ইন্টারনেট সুরক্ষা বিষয়ে গ্রামীণফোনের সঙ্গে শিশুদের মতবিনিময়



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইন্টারনেট সুরক্ষা বিষয়ে গ্রামীণফোনের সঙ্গে শিশুদের মতবিনিময়

ইন্টারনেট সুরক্ষা বিষয়ে গ্রামীণফোনের সঙ্গে শিশুদের মতবিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন আজ (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জিপি হাউজে এক ব্যতিক্রমধর্মী অংশগ্রহণমূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান ও জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে তাদের সাথে নানা বয়সের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিলো শিশুদের ইন্টারনেট দুনিয়ার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং তাদের জীবনে এর সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে মানুষকে বাসার ভেতরে থাকতে হয়েছে। ফলে, বাসার ভেতরে বসেই সবাইকে বাইরের চারপাশ সম্পর্কে জানতে হয়েছে। শিশুদেরও এ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এবং বাসায় বসেই অনলাইন টুল ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের শিক্ষাগ্রহণ ও বিনোদন লাভ করতে হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অপরাধীদের অনলাইন মাধ্যমে শিশুদের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে। তাদের ফাঁদে পড়ে অনেক সময় শিশুরা পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয় এবং যা পরবর্তীতে অপরাধীরা অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবহার করে।

অনুষ্ঠানে শিশুরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলে। যার মধ্যে ছিলো- সোশ্যাল মিডিয়ায় কতটুকু শেয়ার করা যাবে, ব্যক্তিগত কনটেন্টের সুরক্ষা কীভাবে বজায় রাখা যাবে, অপরিচিতদের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে, ডাটা বেহাত হলে কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে, ভুল তথ্য কীভাবে চিহ্নিত করা যাবে, যে কোন সংবাদের নির্ভুলতা কীভাবে নিরূপণ করা যাবে এবং কারো সাথে আলোচনার সময় কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

ইন্টারনেট সুরক্ষার বিষয়ে এখন পর্যন্ত গ্রামীণফোন কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে? শিশুদের এমন প্রশ্নের জবাবে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, আমরা দেখেছি, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন কানেক্টিভিটির মাধ্যমে ডিজিটালিজেশন কিভাবে আমাদের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করেছে। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আগের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করছে; এজন্য একইসাথে তারা নানা ঝুঁকির মুখে পড়ছে। নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস আবারও গ্রামীণফোনকে এর পার্টনারদের সাথে নিয়ে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার বিষয়ে, পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নে অংশীদারিত্ব করা, আমাদের শিশুদের উদ্বেগের বিষয় চিহ্নিত করা এবং তাদের জন্য নিরাপদ অনলাইন দুনিয়া তৈরির বিষয়ে সচেতন করেছে।

ইন্টারনেটে কোনো ধরণের অপ্রত্যাশিত বিষয়ের মুখোমুখি বা বুলিংয়ের শিকার হলে সে বিষয়টি নিয়ে বাবা-মায়ের সাথে শেয়ার করার পরামর্শ দেন তিনি। অভিভাবকদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, একটি বিষয় তোমাদের মনে রাখতে হবে যে, তোমরা একা নও। তোমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সবাই তোমাদের পাশে আছি। অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার মতো ইন্টারনেটে কোন সমস্যার মুখোমুখি হলে তোমার বন্ধু বা পরিবারের সাথে বিষয়টি শেয়ার করতে দ্বিধাবোধ করবে না।

তিনি আরও বলেন, সবার জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে তোমাদের এ ব্যাপারে কথা বলতে হবে।

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো ও বিশ্বস্ত বন্ধু হলো বাবা-মা। তারা সবসময় তোমাদের ভালো চায়। ইন্টারনেটে কোনো প্রতিকূলতার মুখোমুখি হলে বাবা-মা’কে বলবে। তারাই সবচেয়ে বেশি তোমাদের ভালো চায়।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরোট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ওলে বিয়র্ণ স্লাস্টেন, স্ট্রাটেজিক প্রজেক্ট এ্যান্ড পার্টনারশিপ রাসনা হাসান, প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা খায়রুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও, গতবছর, গ্রামীণফোন ও টেলিনর বাংলা ভাষার লার্নিং রিসোর্স প্ল্যাটফর্ম ‘ডিজিওয়ার্ল্ড বাংলা’(https://gpsocial.co/digiworld), চালু করে। এ প্ল্যাটফর্মটি ৫ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের নিজের ভাষায় সঠিকভাবে অনলাইন মাধ্যম বুঝতে এবং নিরাপদে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহারে সহায়তা করছে। টেলিনর গ্রুপ, গ্রামীণফোন ও ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট প্যারেন্ট জোন শিশু, পরিবার এবং স্কুলগুলোর জন্য গ্লোবাল অনলাইন কারিকুলাম তৈরি করেছে এবং ইউনিসেফের সাথে পার্টনারশিপে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।

