মুমিনুলের পর মুশফিকেরও সেঞ্চুরির আনন্দ
তিনিই যে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক আর সফল ব্যাটসম্যান সেটি বারবারই প্রমাণ দিচ্ছেন। তারপরও খুব একটা স্বস্তি নিয়ে খেলতে পারেন কোথায়? পান থেকে চুন খসলেই সমালোচনায় পড়তে হয় তাকে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পরিবারের আপত্তির কারণে পাকিস্তান সফরে যাননি, এরপরই কথা উঠেছিল ফের পারফরম্যান্স করেই নাকি ফিরতে হবে তাকে। পরিশ্রমী মুশফিকুর রহিম চ্যালেঞ্জটা নিয়েও ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেই ফেরেন টেস্ট দলে।
ফেরাটাকে শতরানে রঙিন করলেন মুশি। ঢাকা টেস্টে সোমবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লাঞ্চের পরই পা রাখলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে। তুলে নেন সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি।
৩২ রানে সোমবার মিরপুরে টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামেন মুশফিক। অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে গড়ে তুলেন দারুণ একটা জুটি। চতুর্থ উইকেট জুটির ফিফটি আসে ১০০ বলে। একশ হয় ১৮০ বলে। ২৫১ বলে দেড়শ স্পর্শ করে তাদের জুটির রান। আর মুশফিক ৯৫ বলে করেন হাফসেঞ্চুরি।
এরপর ১৬০ বলে পেয়ে যান শতক। ৭০ টেস্টে হাফসেঞ্চুরির সংখ্যা ২১টি। এই ম্যাচের আগে গড়টাও বেশ ভালো ৩৫.০৮।
এরমধ্যে মুমিনুল হক ৭৯ রানে শেষ করেছিলেন আগের দিন। দেশের মাটিতে নেতৃত্বের অভিষেকেই তুলে নেন শতরান। সোমবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বোলার ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তুলে নেন সেঞ্চুরি। টেস্টে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান পেয়ে গেলেন তার নবম সেঞ্চুরি। একই সঙ্গে স্পর্শ করেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি নয় সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালকে।
তৃতীয় দিনে এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের ১ম ইনিংসে সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৮৯ রান। মুমিনুল হক অপরাজিত ১২৮ রানে। অন্যপ্রান্তে মুশফিকুর রহিম পেলেন সেঞ্চুরির সুবাস। ১২৬ রানে ব্যাট করছেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
এর আগে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট করে স্বাগতিকরা। টাইগারদের লিড ১২৪ রানের। সত্যিকার অর্থেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের লাগাম এখন বাংলাদেশের হাতে।