রঙিন পোশাকে রাঙালো বাংলাদেশ!



এম. এম. কায়সার ,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ানডের রঙিন পোশাকে রাঙানোর অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। সত্যিকার অর্থে রঙ ছড়ালো; মাঠে পারফরমেন্সের রঙ!

সেই উজ্জ্বলতায় জিতল সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। ব্যবধান বেশ বড়সড়, ৪৮ রানের। জেতার জন্য গায়ানার উইকেটে সঞ্চয়টাও বেশ সমৃদ্ধ করেই নামে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে রানের সেই পুঁজি সঙ্গে কৃতিত্বপূর্ণ বোলিং এবং অতি অবশ্যই অধিনায়কত্বে মাশরাফি বিন মতুর্জার প্রভাবী উপস্থিতি-এই তিন ফ্যাক্টরের হাত ধরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ এখন ১-০ তে এগিয়ে।

বাংলাদেশের ২৭৯ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ২৩১ রানে আটকে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানার স্লো এবং স্পিন সহায়ক উইকেটে ব্যাটিংয়ের কোন সময় মনে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই ম্যাচ জিততে পারে। শুরুতে ঠিক যখনই খোলস ছেড়ে বিপদজনক হয়ে উঠছেন ক্রিস গেইল তখনই তাকে রান আউটে ফেরায় বাংলাদেশ। এই উইকেটে বড় স্কোর তাড়া করে জেতার জন্য যে কৌশল, দক্ষতা এবং ধৈর্য্যের প্রয়োজন- সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ধাঁচের সঙ্গে যায় না। মিডলঅর্ডারে হেটমায়ের ছাড়া ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর কোন ব্যাটসম্যান এক অর্থে দাঁড়াতেই পারেননি।

গায়ানায় সার্বিক বিচারে খেলার প্রতিটি বিভাগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দাপুটে ভঙ্গিতেই ওয়ানডে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে তামিমের সেঞ্চুরি, সাকিবের ৯৭ এবং শেষের দিকে মুশফিক রহিমের মাত্র ১১ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস বাংলাদেশকে প্রথম ওয়ানডেতে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখায়। আর সুদক্ষ অধিনায়কত্বের সঙ্গে বল হাতে দুরন্ত পারফরমেন্স দেখিয়ে মাশরাফি ম্যাচ জয়ের সেই স্বপ্নটা সফল করেন। বল হাতে ম্যাচের সেরা পারফর্মার বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩৭ রানে ৪ উইকেট পান তিনি। যে উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলাররা সাফল্যের জন্য মাথা খুঁড়ে হতাশ হন, সেই একই উইকেটে খানিকবাদে মাশরাফি বল হাতে সেরা পারফর্মার!

১০ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৩৭ রানে ৪ উইকেট। শুরুতে এভিন লুইসকে আউট করে ব্রেকথ্রু’টাও তিনিই এনেই দেন। মাঝে জ্যাসন হোল্ডার এবং আন্দ্রো রাসেলও তার শিকার। শেষের দিকে অ্যাসলে নার্সের উইকেট নিয়ে মাশরাফি আরেকবার জানিয়ে দিলেন কেন তাকে এই দলের ক্যারিশমাটিক নেতা বলা হয়!

দলে তার উপস্থিতি মানেই আত্মবিশ্বাসের আলোয় বদলে যাওয়া তেজি বাংলাদেশ। স্ত্রী অসুস্থ থাকায় এই ওয়ানডে সিরিজে তার খেলতেই আসার কথা নয়। কিন্তু টেস্ট সিরিজে বাজে পারফরমেন্সে নেতিয়ে পড়া দলের মনোবল ফেরানোর তাগিদকেই বেশি অগ্রাধিকার দেন অধিনায়ক। সফরে একটু দেরিতে দলের সঙ্গে যোগ দিলেন। তবে বেশ দ্রুতগতিতেই কিভাবে ঘুরে দাড়াতে হয়। জিততে হয়। হোক না সেটা বিরুদ্ধ পরিবেশ!

বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে জেনেও টসে জিতে গায়ানা প্রভিন্স স্টেডিয়ামে মাশরাফি ব্যাটিং বেছে নেন। পূর্ব অভিজ্ঞতা দিয়েই জানতেন কিছুটা ধীরগতির এই উইকেটে পরে ব্যাটিং করাটা সমস্যার কারণ হতে পারে। তামিমের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে এনামুল এই ম্যাচে ব্যর্থ। তিন বল খেলে শূন্য রানে আউট এনামুল। প্রস্তুতি ম্যাচের সঙ্গে বেশ ভাল একটা মিল রেখেই ফিরলন এই ডানহাতি। ওয়ানডের প্রস্তুতি ম্যাচে ফিরেছিলেন ঠিক ৩ বল খেলে শূন্য রানে। প্রথম ওয়ানডেতেও ঠিকই তাই!

সাকিব-তামিমের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ এই ম্যাচ জেতার আসল পুঁজি পায়। গায়ানার উইকেটের চরিত্র সম্পর্কে ধারণাটা বেশ স্পষ্ঠ ছিল এই দুজনের। তাই শুরুতে কোন ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে শুধুমাত্র এক-দুই রানের দিকে মনোযোগ দেন তারা। হয়তো তাদের এই লম্বা সময়ে এমন কৌশলের ব্যাটিংটা অনেকের কাছে দৃষ্টিনন্দন হতে পারেনি। কিন্তু পরিস্থিতির প্রয়োজন বুঝে দুই বন্ধু ধৈর্য্যশীল ভঙ্গিতে দলের রান সামনে বাড়ান।

এমন উইকেটে মেরে কেটে খেলার তেমন সুযোগ নেই। আর তাই শুরুর ব্যাটিংয়ে তারা বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টায় না গিয়ে সিঙ্গেলস নিয়েই স্কোরবোর্ডে জমা বাড়ানোর ঝুঁকিহীন ব্যাটিংয়ের পথে হাঁটেন। তামিম-সাকিবের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ রেকর্ড ২০৭ রান যোগ করে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুটি ডাবল সেঞ্চুরির জুটি আছে। দুটোতেই এখন সাকিব আল হাসানের নাম যুক্ত। মনে হচ্ছিল দুই বন্ধু একই সঙ্গে এই ম্যাচে সেঞ্চুরির জন্য উৎসব করবেন। কিন্তু ৯৭ রানে সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেগস্পিনার বিশুকে সুইপ করার চেষ্টায় ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হলেন। মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার নার্ভাস নাইন্টিজ থেকে ফিরলেন সাকিব।

 

তামিম যখন নিজের দশম সেঞ্চুরির উৎসবে ব্যাট তুললেন তখন স্কোরবোর্ডে তার রানের পাশে দেখাচ্ছে ১৪৬ বল। ওয়ানডে ক্রিকেট বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানদের এটা বলের হিসেবে সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরি। তবে সেঞ্চুরির পরপরই দ্রুতগতিতে ১৪ বলে ৩০ রান তুলে রান ও বলের ব্যবধানটা অনেক কমিয়ে আনেন। শেষের দিকে ব্যাট হাতে গায়ানায় ছোটখাটো ঝড় তোলেন তামিম-মুশফিক জুটি। মুশফিক খেলেন পুরোদুস্তর টি-টুয়েন্টি মেজাজে। মাত্র ১১ বলে ৩০ রানের টর্নোডো ইনিংস খেলেন মুশফিক। শেষের তিন ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিংকে অসহায় বানিয়ে দেন এই দুই বাংলাদেশি। ১০,২২ ও ২১Ñ শেষ তিন ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান খরচার চিত্র এটি!

রান তাড়ায় নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজও গায়ানার স্লো উইকেটে ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই হাঁসফাঁস করতে থাকে। দুই ছক্কা ও এক বাউন্ডারিতে ক্রিস গেইল ৬০ বলে ৪০ রান করে সঙ্গী ব্যাটসম্যান হোপের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন। মিডলঅর্ডারে হেটমায়ের যা খানিকটা প্রতিরোধ গড়েন। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সঙ্গে আস্কিং রানরেটের চাহিদাও ক্রমশ অসম্ভব অবস্থানে পৌছাতে থাকে। শেষ উইকেট জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং কেবল তাদের হারের সময়টা বাড়ায়, ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি।

