যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে চীন: ‘গলায় ছুরি ধরে আলোচনা অসম্ভব’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় বসার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে চীন। আল-জাজিরা জানায়, একদিকে শুল্ক আরোপ অন্যদিকে বাণিজ্য আলোচনা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন চীনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, এভাবে ‘গলার সামনে ছুরি ধরে’ যুক্তরাষ্ট্র যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে, তা সম্ভব নয়।

২০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের উপর ওয়াশিংটনের শুল্ক আরোপের এক দিন পর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং শুয়েন বলেন, ‘চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতায় যেতে প্রস্তুত কিন্তু দুই পক্ষই একে অপরকে সমান ও সম্মানের সাথে বিবেচনা করতে হবে।’

ওয়াং শুয়েন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে এত বিশাল পরিমাণের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যে তারা কারও গলার সামনে ছুরি ধরে রেখেছে। এই অবস্থায় কীভাবে সমঝোতা এগিয়ে যেতে পারে?’

নতুন করে আলোচনা শুরু করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন চীনা কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু আরও ২৬৭ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের উপর প্রস্তুতি চলছে- প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা, আলোচনা প্রচেষ্টায় পানি ঢেলে দিয়েছে।

গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সাথে ওয়াশিংটনে বৈঠক করেছিলেন ওয়াং শুয়েন। তারপর বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এই দেশ দুটির মধ্যে আর বড় কোন বৈঠক হয়নি।

মঙ্গলবার শুয়েন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপের ঘটনা গত মে মাস থেকে চলে আসা বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে সমঝোতা প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে।’

চীনা পণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্রের দুই দফা শুল্ক আরোপ দুই দেশের বাণিজ্যযুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে। দুই দফায় যুক্তরাষ্ট্র চীনের ২৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করেন, যা চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির প্রায় অর্ধেক।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পদক্ষেপেই পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে চীন। বর্তমানে তা প্রায় ১১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের প্রায় সমান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন-মার্কিন এই বাণিজ্যযুদ্ধ উভয় দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে এমনকি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকেও তা প্রভাবিত করবে।

গত সোমবার চীনের মন্ত্রিসভার প্রকাশিত শ্বেতপত্র অনুযায়ী, গত বছর চীনের মোট বৈদেশিক রফতানির ১৯ শতাংশ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

বেইজিংয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগিতার পরিকল্পনা করেছে চীন।

রফতানিকারকদের খরচ কমানোর পরিকল্পনা করছে বেইজিং এবং সম্প্রতি কর কমানোর একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে যা আগে পরিশোধ করতে হত।

বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে কোম্পানিগুলো কীভাবে চাপ সামলাবে জানতে চাইলে চীনের শিল্প ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী লু ওয়েন বলেন, ‘কোম্পানিগুলো যাতে তাদের সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে সেই জন্য আমরা সকল ধরণের কার্যকরি পদক্ষেপ নেব।’

তিনি বলেন, ‘চীন আগ্রহের সাথে কোম্পানিগুলোর কর ও বোঝা কমাবে এবং ব্যবসার পরিবেশ চাঙ্গা করে তুলবে।’

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের শিকার হওয়া  চীনা পণ্যগুলো হল ভয়েস ডেটা রিসিভার, কম্পিউটার মেমোরি মডিউল, অটোমেটিক ডেটা প্রসেসর ও অফিসের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।

এদিকে চীন ৬০ বিলিয়ন ডলারের ৫হাজার ২০০টি মার্কিন পণ্যকে টার্গেট করে, এগুলোর উপর পাঁচ থেকে দশ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করে। যার মধ্যে আছে এলএনজি, কাঠ ও ইলেকট্রনিকস, সুগন্ধযুক্ত তেল, শূকরের চামড়া ও কনডম।

 

 

   

