১২ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশ যুব দল। প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলেই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। আইসিসি’র বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্টে এটাই বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা। বিশ্বকাপ জয়ী দলকে দেশের মাটিতে বরণ করে নেয়ার জন্য উন্মুখ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেটপ্রেমীরা। ১২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার সকাল ৮টায় এমিরেটসের ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছাবে বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দল। বিমানবন্দরে পুরো দলকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিসিবি।
সেই অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনার আয়োজন কেমন হবে, সেটা স্থির করতে বিসিবি মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠকে বসছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। উৎসবের আমেজে ভাসছে এখন বিসিবি। চলছে অভিনন্দনের পসরা। পুরো সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিসিবি।
মাঠে বসে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের খেলা দেখার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু আকস্মিক শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি তার পরিকল্পনা বদলে ফেলতে বাধ্য হন। তবে বিসিবি সূত্র জানায়-প্রতি মুহূর্তে দলের খোঁজখবর ঠিকই রাখছিলেন বিসিবি সভাপতি। দলের এই অভুতপূর্ব সাফল্যে বিসিবি সভাপতিও দারুণ উচ্ছ্বসিত।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন বলছিলেন-‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাই আমাদের এই সাফল্য এনে দিয়েছে। অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে আমাদের অনেক সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা ও চিন্তাভাবনা ছিল। সেই অনুযায়ী আমরা এই দলের জন্য সেরা কোচ ও ট্রেনারসহ বাদবাকি সব প্রয়োজন পুরো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। পেছনের দেড় বছর ধরে এই দলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন কন্ডিশনে, বিভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছে। ম্যাচ পরিস্থিতিতে কখন কি সিদ্ধান্ত নিতে হয়- সেই অভিজ্ঞতা পেয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল এসব সিরিজ থেকে। বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের সেই অভিজ্ঞতাকে তরুণরা কাজে লাগাতে পেরেছে। তাদের এই সাফল্যে আজ পুরো দেশ গর্বিত।’