নিরাপদ ইন্টারনেট দুনিয়া তৈরির ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মা-বাবা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের এ বিষয়ে সচেতন করতে ইউনিসেফ ও টেলিনরের সাথে অংশীদারিত্বে ২০১৫ সালে প্যারেন্টস গাইড তৈরি করে গ্রামীণফোন। ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার ও এ সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে গ্রামীণফোন ১০ লাখেরও বেশি শিশু ও দুই লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২ কোটিরও বেশি মানুষের মাঝে অনলাইন সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে।

   

মেটা AI স্মার্ট নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হোয়াটসঅ্যাপকে আরও স্মার্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে মেটা। তাও এআই স্মার্ট। সম্প্রতি ভারত-সহ বিশ্বজুড়েই ইউজারদের জন্য জেনারেটিভ এআই, মেটা এআই-এর মতো ফিচার ধীরে ধীরে আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ WhatsApp।

চ্যাটজিপিটি জেনারেটিভ এইআই ইউজারদের প্রম্পটের উপর ভিত্তি করে লেখা বা ছবি তৈরি করে দেয়। মেটা এআই ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দেবে, জোকস শোনাবে, ছবি বানিয়ে দেবে, আর সবটাই করবে হোয়াটসঅ্যাপ’র মাধ্যমে। ইউজাররা ডেডিকেটেড চ্যাটবট তো বটেই ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটের মধ্যেও মেটা এআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

শুরুতে এই ফিচার থাকবে সীমিত সংখ্যক ইউজারের জন্য। শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষা থাকবে। মেটা এখনও ফিচারটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ধীরে ধীরে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যেমন মেটা এআই আগে শুধুমাত্র ছবি তৈরি করতে পারত, এখন সেই ছবিকে জিআইএফে আনতে অ্যানিমেট করতে পারে।

ইউজার এখন আরও মজাদার এবং আকর্ষক চ্যাটিংয়ের জন্য মেটা এআই-এর তৈরি যে কোনও ছবিকে জিআইএফ-এ অ্যানিমেট করতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই অ্যানিমেট ফিচার ব্যবহার করা যাবে যেভাবে

প্রথমে মেটা এআই খুলতে হবে। চ্যাট ইন্টারফেসের উপরে নীল রঙের গোলাকার আইকন রয়েছে। এতে ক্লিক করতে হবে। এবার চ্যাটে ডাকতে হবে মেটা এআই-কে। ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটে মেসেজ ফিল্ডে মেটা এআই-কে ট্যাগ করে সেন্ড করতে হবে। প্রম্পটে এআই-কে বলতে হবে পছন্দের ছবি তৈরির কথা।

ছবি তৈরি হয়ে গেলে সেই ছবিতেই মেটা এআইকে অ্যানিমেট করার কথা বলতে হবে। এই প্রম্পট পেলেই মেটা এআই জেনারেট ছবি থেকে জিআইএফ তৈরি করে দেবে।

মনে রাখতে হবে, ইউজার সরাসরি মেটা এআই-কে জিআইএফ তৈরি করার কথা বলতে পারবে না। প্রথমে ছবি করতে বলতে হবে। তারপর সেই ছবিকে জিআইএফে বদলানোর প্রম্পট দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, মেটা এআই-কে ডেটা ডিলিটের অনুরোধও করতে পারবেন ইউজাররা। গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এটা জরুরি।

;

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নতুন ফিচার, দুর্দান্ত সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা!



