করোনা: যেভাবে ঘুরে দাঁড়াবে অ্যাপল
চীনের বাজারে আইফোন ১১-তে ছাড় দিচ্ছে অ্যাপল। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করেই বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যের আইফোন নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সব রিটেইলার শপ বন্ধ রেখেছে অ্যাপল। তাই এই মুহূর্তে চীনকেই আইফোন বিক্রির কেন্দ্রবিন্দুতে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্লেষকরা জানান, করোনার প্রভাবে বিশ্বে পণ্য ক্রয়ের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে। এরমধ্যে অ্যাপলের পণ্য অন্যতম। তাই বাজারে অন্যান্য প্রতিযোগী কোম্পানির সঙ্গে টিকে থাকতে সাশ্রয়ী আইফোন এবং ক্রয়ের উপর ছাড়ের এই কৌশল অবলম্বন করেছে মার্কিন টেক জায়ান্ট।
বিশ্লেষকদের একজন অমিত দারানি তার গবেষণা প্রতিবেদনে লেখেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে ঘুরে দাঁড়ানো কোম্পানিগুলোর মধ্যে অ্যাপল হবে অন্যতম। শুধু তাই নয়, বাজার গবেষণায় দেখা যায় আইফোনের চাহিদা কিছুটা ধীরগতির হলে কোনো অর্ডার বাতিল হয়নি।
অন্যদিকে, কোভিড-১৯ এর পরবর্তী সময়ে চীনা প্রতিষ্ঠান অপো ও ভিভো কিছুটা বেসামাল হয়ে যাবে। কারণ সম্প্রতি, তারা অ্যাপলকে টক্কর দিতে গিয়ে ফ্ল্যাগশিপ ফোন নিয়ে কাজ করছে।
সম্প্রতি, চীনের অনলাইন স্টোরগুলোতে অ্যাপলের আইফোন ১১ তে ১৮ শতাংশ মূল্যছাড় দেওয়া হয় এবং তখন সদ্য উন্মোচিত হওয়া আইফোন এসই নিয়ে মিডিয়া হাইপ কমে যায়। যাকে বিশ্লেষকদের ভাষায় বলা হচ্ছে, বাজারে থাকা পণ্যের উপর চাহিদা বৃদ্ধির কৌশল অবলম্বন করে অ্যাপল।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সে বিষয়ে অ্যাপল প্রধান ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক হয়।
বৈঠকে অ্যাপল প্রধান টিম কুক জানান, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে ক্রয়ের পরিমাণ বেড়ে যাবে। যাকে অর্থনীতির ভাষায় 'ভি শেপ' রিকভারি বলে আখ্যায়িত করেন কুক। অর্থাৎ ইংরেজি বর্ণ ভি এর মতো নিচের সংকুচিত জায়গা থেকে উপরের দিকে চওড়া হয়ে যাবে।
সূত্র: গ্যাজেটস নাও