কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেন জিপি পিছু হটল?

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সর্বনিম্ন রিচার্জের পরিমাণ ৩০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশের বৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। আর এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে একটি বার্তাও দেখা গিয়েছিল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে। অপারেটরটির মাইজিপি অ্যাপে এ বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়েছিল, বুধবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গ্রামীণফোন অ্যাপ সার্ভিস মাইজিপিতে এই ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা তুলে নেয়। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অ্যাপটিতে এই ঘোষণা সংক্রান্ত বার্তা দেখা যায়। ওই বার্তায় উল্লেখ ছিল, ১০ জানুয়ারি থেকে রিচার্জের (বুধবার) সর্বনিম্ন পরিমাণ ৩০ টাকা হবে। তবে সন্ধার দিকে সেই বার্তা আর অ্যাপে পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

সর্বনিম্ন রিচার্জের পরিমাণ ৩০ টাকা ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি বয়কট গ্রামীণফোন এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় অনেক তরুণ।

মঙ্গলবার রাতেই গ্রামীণফোন জানাতে বাধ্য হয় যে, তারা এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে না। ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত বদলে রহস্য তৈরি হয়। অনেকেই খোঁজ খবর নিতে থাকেন শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বা সমালোচনা থেকেই কি গ্রামীণফোন এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত বছরের জুলাই মাসেও যখন গ্রামীণফোন সর্বনিম্ন রিচার্জের পরিমাণ ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা করে তখনও বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হয়। তবে ওই সমালোচনা সত্বেও গ্রামীণফোন তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পিছু হটেনি। এবার কেন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসল।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ফেসবুকের সমালোচনা নয়, বরং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় গ্রামীণফোন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গ্রামীণফোনের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তারা জানতেন না। পরবর্তীতে বিষয়টি জানার পর বিটিআরসির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাস্তবায়ন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সর্বনিম্ন রিচার্জের পরিমাণ ৩০ টাকা করার পেছনে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ অন্যান্য টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামের দামের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো যুক্তিকেই বিটিআরসি আমলে নেয়নি। যার ফলস্বরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা বদলাতে বাধ্য হয় দেশের শীর্ষ অপারেটরটি।

গ্রামীণফোনের কর্তাব্যক্তিদের কথাবার্তায় বিটিআরসির চাপের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তারা বলছেন, বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।