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত তথা সারা বিশ্বে সবথেকে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপেই থাকা হয়! বলা যায়, যোগাযোগের অপরিহার্য মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ।

মেটা-মালিকানাধীন এই সংস্থা ব্যবহারকারীদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার আনার কথা ঘোষণা করেছে। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই বিভিন্ন ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন।

ডব্লিউ বেটা ইনফো’র প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যান্ড্রয়েডের জন্য নতুন ফিচার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে হোয়াটসঅ্যাপ। মেসেজিং অ্যাপটি ডকুমেন্ট প্রিভিউ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। অর্থাৎ যখন কোনও ব্যবহারকারী কোনও ডকুমেন্ট শেয়ার করবেন, তিনি সেটা খোলার আগেই একটা ছোট্ট ছবি দেখতে পেয়ে যাবেন।

এতে চ্যাটের সঠিক নথি খুঁজে বার করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। কারণ ব্যবহারকারীরা না খুলেই এটি এটি দেখতে পাবেন। ফটো-ভিডিও শেয়ার করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে। আর প্রিভিউ দেখার ফলে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারবেন, কন্টেন্ট খোলা উচিত না কি উচিত নয়।

এখন হোয়াটসঅ্যাপ-এ কোনও ছবি বা ভিডিও ডকুমেন্ট হিসেবে যদি শেয়ার করা হয়, প্রাপক সেটা ডাউনলোড না করলে দেখতে পারেন না। আসন্ন এই ফিচার আনা হলে সমস্যার সমাধান হবে।

এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ আরও একটি ফিচার নিয়েও কাজ করছে। যেখানে কোন কন্ট্যাক্টের সঙ্গে চ্যাট করা যাবে, তার সাজেশনও আসবে। এই ধরনের কন্ট্যাক্টগুলি এমন কন্ট্যাক্ট হবে, যাদের সঙ্গে বহুদিন যোগাযোগ হয়নি।

প্রথমে এই ফিচার শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা পাবেন। কিছুটা দেরীতে হলেও আইওএস ব্যবহারকারীরাও এই ফিচার পাবেন। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যোগাযোগের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতেই এই উদ্যোগ হোয়াটসঅ্যাপের।

;

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল টেলিটকের নেটওয়ার্ক



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এমনিতেই রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নেটওয়ার্ক কাভারেজ খুবই দুর্বল। এরপর গরমে লোডশেডিংয়ে টেলিটকের গ্রাহকেরা আরো বেশি নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে পড়েছেন।

গরম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিভ্রাট অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় টেলিটকের গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক সমস্যায় চরম ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেলিটকের ৫ হাজার ৬শ ৬১টি বিটিএস (বেস ট্রান্সিভার স্টেশন) রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা নেটওয়ার্ক কাভারেজ নিশ্চিত করে থাকে। টেলিটকের ৩ হাজার ৮শ ৫৬টি টাওয়ার ব্যাটারি সাপোর্ট রয়েছে। তবে টেলিটকের ৮শ ৩০টি টাওয়ারে এক মিনিটের ব্যাটারি সাপোর্ট দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

এছাড়া টেলিটকের ৪০ শতাংশ টাওয়ার এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকলে নেটওয়ার্ক সচল রাখতে পারে না।

সাধারণত, একটি বিটিএসে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা ব্যাটারি সাপোর্ট থাকার কথা, যাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে টাওয়ারগুলোকে সচল রাখা যায়। টেলিটক ২০১৩ সালে ৩জি রোল আউটের সময় এসব টাওয়ারে ব্যাটারি সাপোর্ট বসিয়েছিল। যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে, তাতে করে টেলিটকের টাওয়ারের একটি বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে এবং গ্রাহকেরা কাভারেজ পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান এই দূরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, টেলিটকের ব্যাটারি সাপোর্ট খুবই স্বল্প। একবার যদি বিদ্যুৎ চলে যায়, তাহলে গ্রাহকেরা নেটওয়ার্ক পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

তিনি বলেন, ‘টাওয়ারগুলোকে সচল রাখতে আমরা ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছি, যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে মূল্যায়নের অপেক্ষা করছে’।

এছাড়াও ৫জি প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ২শ ৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প থেকে যদি কোনো অর্থ সাশ্রয় করা যায়, তা দিয়ে ব্যাটারি সাপোর্ট নিশ্চিতে কাজে লাগানো হবে। বর্তমানে টেলিটের গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ লাখ। বিগত বছরে টেলিটক গ্রাহক বাড়ার পরিবর্তে উল্টো ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে।

সম্প্রতি, দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রণালয়ে বসে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক টেলিটকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে ৩০ জুনের মধ্যে লাভে আনার নির্দেশনা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভে না এলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেলিযোগাযোগ বিভাগের কোনো কোম্পানি লোকসানে থাকতে পারবে না।

এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে দুইবার শুধু লাভের মুখ দেখেছিল। সরকারের কাছেই দেনা আছে দুই হাজার কোটি টাকা।

বিটিআরসির কাছে পাওনা আছে, একই পরিমাণ অর্থ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে দেনা ৩শ ৮৯ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও ঋণ প্রদানকারীদের কাছে ঋণের পরিমাণ ৩শ ৬০ কোটি টাকা। দেনার বিপরীতে টেলিটকের কাছে পাওনা ১শ ৪১ কোটি টাকা।

 

;

এবার পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ!