মধ্যস্থতার জন্য ইতিবাচক হলে দোহায় থাকবে হামাস নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতার মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক নেতারা ততক্ষণ দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য ইতিবাচক হবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি, ততক্ষণ তারা দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কার্যকর এবং ইতিবাচক হবে।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরসহ মধ্যস্থতাকারীরা রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ব্যর্থ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘কাতার তার ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করছে।’

এই ঘোষণার ফলে হামাস নেতাদের গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি ছেড়ে দিতে বলা হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।

সেই গুঞ্জন অবসানে আনসারি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কাতার তার মধ্যস্থতা ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছে এবং দোহাতে হামাস সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।’

রয়টার্স জানিয়েছে, এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিচালনাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার সকল সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আনসারি মঙ্গলবার বলেন, ‘সবাই জানে যে, মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কাতারের ভূমিকা কী।’

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে সফলভাবে গাজা যুদ্ধের একমাত্র বিরতির মধ্যস্থতা করেছে কাতার।

;

ইউক্রেনের জন্য সর্ববৃহৎ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করবেন সুনাক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য তার সর্ববৃহৎ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটেন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক পোল্যান্ড সফরের সময় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ওই সামরিক প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দেবেন।

রাশিয়ার বাহিনী সামনের সারিতে অগ্রসর হতে শুরু করায় এবং তাদের বিমান হামলা বাড়ানোর কারণে বর্ধিত সাহায্যের জন্য মরিয়া হয়ে আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।

হোয়াইট হাউস প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দীর্ঘ বিলম্বিত সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় যুক্তরাজ্য এই ঘোষণা দিয়েছে।

ব্রিটিশ সরকার বলেছে, চলতি অর্থবছরে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাজ্যের মোট সামরিক সহায়তাকে ৩ বিলিয়ন পাউন্ডে নিয়ে যাবে তারা।

নতুন প্যাকেজের আওতায় গোলাবারুদ, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ড্রোন এবং প্রকৌশল সহায়তার জন্য অর্থায়ন করবে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটিশ মিডিয়া অনুসারে আল জাজিরা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ এই প্যাকেজে ৬০টি নৌযান এবং ১,৬০০টিরও বেশি আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি স্টর্ম শ্যাডো নামের দূর-পাল্লার নির্ভুল-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এ ছাড়াও ১৬২টি সাঁজোয়া যানসহ ৪০০টিরও বেশি যানবাহনের পাশাপাশি ৪ মিলিয়ন রাউন্ড ছোট অস্ত্রের গোলাবারুদও সরবরাহ করা হবে এই প্যাকেজে।

সুনাক বলেছেন, ‘রাশিয়ার নৃশংস উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে রক্ষা করা আমাদের নিরাপত্তা এবং সমগ্র ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি পুতিনকে এই আগ্রাসনের যুদ্ধে সফল হতে দেওয়া হয়, তবে পোল্যান্ডও ছাড়বেন না।’

এদিকে, সুনাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা এবং ইউক্রেনের জন্য সমর্থন নিয়ে আলোচনা করতে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে ওয়ারশতে
দেখা করার কথা রয়েছে। এরপর জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে দেখা করতে জার্মানি যাবেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, ‘প্যাকেজটি ইউরোপে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউকে সর্বপ্রথম এনএলএডব্লিউ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করবে। এ ছাড়াও সর্বপ্রথম আধুনিক ট্যাংক এবং সর্বপ্রথম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করা হবে।’

সুনাক বলেন, ‘এখন আমরা আরও এগিয়ে যাচ্ছি। ইউক্রেন যে অস্তিত্বের লড়াই চালাচ্ছে, তা আমরা বিশ্বকে কখনোই ভুলতে দেব না এবং আমাদের স্থায়ী সমর্থনে তারা জয়ী হবে।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, পোল্যান্ডের জন্যও সুনাকের একটি প্রস্তাব রয়েছে। সেটি হলো, আগামী বছর পোল্যান্ডে ন্যাটোর বিমান পুলিশিং চালানোর জন্য একটি ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের টাইফুন স্কোয়াড্রন মোতায়েন করা।

