তামিমের সেঞ্চুরি, সাকিবের ৯৭ ও শেষের ঝড়ে বাংলাদেশ ২৭৯



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান জমা হতেই প্রথম উইকেট পড়ল। ব্যক্তিগত শূন্য রানে আউট হলেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়।

বাজে শুরু, সন্দেহ নেই।

কিন্তু সেই বাংলাদেশ যখন দ্বিতীয় উইকেট হারার তখন স্কোরবোর্ডে জমা দাড়িয়েছে ২০৮ রান! অর্থাৎ দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দ্বিশত রানের নতুন রেকর্ড। সাকিব ও তামিম ইকবালের গড়া সেই ২০৭ রানের রেকর্ড জুটিই বাংলাদেশকে গায়ানায় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে এনে দিল ২৭৯ রানের বড় সংগ্রহ। 

সাকিবের ৯৭। তামিমের অপরাজিত ১৩০ রান এবং শেষের দিকে মুশফিকের ঝড়ো ব্যাটিং-এই তিনের সমন্বয়ে বাংলাদেশ এই বিশাল রান যোগাড় করে। গায়ানার স্লো এবং স্পিন সহায়ক উইকেটে জেতার জন্য এই স্কোরকে নিরাপদ মানা যেতেই পারে! ঠিক যেভাবে এই উইকেটে ব্যাট করতে হয়- সেটাই করে দেখাল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর।

মিল রেখেই ব্যাটিংয়ে যেভাবে সামনে বাড়ছিলেন দুই বন্ধু; তাতে দুজনেরই প্রায় একই সময় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু একটু বেশি ঝুঁকি নিতে গিয়ে সাকিব সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও পারলেন না। ফিরলেন ৯৭ রানে। ওপেনার তামিম ইকবাল অবশ্য সেই ভুল করেননি। সেঞ্চুরি পেলেন সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি তামিমের প্রথম সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের দশম।

গায়ানার উইকেটের গুণাগুণের সঙ্গে বাংলাদেশ বেশ পরিচিত। এখানেই ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ভালই জানা এই উইকেটে বল একটু দেরিতে আসে। মিরপুরের উইকেটের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বেশ ভালই মিল খায় গায়ানার উইকেট। সাকিব ও তামিম দুজনেই উইকেটে এসেই শটস খেলার চেষ্টা না করে টিকে থাকার দিকে মনোযোগ দেন। শুরুতে সিঙ্গেলস নিয়েই সামনে বাড়েন। ম্যাচে নিজের প্রথম বাউন্ডারি পান সাকিব ৪২ নম্বর বলে!

/uploads/files/tqrn694yPSxRIemdgLet1IIB0UYyZ7SjmRtN1cBv.jpeg

এই পরিস্থিতিই জানাচ্ছে গায়ানা প্রভিন্স ষ্টেডিয়ামের এই উইকেটে শটস খেলা মোটেও সহজ কাজ ছিল না। তামিমÑসাকিবের ব্যাটে ধৈর্য্য নিয়ে সামনে বাড়ে বাংলাদেশ। সাকিব অবশ্য কিছুটা সৌভাগ্যবান। ৯৭ রানে আউট হওয়ার আগে ১৮ ও ৮৫ রানে দুবার তার ক্যাচ ফেলে দেন ওয়েষ্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। তবে সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েও সেঞ্চুরি না পাওয়ার আফসোস নিয়ে ফিরতে হয় তাকে। তামিম সেঞ্চুরি পান ১৪৬ বলে।

এটি শুধু তার নয়; ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশের যে কোন ব্যাটসম্যানের বলের হিসেবে ধীরগতির সেঞ্চুরি। পরিস্থিতির দাবি মেটাতেই তামিমকে অমন কৌশল বেছে নিতে হয়েছিল। তবে সেঞ্চুরির পর তামিম তার খেলা বাকি ১৪ বলে ৩০ রান তুলে রান ও বলের ব্যবধান অনেক কমিয়ে দেন। আর শেষের দিকে ব্যাট করতে নামা মুশফিক রহিম তো ব্যাট হাতে ¯্রফে টি-টুয়েন্টি ষ্টাইলে ব্যাট চালান। দুই ছক্কা ও তিন বাউন্ডারিতে মাত্র ১১ বলে তুলে নেন ৩০ রান! শেষের এই ঝড়ে জ্যাসন হোল্ডারের এক ওভার থেকেই বাংলাদেশ আদায় করে নেয় ২২ রান। আর ইনিংসের শেষ ওভারে আন্দ্রে রাসেল খরচা করেন আরো ২১ রান! শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটিং ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বোলিং। এই সময়ে স্কোরে জমা হয় ৫৩ রান!