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এখন গুগল পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ। অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ পিক্সেল ৯ সিরিজে আসা কিছু মডেম আপগ্রেড করেছে যা জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেড নিয়ে বাজারে আসছে। প্রতিবেদন- অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।

বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে মডেমের প্রতি গুরুত্ব দেন না। তবে এটা কিন্তু সবচেয়ে জরুরি। কারণ ইন্টারনেট সংযোগে ব্যঘাত ঘটলে তা মোটেও কাজের ক্ষেত্রে সুফলদায়ক হয় না।

এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সংযোগের এই সমস্যাগুলো সিরিজের অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার এ পরিস্থিতির উন্নতি স্বরুপ আসন্ন পিক্সেল ৯ সিরিজ আরও ভাল কিছু নিয়ে আসছে বলে আশা অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষের।

পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমেই যে বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়েছে তা হল এর মডেম। ২০২১ সালে গুগল টেনসর চিপগুলোতে স্যুইচ করার পর থেকে মডেমগুলো পিক্সেলে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু চিপগুলো স্যামসাংয়ের এসএলএসআই বিভাগের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছিল, তাই গুগল পূর্ববর্তী পিক্সেলগুলোর বিপরীতে বিকাশকে সহজ করার জন্য এক্সিনোস মডেম বেছে নিয়েছিল। যা কোয়ালকমের সমাধানে ব্যবহার কড়া হয়েছিল।

তবে দুর্ভাগ্যবশত, নতুন মডেমগুলোতে চলমান সফ্টওয়্যারটির স্থায়িত্ব খুবই কম ছিল, বিশেষ করে শুরুর দিকে। উদাহরণস্বরূপ, পিক্সেল ৬ ব্যবহারকারী একজন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন, আমি এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি যেখানে মডেমটি ক্র্যাশ হওয়া এবং এমনকি অন্যান্য সাবসিস্টেমগুলো যেমন এটির সেন্সরগুলো অফলাইনে নিয়ে যাওয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। তবে শুধু আমি একাই পিক্সেল ৬ সংযোগের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হওয়ার ক্ষেত্রে একা ছিলাম না।

এছাড়াও পিক্সেল ৭ এবং ৮ ব্যবহারকারীরা মার্চ ২০২৪ আপডেটের পর থেকে এর ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতারা এই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

টেনসর জি ৪, পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্যামসাং মডেম ৫৪০০ আনছে অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ। যদিও এটি কোয়ালকম মডেম নয়। তবে তারা আশা করছে এটি পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় দ্রুত এবং আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া এটির সফ্টওয়্যার স্ট্যাক আপগ্রেড করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনার দীর্ঘস্থায়ী হবে। এর ৫ জি নন-টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক (এনটিএন), বা অন্য কথায় উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে আসছে।

ধারণা করা হচ্ছে পিক্সেল ৯ সিরিজই প্রথম অ্যান্ড্রয়েডের নেটিভ স্যাটেলাইট বাস্তবায়নকে সমর্থন করবে।

প্রাথমিকভাবে এই বৈশিষ্ট্যটি মোবাইল (স্পেসএক্সের সহযোগিতায় নির্মিত) দ্বারা সরবরাহ করা হবে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য সরবরাহকারীদের সাথে যুক্ত হবে। স্যাটেলাইট লিঙ্কটি দিয়ে টেক্সট করা গেলেও কল করা যাবে না। সহজভাবে বলতে গেলে, একটি বিশেষ স্যাটেলাইট গেটওয়ে অ্যাপ্লিকেশন 'জরুরি এসওএস' নামে একটি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে জরুরি যোগাযোগের সুবিধা দেবে।

মডেমটি পিক্সেল ৯ সিরিজ এবং পরবর্তী প্রজন্মের পিক্সেল ফোল্ড সহ সমস্ত সেলুলার-সক্ষম টেনসর জি ৪ ডিভাইসে আসছে। অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির সূত্র অনুযায়ী, গুগল একই মডেমসহ একটি ৫ জি ট্যাবলেট, কোডনেম 'ক্লিমেন্টাইন' বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ডিভাইসটি কখন বাজারে আসবে তা এখনো জানা যায়নি।

;