অডিটের টাকা পেল বিটিআরসি এখনো বিল বাকি অডিটরের
গ্রামীণফোনের কাছ থেকে অডিট দাবির অংশ হিসেবে হাজার কোটি টাকা পেয়েছে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। আরো এক হাজার কোটি টাকা তারা পাবেন সামনের তিন মাসের মধ্যে।
কিন্তু যে অডিট কোম্পানিটি গ্রামীণফোনের এই অডিটটি করল তাদের বিলেরই বড় অংশ এখনো বাকি রেখে দিয়েছে বিটিআরসি।
২০১৫ সালে বিটিআরসি দরপত্র আহবানের মাধ্যমে তোহা খান জামান অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টসকে গ্রামীণফোনের অডিট করার জন্যে নিয়োজিত করে।
তাদের সঙ্গে ৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় গ্রামীণফোনের অডিট করে দেওয়ার চুক্তি হলেও এখনো দুই কোটি ১৯ লাখ টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। অথচ দুই বছরেরও বেশী সময় আগে কাজ শেষ করেছে অডিট ফার্মটি।
জানা গেছে, অডিট কোম্পানিটি দফায় দফায় বিটিআরসি’র দরজায় ধরনা দিয়েও টাকা আদায় করতে পারছে না।
২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর তোহা খান জামানের সঙ্গে অডিটের বিষয়ে চুক্তি করে বিটিআরসি। প্রথম এক বছর তারা গ্রামীণফোনের অফিসে ঢুকতেই পারেনি। তখন বিটিআরসি তাদেরকে তেমন একটা সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
কাজ শুরু করার পর প্রথম কিছুদিন কয়েক ধাপে বিটিআরসি তোহা খান জামান অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টসকে কিছু টাকা দিলেও শেষ দিকে এসে টাকা আটকে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অথচ অডিটের জন্যে সরকার ২০১৪ সালেই ৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
তোহা খান জামান অ্যান্ড কোম্পানি গ্রামীণফোনে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব মিলে ১১ হাজার ৫৩০ কোটি ১৫ লাখ টাকা দাবি তুলে তাদের প্রতিবেদন বিটিআরসি’র কাছে জমা দেয়।
পরে সময়ক্ষেপণের কারণে বিটিআরসি ১৫ শতাংশ বিলম্ব ফি যোগ করলে মোট পাওনার পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
যেটি শেষ পর্যন্ত আদালতে গিয়ে গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরসি এক হাজার কোটি টাকার পে অর্ডার বুঝে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের ১০০ কোটি টাকার চেক ফিরিয়ে দিলো বিটিআরসি
বিটিআরসিকে ১০০০ কোটি টাকা দিল গ্রামীণফোন
বাকি ১০০০ কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে ৩ মাস সময়