শুরুর ধৈর্য্য। মাঝের মনোযাগ। এবং শেষের ঝড়; এই তিন কৃতিত্বে গায়ানায় ২৭৯ রানের স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জয়ের রঙিন স্বপ্ন দেখছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ২৭৯/৪ (৫০ ওভারে, এনামুল ০, তামিম ১৩০*, সাকিব ৯৭, সাব্বির ৩, মুশফিক ৩০, মাহমুদউল্লাহ ৪*, রাসেল ১/৬২, হোল্ডার ১/৪৭, বিশু ২/৫২)।

   

ধোনিদের বিদায় করে প্লে-অফে কোহলির বেঙ্গালুরু



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এভাবেও ফিরে আসা যায়!’। লাইনটি যেন আইপিএলের এবারের আসরের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জন্যই বানানো। আসরের শুরুর আট ম্যাচে কেবল একটিতে জয়। শঙ্কা জেগেছিল সবার আগে আসর থেকে বিদায়ের। প্লে-অফের সমীকরণ তখন খাতা-কলমের হিসেবেই ছিল। সেখান থেকে শেষ চারের টিকিট কাটতে হলে জিততে হতো বাকি সব। এবং সেটিই করে দেখাল কোহলি-ডু প্লেসিরা। টানা ছয় ম্যাচ জিতে প্লে-অফের শেষ টিকিটটি নিশ্চিত করলো তারা। 

গতকালের ম্যাচটিতে চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে বেঙ্গালুরু লক্ষ্যটা দাঁড় করায় ২১৯ রানের। তবে প্লে-অফে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে ২০ ওভারে চেন্নাইকে করতে হতো ২০১ রান। সেই লক্ষ্যে শেষ ওভারের আগের আসরের চ্যাম্পিয়নদের দরকার ছিল ১৭ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যশ দয়ালের প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা। মুহূর্তেই স্তব্ধ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। ম্যাচে মোড় ঘুরে গেল চেন্নাইয়ের দিকে। তবে পরের বলে আরও এক ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ধোনি। পরে জাদেজা-শার্দুলরা ৪ বলে ১১ রানের সেই সমীকরণ মেলাতে পারলেন না। শেষ ৪ বলে দয়াল দিলেন স্রেফ ১ রান। এতে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ থামে ১৯১ রানে। ২৭ রানে ম্যাচ জিতে নেট রান রেটের অঙ্ক মিলিয়ে শেষ চারে উঠে যায় বেঙ্গালুরু। 

ইনিংসের শুরুটা ধাক্কা দিয়েই হয়েছিল চেন্নাইয়ের। প্রথম বলেই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে ফেরান ম্যাক্সওয়েল। ক্যাচ নেন সেই দয়াল। জয়ের শুরুটাও যেন এই বাঁহাতি পেসারকে দিয়েই। পরে দলীয় ১৯ রানের মাথায় চেন্নাইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ড্যারিল মিচেলের উইকেট এবার তোলেন দয়াল। শেষের আগেও তাই শুরুটাও যেন ছিল দয়ালময়। পরে রাচিন রবীন্দ্রর দলীয় সর্বোচ্চ ৬১, আজিঙ্কা রাহানের ৩৩, জাদেজার অপরাজিত ৪২ এবং ১৩ বলে ধোনির ২৫ রানের ইনিংসের প্রচেষ্টাতেও প্লে-অফের সমীকরণের ১০ রান আগে এসে থামল চেন্নাই। এতে আগের আসরের চ্যাম্পিয়নরা এবার বিদায় নিল গ্রুপপর্ব থেকেই। 

শুরুর ক্যাচ ছাড়াও দয়াল নেন স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট। আগের আসরে তিনি খেলেছিলেন গুজরাট টাইটান্সের হয়ে। সেবার কলকাতার রিঙ্কু সিংয়ের কাছে টানা পাঁচ ছক্কা খেয়ে ম্যাচ হারিয়ে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। তবে এবার তার ওপর ভরসা রাখে বেঙ্গালুরু। এবং তার সবচেয়ে বড় প্রতিদান তিনি যেন দিলেন আসরের গ্রুপপর্বে নিজেদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে।

;

প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ আজ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নির্ধারিত হবে আজ। যেখানে ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে লড়বে ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল। এ দুটি দলই আছে শিরোপার রেসে। এছাড়াও আইপিএলের লিগ পর্বের শেষ দিনও আজ।

আইপিএল
হায়দরাবাদ-পাঞ্জাব
বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

রাজস্থান-কলকাতা
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
ম্যান সিটি-ওয়েস্ট হাম
রাত ৯টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২, র‍্যাবিটহোল
আর্সেনাল-এভারটন
রাত ৯টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১, র‍্যাবিটহোল

লা লিগা
বার্সেলোনা-ভায়েকানো
রাত ১১টা, র‍্যাবিটহোল

ভিয়ারিয়াল-রিয়াল মাদ্রিদ
রাত ১১টা, র‍্যাবিটহোল

ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ
মেস-পিএসজি
রাত ১টা, র‍্যাবিটহোল

;

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;