সবকিছু মেনে নেবে না ফেসবুক
যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুকের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও বৈষম্যমূলক বক্তব্য বন্ধের দাবিতে নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন বিভিন্ন সংগঠনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৯০০’র বেশি কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপন বন্ধ রেখেছে। তবে এ বিষয়ে সমাধান খুঁজতে ফেসবুকসহ অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা আলোচনায় বসলেও কোনো সুরাহা বের করতে পারেনি।
এক ঘণ্টাব্যাপীর এই ভিডিও কনফারেন্সে অ্যান্টি ডিফেমেশন লিগ, ফ্রি প্রেস, কালার অব চেঞ্জের সঙ্গে ফেসবুকের নির্বাহী প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ও চীফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ উপস্থিত ছিলেন। তবে দীর্ঘ সময় আলোচনা চললেও কোনো সমাধান দিতে পারেনি ফেসবুক।
এদিকে কালার অব চেঞ্জ সংগঠনের প্রেসিডেন্ট রাসাদ রবিনসন বলেন, ‘এই মিটিংয়ে তারা (ফেসবুক) উপস্থিত থেকে জনগণ থেকে বাহবা পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিল।’
ফেসবুক তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, তারা জানে যে মানুষ তাদের কথায় নয় তাদের কাজের উপর বিবেচনা করবে। এজন্য সেসব মানুষদের প্রতি তারা কৃতজ্ঞ।
‘স্টপ হেইট ফর প্রফিট’ শিরোনামের ক্যাম্পেইনের সঙ্গে ব্যক্তিবর্গরা জানান, ফেসবুককে বয়কটের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। এজন্য তারা ফেসবুকের কাছে তাদের ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
এই ১০ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফেসবুকে ক্ষতিগ্রস্ত ইউজারদেরকে ফেসবুক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দিতে হবে, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিয়োগে স্বচ্ছতা, নিয়মিত অডিট রিপোর্ট প্রকাশ এবং কোম্পানির নীতিমালা সংস্কার করতে হবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ শুধু অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে ফেসবুকের নিয়োগের বিষয়ে রাজি হলেও ঠিক কিসের ভিত্তিতে নেওয়া হবে তা খোলাসা করেনি। ফেসবুকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি কোম্পানির কেউ সাহায্য করার বিষয়ে সরাসরি না জানিয়েছেন জাকারবার্গ। এছাড়া বাকি অন্য ইস্যুগুলোতে তারা কোনো কিছু জানায়নি।
প্রতিষ্ঠানটি ১০০ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে জানায়, তারা সবগুলো দাবি মেনে নিতে পারবে না। ইতোমধ্যে ফেসবুকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করেছে বিশ্বের নামীদামী ৯৯০ টি কোম্পানি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিষয়কে কেন্দ্র করে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবাদী পোস্ট, ভুয়া-মিথ্যা তথ্যের ছড়াছড়ি বন্ধ করতে নাগরিক অধিকার আদায় সংগঠনগুলো ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঘোষণা করেছে।