  ততক্ষণেই স্কোরবোর্ডে উঠে যায় ৬৭ রান। উইকেট হারানোর যাত্রাটা শেষ সেখানেই। তৃতীয় ওভারে দুই আইয়ার ভেঙ্কেটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ারের ৪৪ বলে ৯৭ রানের ঝোড়ো অপরাজিত জুটিতে ৩৬ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কলকাতা। ১৩ ওভার ৪ বলে তারা তোলে ১৬৪ রান। ২৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন শ্রেয়াস, এদিকে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন ভেঙ্কেটেশ। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। ১৩ রানেই দুই বিধ্বংসী ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে স্বদেশী মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হেড। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচেই শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফিরলেন এই অজি তারকা। পরের ওভারেই ফেরেন অভিষেক। পরে পঞ্চম ওভারে শেষ দুই বলে নিতিশ কুমার রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদকেও সাজঘরের রাস্তা মাপান স্টার্ক। এতে স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ না হতেই ৪ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। 

শুরুর সেই কঠিন চাপ সামলে পরে পঞ্চম উইকেটে চাপ সামলে হেনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন রাহুল ত্রিপাতি। ক্লাসেন ৩১ রান করে ফিরলেও উইকেটের একপাশ সামলে এগোতে থাকেন রাহুল। তবে দলীয় ১২১ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। দলীয় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে রাহুল ফিরলে হায়দরাবাদ হারায় তাদের ষষ্ঠ উইকেট। পরে ৫ যোগ করতেই নেই আরও ৩ উইকেট। এতে আরও অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল হায়দরাবাদের। তবে শেষ দিকে অধিনায়ক কামিন্সের ৩০ রানের ইনিংসে চড়ে ১৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেনে স্টার্ক এবং জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। 

এদিকে আইপিএলের ১৭তম আসরের এলিমিনেটরে আজ মুখোমুখি হবে রাজস্থান ও বেঙ্গালুরু। মধ্যকার জয়ী দল আগামী ২৪ মে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে হায়দরাবাদের বিপক্ষে। এবং দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল আগামী ২৬ মে ফাইনালে লড়বে কলকাতার বিপক্ষে। 

;

ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ছাড়াও টিভিতে যা থাকছে আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের এলিমিনেটরে আজ মুখোমুখি হবে রাজস্থান ও বেঙ্গালুরু। এদিকে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ছাড়াও রাতে আছে ইউরোপে লিগের ফাইনাল।

ফেডারেশন কাপ (ফাইনাল)

মোহামেডান–বসুন্ধরা কিংস

বিকেল ৩টা, টি স্পোর্টস

আইপিএল (এলিমিনেটর)

রাজস্থান–বেঙ্গালুরু

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, গাজী টিভি, টি স্পোর্টস

১ম টি–টোয়েন্টি

ইংল্যান্ড–পাকিস্তান

রাত ১১টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ৫

ইউরোপা লিগ (ফাইনাল)

লেভারকুজেন–আতালান্তা

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

;

যুক্তরাষ্ট্রে ‘অঘটনের’ শিকার বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অঘটনের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। ‘আনাড়ি’ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল হেরে বসেছে  ৫ উইকেটে।

বাংলাদেশের দেয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ব্যাটিং করে। যদিও দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে অধিনায়ক এবং দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার মোনাঙ্ক প্যাটেলকে হারায় দলটি। শরিফুল ইসলামের বলে স্টিভেন টেইলর সপাটে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলেছিলেন, কিন্তু বল শরিফুলের হাতে লেগে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেয়। ক্রিজে বাইরে থাকায় সাজঘরের পথ ধরতে হয় মোনাঙ্ককে (১২)।

তবে তিনে নামা আন্দ্রিস গৌসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে থাকেন টেইলর। এই দু’জনের প্রচেষ্টায় পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেটে ৪৩ রান তোলে তারা। পাওয়ার প্লে’র পর রিশাদ গৌসকে (২৩) তুলে নিলে রানের গতি কিছুটা কমে যায় যুক্তরাষ্ট্রের।

১২তম ওভারে মুস্তাফিজের জোড়া আঘাতে আরও ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। প্রথমে ধুঁকতে থাকা টেইলরকে (২৮) মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানান বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। এক বল পরে অ্যারন জোন্স ধরা পড়েন মিড অফে থাকা শান্তর হাতে।

