জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে ১৪৩ দেশের ভোট
বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি দেশ। আর ভোট দানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ। খবর এপি'র।
শুক্রবার (১০ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়।
এতে বলা হয়, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিনি গঠনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও ভোটাভোটি হোক। এতে আপনাদের সমর্থন আছে কিনা।’
এই প্রস্তাবে ১৪৩টি দেশ একমত পোষণ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ফলে জাতিসংঘের ১৯৪তম সদস্য হওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ পরিষদ।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ব্যাপক সমর্থনের পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে আটকে যায় ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসেবে স্বীকৃতির পথ।
মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
ইসরায়েল সহ এর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া নয়টি দেশের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল।
আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না মোদি : রাহুল গান্ধী
ভারতে লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফার আগে উত্তর প্রদেশে যৌথ প্রচারণা শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদব।
উল্লেখ্য, কনৌজ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী হয়েছেন এই অখিলেশ। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় কনৌজে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তার আগে শুক্রবার (১০ মে) যৌথ সভায় রাহুল বলেন, ‘‘উত্তর প্রদেশজুড়ে ‘ইন্ডিয়া’ ঝড় উঠেছে। বিজেপি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে। নরেন্দ্র মোদি আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না।’’
অখিলেশ তার বক্তৃতায় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং অনুন্নয়নের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সরব হন।
কনৌজের পাশাপাশি শুক্রবার উত্তর প্রদেশের শিল্প নগরী কানপুরেও যৌথ সভা করেছে কংগ্রেস এবং এসপির এই দুই শীর্ষনেতা।
প্রসঙ্গত, এ বার লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েন হয়েছিল রাহুল এবং অখিলেশের দলের।
শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হওয়া রফাসূত্র অনুযায়ী ওই রাজ্যের ৮০ লোকসভা আসনের মধ্যে এসপি ৬২ এবং কংগ্রেস ১৭টি আসনে লড়ছে। একটি ছাড়া হয়েছে তৃণমূলকে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী পদে এখনও অখিলেশ প্রকাশ্যে কংগ্রেসকে সমর্থনের ঘোষণা না দেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস শিবিরের নেতা-কর্মীদের একাংশ।
রাশিয়ার তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
মধ্য রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলে একটি তেল শোধনাগারে শুক্রবার (১০ মে) ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে জানিয়েছে, দেশটির জ্বালানি অবকাঠামোতে সাম্প্রতিক আক্রমণের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
মস্কোর দক্ষিণে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলটি অন্তত পাঁচটি রাশিয়ান অঞ্চলের মধ্যে একটি, যেসব অঞ্চলে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল মধ্যে ড্রোন হামলার খবর খবর পাওয়া গেছে।
কালুগা অঞ্চলের গভর্নর ভ্লাদিস্লাভ শাপশা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘গত রাতে ডিজারজিনস্কি জেলার একটি অঞ্চলে ড্রোন হামলার ফলে আগুন লেগেছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ‘আগুন নেভানো হয়েছে এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রপরিচালিত বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি জরুরি পরিষেবা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামলার ফলে কালুগা অঞ্চলের তেল শোধনাগারে তিনটি ডিজেল ট্যাঙ্কার এবং একটি জ্বালানী তেল ট্যাঙ্কারে আগুন লেগেছে।
টেলিগ্রামে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, কালুগার একটি শিল্প অঞ্চল আগুনে পুড়ে গেছে।
এর আগে গত ১৫ মার্চ কালুগা তেল শোধনাগারে আক্রমণ করেছিল ইউক্রেন।
এদিকে, মার্কিন কর্মকর্তারা পূর্বেই সতর্ক করেছিলেন যে, রাশিয়ান তেল শোধনাগারগুলোতে ইউক্রেনের আক্রমণ বিশ্বব্যাপী জ্বালানি পরিস্থিতির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
রাশিয়ার মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে তেল শোধনাগারগুলোতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার ফলে দেশটির পেট্রোল উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, কালুগা তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, এটি ব্রায়ানস্ক, মস্কো এবং বেলগোরোদ অঞ্চলে বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবারের সকালে ইউক্রেনের ড্রোনগুলোকে বাধা দিয়েছে।
কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর বলেছেন, ড্রোন হামলায় তিনটি বাড়িতে আগুন লেগেছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, একটি ড্রোন মস্কোর দিকে উড়ে যাওয়ার সময় কাছের শহর পোডলস্কে সেটিকে আটকে দেওয়া হয়েছে।
চীনা কূটনীতিকদের বহিষ্কারের আহ্বান ফিলিপাইনের
দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধ নিয়ে ফিলিপাইনের এক অ্যাডমিরালের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের অভিযোগে চীনা কূটনীতিকদের বহিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিপাইনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এডুয়ার্ডো আনো।
এডুয়ার্ডো আনো শুক্রবার (১০ মে) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ম্যানিলায় চীনের দূতাবাস বিভেদ, বিভাজন এবং অনৈক্য তৈরির লক্ষ্যে বারবার বিভ্রান্তি এবং ভুল তথ্য প্রচারের কাজ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিভ্রান্তি এবং ভুল তথ্য প্রচারের বিষয়গুলো বড় মাপের জরিমানা ছাড়া সমাধান করা উচিত নয়।’
কূটনীতিকদের অবিলম্বে বহিষ্কারের ফিলিপাইনের আহ্বানের বিষয়ে মন্তব্য করার রয়টার্সের অনুরোধে সম্মত হয়নি ম্যানিলার চীনের দূতাবাস।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অফিস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের সমর্থনে উৎসাহিত হয়ে চীনের বিশাল উপকূলরক্ষী বাহিনী দ্বারা দখলকৃত জলসীমায় কার্যক্রম বাড়ায় ফিলিপাইন।
এর পরই গত বছর দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকায় বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এক্ষেত্রে ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে বরাবরই অনুপ্রবেশ এবং বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেছে চীন। জবাবে ম্যানিলা একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের অভ্যন্তরে আগ্রাসন এবং বিপজ্জনক কৌশলের নীতির জন্য বেইজিংকে তিরস্কার করেছে।
চীনা কূটনীতিকদের বহিষ্কার দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও তীব্র করতে পারে বলেই বিশ্লেষকদের মত।
এডুয়ার্ডো আনো চলতি সপ্তাহে একজন চীনা কূটনীতিক এবং একজন ফিলিপাইনের অ্যাডমিরালের মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধ নিয়ে ফোন কলে আলোচনার অংশ ফাঁসের অভিযোগ করেন।
ওই ফোন কলের ফাঁস করা অংশটি শুনে মনে হচ্ছে যে, ফিলিপাইনের অ্যাডমিরাল চীনকে ছাড় দিতে সম্মত হয়েছেন।
ম্যানিলা টাইমসে প্রকাশিত ফোন কলের প্রতিলিপি অনুসারে, ওই অ্যাডমিরাল একটি নতুন মডেলের চীনের প্রস্তাবে সম্মত হন। যে প্রস্তাবে ফিলিপাইন বিতর্কিত দ্বিতীয় থমাস শোলে সেনাদের পুনরায় সরবরাহ মিশনে কম জাহাজ ব্যবহার করবে এবং মিশন সম্পর্কে বেইজিংকে আগেই অবহিত করবে।
ম্যানিলা টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কথোপকথনটি গত জানুয়ারিতে হয়েছিল এবং প্রতিলিপিটি তারা চীনা কর্মকর্তার কাছ থেকে পেয়েছেন।