গ্যাস রফতানির সুযোগ রেখে পিএসসি সংশোধন



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
গ্যাস ফিল্ড

গ্যাস ফিল্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্যাসে দাম (হাজার ঘনফুট) ৬ দশমিক ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ২৫ ডলার এবং রফতানির সুযোগ রেখে মডেল পিএসসি-২০১২ সংশোধনি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুর্বের পিএসসিতে (উৎপাদন বন্টন চুক্তি) গ্যাসের দাম ২ শতাংশ বৃদ্ধির অপশন ছিলো, এবার তা কমিয়ে দেড় শতাংশ করা হয়েছে।

রফতানি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে প্রথমে পেট্রোবাংলাকে প্রস্তাব করতে হবে। পেট্রোবাংলা যদি গ্যাস কিনতে অস্বীকৃতি জানায়, দ্বিতীয় অপশন হিসেবে বাংলাদেশেই তৃতীয়পক্ষের কাছে বিক্রি করতে পারবে। আগ্রহী তৃতীয়পক্ষ পাওয়া না গেলে তবেই গভীর সমুদ্র থেকে উত্তোলিত গ্যাস বিদেশে রফতানি করতে পারবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি।

এমন তথ্য বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেছেন পেট্রোবাংলার জেনারেল ম্যানেজার (পিএসসি) শাহনেওয়াজ পারভেজ।

সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বিষয়টি চুড়ান্ত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের রেজুলেশন চূড়ান্ত হয়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে স্বাক্ষর দিলে পিএসসি আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। এরপর অবসোর বিডিং রাউন্ডে যেতে চায় পেট্রোবাংলা। তবে যে কোম্পানিই কাজ পাক না কেনো অগভীর ব্লকে বাপেক্সের ১০ শতাংশ শেয়ার থাকবে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাপেক্সকে সমুদ্রে তেল-গ্যাস আহরণে অভিজ্ঞ করে তোলা। গভীর সমুদ্রে থাকছে না বাপেক্সের শেয়ারিং।

গত রমজানে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানিতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেছিলেন গ্যাসের দাম কম থাকায় অনেকবার দরপত্র আহ্বান করেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই মডেল পিএসসি-২০১২ সংশোধন করে গ্যাসের দাম আকর্ষণীয় করা হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565158649711.jpg

কিন্তু পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না অনেকেই। পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক (মাইনিং) মকবুল ইলাহী চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়ালেই বিদেশি কোম্পানি আসবে- এ ধারনা সঠিক না। তথ্য উন্মুক্ত করাই সবচেয়ে জরুরি। আমাদের সাগরে কী আছে, কী নেই- এটা না জানলে বিদেশি কোম্পানি আগ্রহী হবে কেনো? আমাদের কাছে যে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে সেগুলো পাবলিক করতে হবে অথবা স্বল্প দর দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন বিদেশি কোম্পানি বুঝতে পারবে আমাদের সাগরে অনেক তেল-গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখনই বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হবে। না হলে দর বাড়ালেও অথৈ সাগরে সহজে কেউ টাকা ঢালতে চাইবে না। আমাদের কাছে সার্ভের যে সব তথ্য রয়েছে এগুলো বাক্সবন্দি করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে খুব ভালো ফল পাওয়া কঠিন হবে। আমাদের চেয়ে কম তথ্য রয়েছে ভারতের তাদের ব্লকে অনেকে আগ্রহ দেখাচ্ছে কেনো? এটা ভাবতে হবে।

প্রসঙ্গত, পিএসসি-২০০৮ প্রস্তুত করার সময় খসড়া উন্মুক্ত করা হয়। তারপর সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া হয়। এমনকি উন্মুক্ত গণশুনানি করে চূড়ান্ত করা হয় পিএসসি। ২০১২ সালেও গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। এবার আরও কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে চলে সংশোধনির কার্যক্রম।

জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার মতে, মডেল পিএসসি-২০১২ অনুসারে কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। তখন প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দর ধরা হয়েছিল ৪.১৬ ডলার। আর মিয়ানমারের গ্যাসের দর রয়েছে ৭ ডলার। যে কারণে বিদেশি কোম্পানি আগ্রহী হচ্ছে না।

২০১২ সালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। আর ভারতের সাথে নিষ্পত্তি হয় ২০১৪ সালে। এতে বঙ্গোপসাগরের এক লাখ ১৯ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সমুদ্র সীমাকে ১১টি অগভীর ও ১৫টি গভীরসহ মোট ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে অগভীর সমুদ্রে মাত্র ৩টি ও গভীর সমুদ্রে ১টি ব্লকে চুক্তি করা হয়েছে।’

অন্যদিকে, স্থলভাগে গ্যাস দিন দিন ফুরিয়ে যাওয়ায় সংকট মোকাবিলা করতে বেশি দামে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। অভিযোগ আছে, যথাসময়ে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান না করায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে মোট ২৬টি গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে। এরমধ্যে ২০ ক্ষেত্রের ১০১টি কূপ দিয়ে গ্যাস উত্তোলন চলমান রয়েছে।

প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মিলে ২৭ টিসিএফ গ্যাস প্রাক্কলন করা হয়। এরমধ্যে উত্তোলন শেষে বর্তমানে ১১টিসিএফ গ্যাস উত্তোলনযোগ্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। প্রতি বছর ১ টিসিএফ উত্তোলিত হচ্ছে। সে হিসেবে নতুন আবিস্কার না হলে ১০ বছর পর গ্যাস ফুরিয়ে যেতে পারে। আবার গ্যাসের মজুদ কমে যাওয়ায় কূপের অভ্যন্তরে চাপ কমে যাবে। সে কারণে আসছে বছরগুলোতে গ্যাস উৎপাদন হ্রাসের শঙ্কা রয়েছে।

তবে ধারণা করা হয়, গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী ব্লক থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে মায়ানমার। একই বেসিনে অবস্থিত বাংলাদেশের ব্লকগুলো। এতে ভালো পরিমাণের মজুদ থাকতে পারে। আবার সিলেট থেকে শুরু করে বাংলাদেশের গোটা পুর্বাঞ্চল জুড়ে গ্যাসের মজুদ বিস্তৃত বলে ধারণা করা হয়।

সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ভোলায় গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। সে দিক বিবেচনায় সাগরে গ্যাসের মজুদ থাকার সম্ভাবনা দৃঢ করে। কিন্তু নানা কারণে গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেকটা হতাশাজনক।

বিদেশি কোম্পানি যাতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সে জন্য গভীর সমুদ্রে মাল্টিক্লেইন সার্ভের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অনেক সভায় বলেছেন, মাল্টিক্লেইন সার্ভে হলে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডাটা থাকবে। তখন অনেকেই আগ্রহী হবেন।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশীয় কোম্পানি বিজিএফসিএল'র কাছ থেকে ৭৭২ এমএমসিএফডি গ্যাস ৭০ পয়সা হারে (ঘন মিটার), বাপেক্সের কাছ থেকে ৩ টাকা ৪ পয়সা হারে ১০৮ এমএমসিএফডি, এসজিএফসিএল'র কাছ থেকে ২০ পয়সা হারে ১২৪ এমএমসিএফডি, আইওসির কাছ থেকে ২ দশমিক ৫৫ টাকা হারে ১ হাজার ৭১২ এমএমসিএফডি গ্যাস কিনছে। যার ইউনিট প্রতি দাম পড়ছে গড়ে প্রায় সাড়ে ৬ টাকার মতো। আর এলএনজি আমদানিতে প্রতি ইউনিটের দাম দাম পড়ছে ৩৯ দশমিক ৮২ টাকা।

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;