ঢাকায় আন্তর্জাতিক টেক্সটেক শুরু ৪ সেপ্টেম্বর

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম সিনিসিনি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সেমস গ্লোবালের এমডি মেহেরুন এন ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সেমস গ্লোবালের এমডি মেহেরুন এন ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস শিল্পের ২০তম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ৪-৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। 

এ প্রদর্শনীর পাশাপাশি একই সময় ‘১৬তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো-২০১৯’ এবং ‘৩৮তম ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৬আগস্ট) রাজধানীর পুরানা পল্টনের ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীর আয়োজক সেমস গ্লোবাল এসব তথ্য জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে সকাল ১০টায়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ুন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ সভাপতি রুমানা হক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনী সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন সেমস গ্লোবালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মেহেরুন এন ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিতি ছিলেন- সেমস গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম, মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান নাইম শরিফ, এজিএম কে এম খায়রুল হাসান আরিফ।

এমডি জানান, প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রদর্শনীতের বিশেষ আর্কষণ থাকবে সেমিনার। একটি বুয়েটের সহয়োগিতায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, জাপান, তুরস্ক, ইতালি, শ্রীলঙ্কাসহ মোট ২৫টি দেশের প্রায় ১২৫০টি প্রতিষ্ঠান ১৫০০টি স্টলের মাধ্যমে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। তাতে চার হাজার বিদেশি প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

এটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প খাতের সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী দাবি করে তিনি বলেন, ‘প্রদর্শনীর দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, সুতা, কাপড়ের বিশাল সমাহার। এছাড়া কাপড় উৎপাদক মেশিনারিজ, নতুন নতুন টেকনোলজি ও রাসায়নিক দ্রব্যের সমাহারও থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, প্রদর্শনীগুলোতে আগত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং দর্শক, ভোক্তা, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ান স্টপ ও যুগোপযোগী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যেখানে কার্যকরী ও ফলপ্রসু যোগাযোগের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা আধুনিক প্রযুক্তি ও সেবার সাথে পরিচিত হতে পারবেন।

এছাড়া, ভোক্তা, উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সরবরাহ কারীদের সরাসরি সাক্ষাৎ ও আলাপচারিতার ফলে সকলের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে উঠবে এবং নতুন ব্যবসায়িক খাত প্রসার করবে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

মেহেরুন এন ইসলাম বলেন, ‘গত অর্থবছর বাংলাদেশ টেক্সটাইল ও পোশাক রফতানি শিল্পে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা বার্ষিক আয়ের ৮০ দশমিক ৭ শতাংশ এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে এ শিল্প হতে বছরে প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হচ্ছে যা ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পোশাক শিল্প খাতে প্রায় ৪৪ লাখ শ্রমিক কাজ করেন, যার মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী।’

সেমস গ্লোবালের এমডি বলেন, ‘টেক্সটাইল শিল্পগুলো বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। দ্রুত অগ্রগতির ফলে টেক্সটাইল শিল্প এখন রাসায়নিক ক্রমবর্ধমান চাহিদার মুখোমুখি হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয় যে স্থানীয় টেক্সটাইল শিল্পগুলো প্রতিবছর প্রায় ১ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করবে এবং চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানি দ্বারা পূরণ করা হবে। বাংলাদেশের এ খাতে বিশ্ববাজারে নেতৃত্ব দেওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে সরকার এরইমধ্যে কৌশলগত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’