;

‘এই গ্রীষ্মে অপ্রত্যাশিত এলাকায় হামলা চালাবে রাশিয়া’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের কমান্ডার ওলেক্সান্ডার পিভনেঙ্কো মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা যখন ইউক্রেনে তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ পরিচালনা করবে, তখন তারা ফ্রন্টের অপ্রত্যাশিত অংশে হামলা চালাবে এবং তারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দ্বারা হামলা চালানো হয়েছে।

তবে ওলেক্সান্ডার পিভনেঙ্কো বলেছেন, কিয়েভের বাহিনী মস্কোর যেকোনো আক্রমণকে ব্যর্থ করতে প্রস্তুত থাকবে।

তিনি ইউক্রেনের নিউজ আউটলেট রিগা ডট নেট-কে বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। হ্যাঁ, শত্রুরা আমাদের অপ্রীতিকরভাবে চমক দেবে। তারা এমন এলাকায় হামলা করবে, যেখানে আমরা আশা করি না। কিন্তু, তারা লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।’

এদিকে, রাশিয়া পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। কিন্তু, দীর্ঘ বিলম্বিত মার্কিন সামরিক সহায়তা অবশেষে এই সপ্তাহে অনুমোদিত হবে এবং শীঘ্রই ইউক্রেনে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই সহায়তার আওতায় গোলাবারুদের ঘাটতি দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বিশ্বাস করেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত বিজয় দিবস মস্কো ৯ মে’র মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর চসিভ ইয়ার দখল করতে চাইবে।

পিভনেঙ্কো বলেন, তিনি কিয়েভের সেনাদের কিছু অসুবিধা আগে থেকেই দেখেছেন। তবে, রাশিয়ান বাহিনী জয় লাভ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া সম্ভবত তাদের লক্ষ্যের ১০-১৫% পূরণ করতে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু, এটি কৌশলগত বিজয় হবে না।’

তিনি আশা করেন যে, রাশিয়ার সেনারা খারকিভের বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হানবে, যার বেশিরভাগই ইতিমধ্যে রাশিয়ান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;

ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের ইরান-সমর্থিত গ্রুপ হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা ওই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ইসরায়েলের ওই ড্রোন হামলায় দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর এক যোদ্ধা নিহত হয়।

জবাবে মঙ্গলবার, হিজবুল্লাহ একরির উত্তরে দুটি ইসরায়েলি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়।

গ্রুপটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, লেবাননে মঙ্গলবার ইসরায়েলের হামলায় ইরান-সমর্থিত ওই যোদ্ধা নিহত হন। ওই যোদ্ধা গাড়িতে করে যাওয়ার সময় ইসরায়েলের হামলার শিকার হন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার মধ্যদিয়ে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় হচ্ছে।

এএফপি’র এক সাংবাদিক জানান, সীমান্ত থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে উপকূলীয় তায়ার নগরীর কাছে আবু আল-আসওয়াদ এলাকায় সর্বশেষ এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সূত্রটি এএফপিকে জানায়, নিহত যোদ্ধা হিজবুল্লাহর বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন প্রকৌশলী ছিলেন।

লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত জাতীয় বার্তা সংস্থা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী তার গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। এএফপি’র এক সাংবাদিক জানান, ওই ড্রোন হামলায় গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।

খবরে বলা হয়, হিজবুল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে তাদের রকেট হামলা জোরদার করেছে এবং রবিবার সন্ধ্যায় তারা ইসরাইলের একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৩৭৭ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই
হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। তবে নিহতদের মধ্যে ৭০ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে।

এদিকে ইসরায়েল বলছে, তাদের দেশের সীমান্তে হিজবুল্লাহ গ্রুপের বিভিন্ন হামলায় ইসরায়েলের ১১ সেনা ও আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

;