কিন্তু এরপরই শুরু হারমিত-অ্যান্ডারসন ম্যাজিক শো! ষষ্ঠ উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন তারা। ১৩ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চার ৩৩ রানের ঝোড়ো ক্যামিও খেলেন হারমিত সিং। কোরি অ্যান্ডারসন শুরুটা ধীরেসুস্থে সময় বুঝে তিনিও রানের গতি বাড়ান। ব্যাকফুট থেকে চলে আসেন ফ্রন্টফুটে। ২৫ বলে দুটি বিশাল ছক্কায় ৩৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে স্বাগতিকদের এনে দেন মনে রাখার মতো এক জয়।

এর আগে টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ কমপ্লেক্সে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ভোগে বাংলাদেশ। লিটন দাস (১৪) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৩) ফর্মে ফেরার আরও একটা সুযোগ হেলায় হারান। স্ট্রাইক রেট ভালো হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। ফেরার আগে করেছেন ১৩ বলে ২০ রান। ভুল বোঝাবুঝিতে হয়ে ব্যাট হাতে সাকিবের দিনটাও ভালো যায়নি। ১২ বলে ৬ রানে থামতে হয়েছে তাকে।

তবে ব্যাটিং অর্ডারের বড় নামদের ব্যর্থতার আরো একবার নিজের জাত চিনিয়েছেন তরুণ তাওহিদ হৃদয়। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে তার গড়া ৬৭ রানের জুটিতেই সম্মানজনক সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে সাজঘরের পথ ধরার আগে ৪৭ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৮ রান করেন হৃদয়। ২২ বলে ৩১ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। তাদের প্রচেষ্টাতেই ২০ ওভারে ১৫৩ রান পর্যন্ত পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে এই রান শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

;

হৃদয়ের লড়াকু ফিফটিতে সম্মানজনক সংগ্রহ বাংলাদশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টপ অর্ডারের ব্যাটিং দুর্দশা কাটছেই না। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ব্যাট হাতে নিজেদের মেলে ধরতে পারলেন না ব্যাট হাতে ভুগতে থাকা লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। তারা ভালো শুরু এনে দিতে না পারলেও তাওহিদ হৃদয়ের লড়াকু ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।

টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ কমপ্লেক্সে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশকে। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া লিটন দাস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আরো একটা সিরিজ পেয়েছেন। কিন্তু সে সুযোগ অন্তত প্রথম ম্যাচে লুফে নিতে পারলেন না। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জেসি সিংয়ের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে করতে পেরেছেন ১৫ বলে ১৪ রান।

লিটনের চেয়ে অন্য ওপেনার সৌম্য সরকারের শুরুটা তুলনামূলক আশাজাগানিয়া ছিল। তিন চার হাঁকিয়ে ভালো একটা শুরু পেয়েছিলেন। কিন্তু লিটন ফেরার তিন বল পরেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনিও। স্টিভেন টেইলরের বল হাঁটু গেঁড়ে স্লগ সুইপ করেছিলেন, সীমানা দড়ির সামনে থেকে সে ক্যাচ মুন্সিয়ানার সঙ্গে হাতে জমান নীতিশ কুমার। ১৩ বলে ২০ রানে সাঙ্গ হয় সৌম্যর ইনিংস। দুই ওপেনারকে হারিয়ে পাওয়ার প্লে’তে ৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।

লিটনের মতো টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং নিয়ে ভুগতে থাকা অধিনায়ক শান্তও টিম ম্যানেজমেন্টের দুশ্চিন্তা। অতি ধীরগতির শুরুর পর খোলসমুক্ত হতে গিয়ে টেইলরকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বলের লাইন করে উল্টো স্টাম্পড হয়ে ফেরেন ১১ বলে ৩ রানে।

তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে দেয়াল তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তরুণ তাওহিদ হৃদয়। সে প্রচেষ্টায় তার সঙ্গী হতে পারতেন সাকিব আল হাসান। তবে হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৬ রানে রানআউট হন তিনি।

তবে সাকিবের সঙ্গে না হলেও আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেয়ার চেষ্টা করেন হৃদয়। এর মধ্যে নিজের ফিফটিও তুলে নেন। ২২ বলে ২ চার, ১ ছয় সহযোগে ৩১ রান করে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেয়ার পরও লড়াই চালিয়ে যান হৃদয়। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৮ রান আসে তার ব্যাটে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্টিভেন টেইলর ৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।

;