বেতন কমছে ঘরে বসে কাজ করা গুগল কর্মীদের
করোনা মহামারির সময় গুগলের যেসব কর্মীরা ঘরে বসে কাজ করছিলেন তাদের বেতন ভাতায় পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ঘরে বসে কাজ করাদের বেতন নির্ধারনের জন্য তৈরি করা একটি ক্যালকুলেটর সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছে সংস্থাটি। সংবাদ সংস্থাটি দাবি করেছে কর্মীদের বেতন হিসেব করতে একটি বিশেষ ক্যালকুলেটর তৈরি করেছে গুগল। যার মাধ্যমে একজন কর্মী অফিস থেকে কতটা দূরে থাকে, সেই এলাকার জীবনযাত্রার মান কী-এই সব হিসেব নিকেশ করেই নতুন বেতন ধার্য করা হবে।
গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, কর্মীদের বাসস্থানের ওপর নির্ভর করেই গুগল বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে। শুধু তাই নয় কর্মীর বাড়ি যেই অঞ্চলে সেখানে অন্যান্যদের তুলনায় সেরা বেতনই দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন শহর আর উপশহরের মধ্যে পার্থক্য অনুযায়ী আগেও বেতন পাল্টেছে, এখনও পাল্টাবে। এটার মধ্যে নতুন কিছু নেই বলেও জানিয়েছন তিনি।
একটি সূত্র বলছে অ্যালফাবেট ইনক গুগল কর্মীদের ক্যালকুলেটর প্রদান করে। যা তাদের কাজ, জীবনধারণের খরচ, অফিস থেকে দূরত্ব -সবই নির্ধারণ করে। তাই কর্মীদের ঠিকানা বদল না হলেও বেতন কমতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিলিকন ভ্যালির একাধিক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই কর্মীদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেসবুক ও টুইটার ইতিমধ্যেই তাদের কর্মীদের জন্য নতুন বেতন মডেল কার্যকর করেছে। দূরবর্তী স্থানে যেসব কর্মীরা চলে গিয়ে বাড়িতে বসে কাজ করছেন তাদের বেতন কমানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা, যারা এমন জায়গায় চলে গেছেন যেখানে জীবন ধারনের জন্য তুলনামূলকভাবে কম খরচ হয় তাদের বেতনে সেই অনুপাতে কমানো হয়েছে। এবার সেই একই পথে হাঁটতে শুরু করেছে গুগল।
কিন্তু গুগলের এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই খুশি নন অনেক কর্মীরা। তাই তারা বাড়িতে বসে কাজ করার পরিবর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিসে যাতায়াত শুরু করার চিন্তাভাবনা করছেন।
বেতন নিয়ে গবেষণা করা সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক জ্যাক রোজেনফেন্ড বলেন, গুগলের বেতন কাঠামো পরিবর্তন বেশ প্রভাব ফেলবে।