কৃষকের তুলনা পোশাকশিল্প মালিকদের সাথে নয়: বিজিএমইএ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক খাতের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে বিজিএমইএ-এর সংবাদ সম্মেলন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক খাতের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে বিজিএমইএ-এর সংবাদ সম্মেলন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

তৈরি পোশাক প্রস্ততকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন, ‘পোশাক শ্রমিকদের সাথে কৃষকদের তুলনা হতে পারে, কিন্তু পোশাকশিল্প মালিকদের সাথে কৃষকদের তুলনা করা চলে না।’

রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক খাতের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

বিজ্ঞাপন

রুবানা হক বলেন, ‘অনেকে পোশাক খাতকে কৃষির সাথে তুলনা করছেন। কিন্তু পোশাক খাতকে কৃষির সাথে তুলনা করার আগে পার্থক্যটা বুঝতে হবে। অনেক কষ্ট করে এক একজন মালিক এক একটা ফ্যাক্টরি করেছেন। কিন্তু নানা চাপে যখন সেই ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে হয়, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

গেল ঈদে বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের বেতন দিতে হেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবার ঈদে অনেক মালিক তাদের ফ্যাক্টরি বিক্রি করে শ্রমিকের মুল্য পরিশোধ করেছেন। দিন দিন ফ্যাক্টরি কমে যাচ্ছে। আমাদের টেকনোলজি বাড়ানো দরকার। পোশাকখাতের বেসিক জিনিসগুলো অনেক মূল্য দিয়ে বিদেশে থেকে আনতে হয়। ইতোমধ্যে আইএলও-কে কিছু প্রস্তাব দিয়েছি, যাতে ছোট ছোট কোম্পানিগুলোকে বাঁচানো যায়।’

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/16/1560686182374.jpg

তিনি বলেন, ‘সাধারণত মেধাবীদের গুরুত্ব কম দেওয়া হয়। মায়েরাও অনেক সময় ভুলে যান দাপুটে শিশুটিরও পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। সবার নজর থাকে দুর্বল শিশুদের উপর। দেশে কিছু কিছু বড় ইন্ডাস্ট্রি হলেও বাস্তবতা হচ্ছে আমরা ভালো নেই। দেশের পোশাক শিল্প ভালো নেই। আমাদের বাঁচতে দিতে হবে।’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘পোশাক শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখতে হবে। পোশাক খাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে শ্রমিকদের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব আশা করেছিলাম। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবে তা রাখা হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ, সহ-সভাপতি এস. এম মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি (অর্থ) এম. এ রহিম, মো. মশিউল আজম (সজল)।