সচেতনতা ও প্রতিরোধই পারে সাইবার বুলিং রুখতে: টিক্যাব
শুধুমাত্র অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীদের সচেতনতা ও প্রতিরোধই সাইবার বুলিং রুখতে পারে বলে জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।
শুক্রবার (১৮ জুন) ‘স্টপ সাইবার বুলিং ডে’ উপলক্ষ্যে সংবাদ ম্যাধমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব) এর আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক।
বিজ্ঞপ্তিতে টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক বলেন, “অনলাইনে কাউকে হেয় করে পোস্ট দেয়া, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, অযৌক্তিক বাগবিতন্ডা, ব্যক্তিগত আক্রমণ এখন নিত্যনৈমেত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে কোথায় কি ধরণের মন্তব্য করতে হবে বেশির ভাগ ব্যবহারকারীরাই এ সম্পর্কে জানেন না। আবার সচরাচর দেখা যায় ফেইক অনেক আইডি থেকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট ও মন্তব্য বেশি করা হয়। এ ধরণের হয়রানি থেকে শোবিজ জগতের তারকা, রাজনীতিবিদ, সাধারণ মানুষ কারোরই যেন রেহাই নেই। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চাই ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।”
তিনি আরও বলেন, “২০১২ সাল থেকে ইন্টারনেটে হয়রানিমূলক আচরণ ও কটূক্তি বন্ধে প্রতি বছর জুন মাসের ৩য় শুক্রবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘স্টপ সাইবার বুলিং ডে’। দিনটিকে সামনে রেখে বাংলাদেশে হ্যাশট্যাগ মাই রেসপন্স (#MyResponse) শীর্ষক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে সরকারের আরও বেশি করে সম্পৃক্ত হয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা দরকার। সাইবার বুলিংয়ের শিকার অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। ঘটনার চাপ সামলাতে না পেরে অনেকের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়।”
টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব) এর আহ্বায়ক আরও বলেন, “সাইবার বুলিং বন্ধে দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সাথে যায় না এ ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে হবে। পশ্চিমা সংস্কৃতি আমাদের তরুণদের দিনকে দিন বিপথগামী করছে। আসুন সকলে সচেতন হই, সাইবার বুলিং বন্ধে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।”