ইভ্যালি সংকট নিরসনে কমিটি

  • সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘ইভ্যালি’-কে কেন্দ্র করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিনরাত চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ক্রেতাই বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, ইভ্যালি থেকে তারা দারুণ অফারে পণ্য কিনেছেন। আবার পণ্য সরবরাহে সময়ক্ষেপণের অভিযোগও করেছেন অনেক ক্রেতা। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুতই এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে চান ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞাপন

ইতিমধ্যে ইভ্যালির ব্যবসা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ই-ক্যাব। সাম্প্রতিক সময়ে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি সম্পর্কে পত্রিকায় প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের তথ্য চাওয়ায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক ও ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধি ও আইনজ্ঞ আছেন এ কমিটিতে। যাদের মধ্যে দুজন পেমেন্ট বিষয়ে, একজন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়, একজন ই-কমার্স স্ট্র্যাটিজিস্ট ও একজন ই-কমার্স গবেষক আছেন।

বিজ্ঞাপন

ইতিমধ্যে কমিটি দুদফায় কৌশলগত সভা করেছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই কমিটির সদস্যরা ইভ্যালি অফিস পরিদর্শন করবেন। তারপর ইভ্যালির সাথে কৌশলগত আলোচনা করবেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন পেশ করবেন।

বিশেষ করে ইভ্যালির ব্যবসায় পদ্ধতি, এমএলএম সম্ভাব্যতা, আকর্ষণীয় অফারের আইনগত দিক এবং ক্রেতা-ভোক্তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে কমিটি। সার্বিক কাজে কমিটিকে সহযোগিতা করার জন্য ই-ক্যাবের পাঁচ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনকে যাচাই-বাছাই শেষে পর্যালোচনা কমিটি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তা প্রেরণ করবেন।

ই-ক্যাব যেকোনো পরিস্থিতিতে সবার কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উত্থাপিত অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রস্তাবকে ই-ক্যাব স্বাগত জানায়। এজন্য সরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠানকে ই-ক্যাব সার্বিক সহযোগিতা করবে। কিন্তু তদন্ত চলাকালীন কোনোরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ই-ক্যাব কোনোভাবেই সমর্থন করে না।

ই-ক্যাব সব সদস্য প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন দেশের আইন, সরকারি বিধান, কোম্পানি আইন, ডিজিটাল কর্মার্স নীতিমালা, কম্পিটিশন কমিশনের বিধিমালা, ভোক্তা অধিকার আইন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সংক্রান্ত বিধি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিধিবিধান ও ই-ক্যাবের নিয়মনীতি মেনে চলে। সদস্যেরা যেন সম্মানিত ক্রেতা সাধারণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন। ক্রেতা সাধারণকে দেশের প্রচলিত আইন কাঠামোর ওপর আস্থা রেখে তাদের অভিযোগ ও তা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে ই-ক্যাব।

কমিটির সদস্যদের মধ্যে আছেন ড. বি এম মইনুল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (আই আই টি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. রাফি উদ্দীন আহমেদ, ই-লার্নিং স্ট্যাটিজিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মো. ইফতেখারুল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক, আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. সূবর্ণ বড়ুয়া, সহকারী অধ্যাপক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফায়সাল মাহমুদ সজিব, এসিএ, ফাউন্ডার অ্যান্ড পার্টনার: এসিসিফিনট্যাক্স, ব্যরিস্টার শাওন এস নোবেল, (শাওন নোবেল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট), সাদরুদ্দীন ইমরান, চেয়ারম্যান, ইক্যাব রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটি, সিইও, ইনোভেশন কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড (সমন্বয়কারী)।