ম্যাচ যে আরো অনেক আগেই স্বাগতিকদের হাতছাড়া!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২৭৯/৪ (৫০ ওভারে, এনামুল ০, তামিম ১৩০*, সাকিব ৯৭, সাব্বির ৩, মুশফিক ৩০, মাহমুদউল্লাহ ৪*, রাসেল ১/৬২, হোল্ডার ১/৪৭, বিশু ২/৫২)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৩১/৯ (৫০ ওভারে, লুইস ১৭, গেইল ৪০, হেটমায়ের ৫২, হোল্ডার ১৭, রাসেল ১৩, বিশু ২৯*, জোফেস ২৯*, মাশরাফি ৪/৩৭, মুস্তাফিজুর ২/৩৫, মিরাজ ১/৩৭, রুবেল ১/৫২)। ফল: বাংলাদেশ ৪৮ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: তামিম ইকবাল।

সিরিজ: বাংলাদেশ ১-০ তে এগিয়ে।

দ্বিতীয় ওয়ানডে: ২৬ জুলাই। 

   

টানা চতুর্থবার ইংল্যান্ডের রাজা ম্যানসিটি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম দল হিসেবে টানা চতুর্থবার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। মৌসুমের রোমাঞ্চকর শেষদিনে ওয়েস্ট হ্যামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে পেপ গার্দিওলার দল। অন্যদিকে এভারটনকে হারিয়েও শেষ পর্যন্ত দুই পয়েন্টের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে আর্সেনালকে।

টানা দ্বিতীয় মৌসুম ম্যানসিটিকে লিগ শিরোপার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েও সাফল্য পায়নি আর্সেনাল। শিরোপা জিততে হলে অবশ্যই মৌসুমের শেষ দিনে এভারটনকে হারাতে হত তাদের। সে কাজটা ঠিকঠাক করেছেও তারা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর এভারটনকে ২-১ ব্যবধানে হারের স্বাদ দিয়েছে মিকেল আরতেতার দল। কিন্তু এরপরও রাজ্যের আক্ষেপ সঙ্গী গানারদের, কারণ গার্দিওলার সিটি মেশিন যে পা হড়কায়নি!

ওয়েস্ট হ্যামের মাঠে আর্সেনালের স্বপ্নে চিড় ধরাতে মোটে দুই মিনিট খরচ করে ম্যানসিটি। একদিন আগেই প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমসেরা ফুটবলারের খেতাব জেতা ফিল ফোডেন দুর্দান্ত এক বাঁকানো শটে ওয়েস্ট হ্যামের জালে বল জড়ান।

১৮ মিনিটে আবার ফোডেন-ম্যাজিক! জেরেমি ডকুর পাস ধরে নিখুঁত প্রথম প্রচেষ্টায় লক্ষ্যভেদ করেন। ২-০।

যদিও বিরতির আগে এক গোল হজম করে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে ম্যানসিটি। দারুণ এক ওভারহেড কিকে সিটিজেনদের হতভম্ব করে ব্যবধান কমান ওয়েস্ট হ্যামের মোহাম্মদ কুদুস।

বিরতির পর ৫৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে করা রদ্রির গোলে স্বস্তির দুই গোলের লিড ফিরে পায় গার্দিওলার দল। সে লিড ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে আনন্দ-উৎসবে মাতে সিটিজেনরা।

;

ফেড কাপ ফাইনালের আগে হঠাৎ বাফুফেকে মোহামেডানের চিঠি!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দু’দিন পরই ফেডারেশন কাপ ফাইনাল। শিরোপা ধরে রাখতে বসুন্ধরা কিংসের মোকাবিলা করবে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তবে ঠিক এই সময়ে এসে রেফারিদের চেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) চিঠি দিয়েছে তারা।

জানা গেছে, পাঁচজন রেফারিকে নিয়ে অস্বস্তি আছে মোহামেডানের। ফেড কাপ ফাইনালে ‘সুন্দর খেলার স্বার্থে’ এই পাঁচ রেফারিদের কাউকে দায়িত্ব না দিতে বাফুফেকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। তবে ওই পাঁচ রেফারি কারা, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

অবশ্য মোহামেডানই প্রথম নয়, চলতি শীর্ষ ক্লাবগুলোকে রেফারিদের নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ফেডারেশনে হরহামেশাই চিঠি দিতে দেখা গেছে। বসুন্ধরা কিংস এবং আবাহনীও মৌসুমের শুরুর দিকে এমন চিঠি দিয়েছে। এবার মোহামেডানও হাঁটল তাদেরই দেখানো পথে।

