‘রাইজ আপ প্ল্যাটফর্মটি ভারত-বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করবে’
আগামী ছয় মাসের মধ্যে রাইজ আপ প্ল্যাটফর্মটি ভারত এবং বাংলাদেশ থেকে পরামর্শদাতা, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি এই প্ল্যাটফর্মটি কার্যকর পারস্পরিক শিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করবে যা উভয় দেশের মেধাবী উদ্যোক্তাদের উপকৃত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সোমবার (২৬ জুলাই) স্টার্টআপ বাংলাদেশ, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার ও স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার অংশীদারিত্বে ভারত ও বাংলাদেশের স্টার্টআপ ল্যান্ডস্কেপ বিষয়ক ছয় পর্বের ওয়েবেনার সিরিজ উদ্বোধন হয়েছে। এতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী 'শত বর্ষ শত আশা- রাইজ আপ' শীর্ষক ওয়েবিনার সিরিজের উদ্বোধন করেন। ছয় পর্বের ওয়েবিনার সিরিজটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা; স্টার্টআপ বাংলাদেশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার এবং স্টার্টআপ ইন্ডিয়া।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা জাবীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের স্টার্টআপ খাতের মধ্যকার সম্প্রসারিত সহযোগিতা পারস্পরিকভাবে উপকারী হবে।
হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে রাইজ আপ প্ল্যাটফর্মটি ভারত এবং বাংলাদেশ থেকে পরামর্শদাতা, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করবে। তিনি এই প্ল্যাটফর্মটি কার্যকর পারস্পরিক শিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করবে যা উভয় দেশের মেধাবী উদ্যোক্তাদের উপকৃত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, হাই কমিশনার ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে ৫০ জন বাংলাদেশি উদ্যোক্তাকে ভারত পরিদর্শন করার জন্য এবং ভারতের স্টার্ট আপ ও উদ্ভাবনী বাস্তুতন্ত্রের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। হাই কমিশনার জোর দিয়েছিলেন যে রাইজ আপ সিরিজটি এই ধরনের সংযোগকে বাস্তব সহযোগিতায় পরিণত করতে সহায়তা করতে পারে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের স্টার্টআপ ল্যান্ডস্কেপ- টেক স্টার্টআপস ট্রান্সফর্মিং দ্য ফিউচার’ বিষয়ক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ভারত ও বাংলাদেশের স্টার্টআপ ক্ষেত্রে কর্মরত বিশিষ্ট প্যানেলিস্টরা এই বিষয়ে আলোচনা করেন। মোহালির ইন্ডিয়ান স্কুল অফ বিজনেসের (আইএসবি) স্টার্টআপ ইনকিউবেশন অ্যান্ড এক্সিলারেশন বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যামিনী ভূষণ পাণ্ডে এবং ভারতের আইএসপিআরটি ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতীয় স্টার্টআপ উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শরদ শর্মার সাথে যোগ দেন চালডালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম আলীম এবং অ্যাঙ্করলেস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী রাহাত আহমেদ। আলোচনার সঞ্চালনা করেন লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী বিজন ইসলাম।
পরবর্তীতে স্টার্টআপের নিয়ন্ত্রক পরিবেশ, সফল স্টার্টআপ তৈরির বাধা অতিক্রম করা, তহবিল সংগ্রহের কৌশল, স্টার্টআপকে আন্তর্জাতিকে যাওয়ার কৌশল এবং বাংলাদেশ ও ভারতে স্টার্টআপের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। শত বর্ষ শত আশা- রাইজ আপ ওয়েবিনার সিরিজটিতে সহযোগিতা করেছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ স্টার্টআপ কনসোর্টিয়াম এবং বিডি এয়ার।