রমজানের প্রথম দিনই অস্থির রাজধানীর কাঁচাবাজার



তৌফিকুল ইসলাম, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সবজি/ছবি: বার্তা২৪.কম

সবজি/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম রোজা পালন করছে বাংলাদেশের মুসলমানরা। বিগত কয়েকদিন ধরেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি ছিল। কিন্তু রোজা শুরুর প্রথম দিনই যেন আরও অস্থির হয়ে উঠেছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে রাজধানীর‍ টাউন হল, কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়তি।

রাজধানীর টাউন হলসহ অন্যন্য বাজারে রোজার প্রথম দিন কেজি প্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। যা এক দিন আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। যা আগের দিন ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

Fish
বেড়েছে মাছের দাম/ছবি:বার্তা২৪.কম


এদিকে, কাঁচা পেঁপে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, গাঁজর ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা পিস, লাউ ৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২৮ টাকা, আদা ১১০ টাকা, রসুন ১১০ টাকা, আলু ১৯ থেকে ২২ টাকা ও ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

টাউনহলের ব্যবসায়ী মামুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাইকারি বাজার থেকে আমরা বেশি দামে পণ্য কিনি। তাই দাম না বাড়িয়ে উপায় থাকে না। আমরা যে দামে কিনি, তার চেয়ে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেশিতে বিক্রি করি। কারণ, এখানে তো আমাদের লাভের বিষয় আছে।

এদিকে, রোজার প্রথম দিন হওয়ায় ইফতারের জন্য চাহিদা ও সরবরাহ বেড়েছে সব ধরনের ফলের। কারওয়ান বাজারের ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফলের যথেষ্ট সরবরাহ আছে, তবে দাম খানিকটা বেশি বলছেন ক্রেতারা।

Fruits
ফলের দামও বাড়তি/বার্তা২৪.কম

 

বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেয়ারা ১০০ থেকে ১১০ টাকা, পাকা পেঁপে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, বেল ৭০ টাকা, কাঁচা আম ৬০ টাকা, তরমুজ ৭০ থেকে ১০০ টাকা, বাংগি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আনারস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ডাব ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আপেল ২০০ টাকা, বেদানা ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, আঙুর সাদাটা ৩০০, লালটা ৪৫০ টাকা, মালটা ১৬০ টাকা এবং খেজুর মান ভেদে ২৫০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাগর কলা ১০০ টাকা ডজন, চম্পা কলা ৬০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে।

ফল কিনতে আসা আলাউদ্দিন আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইফতারের জন্য ফল তো লাগেই। দু’দিন আগেও ফল কিনেছিলাম, তখন দাম কিছুটা কম ছিল। তবে আজ রোজার প্রথম দিনে এসে দেখি, সব ফলের দাম বেড়ে গেছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর সব বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল আছে। এদিকে, বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পোলাওয়ের চালের দাম কিছুটা বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চালের দাম বাড়েনি দেখে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতা সেলিনা পারভীন।

হাতিরপুলের মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছুটা দাম বেড়ে ফার্মের মুরগি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, পাকিস্তানি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কক মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দামেই গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে এই মাংসের বাজারে।

হাতিরপুলের মুরগির ব্যবসায়ী সেলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, দেশি মুরগিসহ সব মুরগি একেবারেই কম আসছে। এজন্য দামটা বেড়েছে। তবে রোজা উপলক্ষে মুরগির দাম বাড়ার কথা অস্বীকার করেন এই ব্যবসায়ী।

এদিকে, মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাছের দাম খানিকটা বেড়েছে। মাছ ব্যবসায়ী রহমান শেখ জানান, রোজার সময় চাহিদা বেশি থাকায় দামও কিছুটা বেশি।

হাতিরপুলে প্রথম রোজায় প্রতি কেজি পাবদা ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা, বেলে মাছ ৫০০ টাকা, ছোট পুঁটি ৪০০ টাকা, গুঁড়া মাছ ৩৫০ টাকা, বাটা মাছ ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৬০ টাকা, রুই মাছ ২২০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ কিনতে আসা মাসুদ মিয়া বার্তা২৪. কমকে বলেন, ছোট মাছ কেনার জন্য এসেছি বাজারে। তবে মাছের দাম অনেক বেশি। গত সপ্তাহে আমি পাবদা মাছ কিনেছিলাম সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি। আজ দেখি ৫০০ টাকা।

Fish
পাবদা মাছ/বার্তা২৪.কম

 

এদিকে, মুদি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার ভেদে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে ছোলা, চিনি, তেল, আটা, ময়দা, বেসন, মুড়ি, চিঁড়া, গুড়, আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

ক্রেতা শামসুন নাহার বার্তা২৪.কমকে বলেন, রোজাকে কেন্দ্র করে প্রায় সব জিনিসের দাম বেড়েছে। সরকারের সঠিক নজরদারি থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকতো।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, রোজাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সব বাজারে পণ্যের দাম সমান নয়। বাজার ভেদে দামেরও বেশ তারতম্য রয়েছে। কারওয়ান বাজারে যে পণ্যের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা, হাতিরপুল বা টাউনহল বাজারে সেটি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়।

   

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদ পরবর্তীত বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নিত্য পণ্যের দাম চড়া। ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজি ও মাছের দাম। বিশেষ করে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বাজারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাওরান কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

কাওরান বাজারের খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আজকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি, রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-১২০ টাকা কেজি, ধনেপাতা কেজি ১০০টাকা আর আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

এছাড়া শবজির বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও দাম আগের মতোই চড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। মিষ্টি কুমড়া ৪০, মুলা ৫০-৬০, পটল ৭০ _১২০, বেগুন ৬০ টাকা,বরবটি ৮০,  জালি প্রতি পিছ ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৬০ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ শশা ৫০, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ করলা ১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০, বাধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, গাজর ৬০, ক্যাপসিকাম ৪৫০ টাকা।

তবে মাছ মাংসের বাজারে দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছে মাছের গায়ে হাত দেয়া যায় না। বাজারে আজকে দেশি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৭০০ টাকা কেজি, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি, এবং চাষের চিংড়ি ৭০০টাকা কেজি, আইর মাছ ৮০০টাকা কেজি,কাতল ৭০০ টাকা, দেশি বড় বোয়াল ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ১০০০ টাকা। আর ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা কেজি।মুরগী ২১০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা,

কল্যাণপুর থেকে কাওরান বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন সুফিয়া বেগম। তিনি জানান ৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি বাজারে। মাত্র ৫ জনের সংসারের বাজার করতে ইতিমধ্যে বাজারের প্রায় অর্ধেক টাকা শেষ হয়েছে শুধু মাছ কিনতে। এখনো সবজি ও ঘরের অন্যান্য বাজার করা বাকি। আগে যেখানে মাত্র ৩ হাজার টাকায় সপ্তাহের পুরো বাজার শেষ হয়ে যেতো সেখানে এখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে টেনেটুনে সংসার চালাতে হচ্ছে তাকে। কাওরান বাজারে কিছুটা কম দামে কিনতে আসলে দামের পার্থক্য এলাকার বাজারের চাইতে খুব একটা কম না। তবে টাটকা পণ্য পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। বাজারের  ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুইজনে মিলে কামাই করেও এখন অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসারের চাহিদা মেটাতে।

কাওরান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী লতিফ বার্তা২৪.কম’কে জানান, বাজারে সরবরাহ আছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম। তাই বেড়েছে সকল মাছের দাম। দেশি মাছের চাহিদা বেশি থাকায় তার দাম একটু বেশি। তবে চাষের মাছের দাম আগের মতোই আছে।

;

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;