মোহামেডানের এই চিঠির পর বেশ বিপদেই পড়েছে বাফুফে। কারণ দুই ক্লাবের আপত্তি মুখে এখন সবমিলিয়ে ১০ রেফারি। তাই ফেডারেশন কাপের ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্ব এখন কাকে দেয়া হয়, সেটা এখন দেখার বিষয়।

উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাচনের কারণে ফেডারেশন কাপের ফাইনালের দিনক্ষণে পরিবর্তন এসেছে। ২১ মে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনের কারণে এখন ম্যাচটি হবে ২২ মে।

;

আন্তর্জাতিক কাবাডি কাপ সম্মেলনে আসবেন মাশরাফি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জাতীয় খেলার হাডুডু, যাকে বিশ্বব্যাপী ক্রীড়াপ্রেমিক এবং দর্শকরা চিনেন কাবাডি নামে। ভারতসহ আরও কিছু দেশের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই খেলাটির প্রচলন থাকলেও বাংলাদেশে এই খেলাটির কোনো টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো না।

তবে ২০২১ সাল থেকে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। এবার দেশের মাটিতে এই টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরের পর্দা উঠবে।

কাবাডি খেলাটির এবং এই টুর্নামেন্টটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল (সোমবার) একটি সংবাদ সম্মেলন করবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। ফেডারেশনের মিডিয়া বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি ছাড়াও আরও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও টুর্নামেন্টের প্রধান সমন্বয়ক এসএম নেওয়াজ সোহাগ।

২৬ মে থেকে ৩ জুন মিরপুর শহীদ সোহওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির আসর। যেখানে স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের মোট ১২টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। গত তিন আসরেরই চ্যাম্পিয়ন দল বাংলাদেশ। এবারও ঘরের মাটিতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে প্রস্তুত তারা।

;

‘ধোনি নিশ্চিতভাবে আবারও গর্জে উঠবেন’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের আইপিএল আসর শেষ করেই অবসরে যাবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এমনটাই জানত সবাই। কারণ তিনি নিজেই জানিয়ে রেখেছিলেন এ কথা। তবে গেলবার শিরোপা জিতে নেওয়ার পর নিজের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনেন তিনি। চলতি আইপিএলেও প্রতি ম্যাচেই মাঠে নেমে নিজের জাত চিনিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

শনিবার চলতি আইপিএলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ম্যাচ নিজেদের নামে করে প্লে-অফেও জায়গা করে নিয়েছে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু। অপরদিকে খুব সম্ভবত নিজের শেষ ক্রিকেট ম্যাচটি খেলে ফেলে নিরবে বিদায় নিয়ে ফেললেন ধোনি।

তবে ধোনি আরও বেশ কয়েকদিন মাঠের খেলা চালিয়ে যাবেন, এমনটাই আশা করেন তার ভক্তরা। এমনকি চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইকেল হাসিও বলেছেন, তিনি আরও কয়েক মৌসুম ধোনিকে খেলার মাঠে দেখতে পাচ্ছেন। এবার একই সুরে বললেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা।

গতরাতে ধোনির হারটা মেনে নিতে পারেননি উথাপ্পাও। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি না আমরা ধোনির শেষ ম্যাচ দেখেছি। তিনি এমন কেউ নন যে এই বিষয়গুলোকে হালকাভাবে নেন। তিনি নিশ্চিতভাবে আবারও ব্যাট হাতে গর্জে উঠবেন।‘

ধোনি আরেকটু আগে উইকেটে নামলে হয়ত চেন্নাই নিজেদের আয়ত্তে রাখতে পারত ম্যাচটি। চেন্নাইয়ের হারের এই দিনে ধোনিকে কেন আরেকটু আগে ব্যাটিংয়ে নামানো হলো না এ বিষয়ে উথাপ্পা বলেন, আমরা তাকে কেবল শেষ ৪ বা ৫ ওভারে ব্যাট করতে দেখেছি। এরও একটি কারণ রয়েছে। তার হাঁটুতে চোট ছিল একটু বেশি গুরুতর ছিল। এই কারণে, তাকে নিজেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে যা তিনি প্রায়শই করে এসেছেন। চোট থাকার পরও তিনি চেন্নাইয়ের দলে অবদান রাখতে চেষ্টা করেছেন।‘

;