সার্ক দেশগুলোর একটি করে গ্রামের সব ঘরে সোলার প্যানেল
ভারত ছাড়া সার্কের অন্য সাতটি দেশের নির্দিষ্ট একটি করে গ্রামের সব ঘরে সোলার প্যানেল বসানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রায় শত কোটি টাকার এ প্রকল্পে ভারত ৫০ শতাংশ অর্থ দিলেও এ প্রকল্পের সুবিধা তারা গ্রহণ করছে না। কারণ ভারত এরই মধ্যে সোলার প্যানেল ব্যবহারে অন্য দেশগুলো থেকে এগিয়ে আছে।
বাকি টাকা ভারত ছাড়া বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও পাকিস্তান তাদের অনুপাত অনুসারে বরাদ্দ করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের কর্মকর্তা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, সার্ক উন্নয়ন তহবিল বাকি (এসডিএফ) টাকার যোগান দেবে, যার সদস্য সবাই। ২০১০ সালে ভুটানে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে থিম্পুতে এসডিএফ সদর দফতর স্থাপন করা হয়। সার্কের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হলেও এর কার্যক্রম থেমে নেই। ভারত ও বাংলাদেশ সার্ককে গতিশীল দেখতে চায়। না হলে এ খাতে ভারত ৫০ শতাংশ অর্থ দেবে কেন?
তিনি আরো জানান, নির্দিষ্ট একটি গ্রামের সব ঘরে সোলার প্যানেল বসানোর প্রকল্পটি হলো প্রতিটি দেশ তার পছন্দমত একটি অঞ্চলে একটি গ্রাম বাছাই করবে। সে গ্রামের প্রতিটি ঘরে সোলার প্যানেল বসানো হবে। গ্রামের আয়তন ও ঘরের সংখ্যা এখানে বিবেচ্য নয়।
বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে মূলত শক্তি, বিদ্যুৎ, পরিবহন, টেলিকম এবং পরিবেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে ১.৭ ট্রিলিয়ন থেকে আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।
চীনের পরে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোও তাদের সৌর শিল্পের প্রসার ঘটাচ্ছে।
ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক অঞ্চলে সূর্য নিবিড়ভাবে আলো ও তাপ দেয়। তবে, শক্তির এ উৎসটি এখনও বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন তাপমাত্রায় ওঠা-নামা করে। ভারতে এরই মধ্যে এ খাতে বৃহত্তর প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এর সম্ভাব্যতা এখনও বহুলাংশে ব্যবহার হয়নি। ভবিষ্যতে সৌর শক্তি এ অঞ্চলে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত শক্তি সরবরাহ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ২০৩৫ সালের মধ্যে শুধু ভারতই ৫৮০ গিগাওয়াট এবং বাকি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ২৫০ গিগাওয়াট সৌর শক্তির সামর্থ্য অর্জন করবে। বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রকল্প এবং গ্রামীণ উন্নয়নের সুযোগকে এটি চালিত করবে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবৃদ্ধি সচল রাখতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সহায়তা করতে পারে সৌর শক্তি।
শিল্পায়ন যেমন এগিয়ে চলেছে, নবায়নযোগ্য শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কয়লার বিকল্প হিসেবে। ভারতে প্রতি বর্গমিটারে গড়ে ১৮.৫ মেগাজুলের সৌর বিকিরণসহ বর্তমানে ক্ষমতা ২০ গিগাওয়াট। তুলনা করলে জার্মানিতে ১২.৬ মেগাজুলের সৌর বিকিরণসহ বর্তমানে ক্ষমতা ৪৩ গিগাওয়াট। চীনে ১৬.২ মেগাজুলের সৌর বিকিরণসহ বর্তমানে ক্ষমতা ১২৬ গিগাওয়াট।