পাকিস্তানি কূটনীতিককে খুঁজছে ভারত



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
ভারতের জাতীয় তদন্ত এজেন্সি পাকিস্তানি কূটনীতিককে ‘ওয়ান্টেড' তালিকাভুক্ত করে রেড কর্নার নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে আর্জি জানাতে চলেছে৷ অভিযোগ, ২৬/১১'র ধাঁচে ভারতের ওপর বড় ধরণের হামলা চালাবার ষড়যন্ত্র করছিলেন তিনি৷ ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এই প্রথম একজন পাকিস্তানি কূটনীতিককে তাদের ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করে তার ছবি ছাপিয়ে তার সম্পর্কে খোঁজখবর করছে৷ ঐ কূটনীতিকের নাম আমির জুবের সিদ্দিকি৷ তিনি শ্রীলংকার পাকিস্তানি হাইকমিশনে ভিসা কাউন্সিলর পদে থাকলেও আদতে তিনি নাকি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার৷ তাকে এবং আরও দু'জন পাকিস্তানি অফিসার ২৬/১১'র ধাঁচে দক্ষিণ ভারতে মার্কিন ও ইসরায়েলি কনস্যুলেট এবং ভারতের বিভিন্ন সেনা, নৌ ঘাঁটি এবং পরমাণু কেন্দ্রের ওপর বড় রকমের হামলা চালাবার ছক কষেছিল৷ এমনটাই অভিযোগ ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার৷ এই কাজে ভাড়া করা হয়েছিল শ্রীলংকার নাগরিক মোহাম্মদ শাকির হোসেন, অরুণ সেলভেরাজ, শিবাবালান এবং থামিম আন্সারিকে৷ তাদের মাধ্যমেই এই কাজ হাসিল করার ছক ছিল৷ জেরার মুখে শাকির স্বীকার করে যে, পাক-কূটনীতিক সিদ্দিকি ভারতের শীর্ষ সেনাকর্তাদের ল্যাপটপ চুরি করতে বলেছিলেন৷ তাদের দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় জাল নোট৷ বলা হয়েছিল, বিশাখাপত্তনমে পূর্বাঞ্চলীয় নৌ সদর দপ্তর এবং বিভিন্ন স্থানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ঘাঁটিসহ চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেট এবং ব্যাঙ্গালুরুর ইসরায়েলি কনস্যুলেটে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা চালাতে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস মোকাবিলায় বিভিন্ন তথ্য ও খোঁজখবর দিয়ে নতুনদিল্লিকে সাহায্য করায় এনআইএর তদন্তের কাজে যথেষ্ট সহায়ক হয়৷ চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে হামলার সাংকেতিক নাম ছিল ‘ওয়েডিং হল'৷ যারা এই হামলা চালাবে তাদের সাংকেতিক নাম ছিল কুক (রাঁধুনি)৷ সিদ্দিকির অফিসাররাই এই সাংকেতিক কোডগুলি জানিয়েছিল৷ এদের সমুদ্রপথে মালদ্বীপের দিক থেকে ভারতের পশ্চিম উপকূল দিয়ে অনুপ্রবেশ করার পরিকল্পনা ছিল৷ ধৃত এবং অন্যতম অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাকির হুসেইন শ্রীলংকায় বিভিন্ন পাকিস্তানি অফিসারের সঙ্গে গোপন বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণও দিয়ে জানায়, ঐ কাজে দুজন আত্মঘাতি জঙ্গির (ফিদায়েন) সঙ্গে সে মিলিত হয়েছিল ব্যাংককে৷ তাদের ভারতে এনে চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরু, মুম্বাই ও কোলকাতাসহ একাধিক শহরে রেকি করে৷ স্পাইস (মশলা) ছিল বোমার সাংকেতিক নাম৷ শাহজি নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে শাকিবের কথা হতো৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ঐ দুইজন একই ব্যক্তি৷ কিভাবে এই ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারে এনআইএ ? ২০১৪ সালের এপ্রিলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে মোহাম্মদ শাকির হুসেন নামে শ্রীলংকার এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করে তামিলনাড়ুর পুলিশ৷ বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয় শাকির হুসেন৷ সন্ত্রাস মোকাবিলায় মার্কিন সহযোগিতা কি দিল্লি-ওয়াশিংটনের মধ্যে নতুন আঁতাত গড়ে তোলার ইঙ্গিত? এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক কনক সরকার ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘পরিবর্তন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসার পর৷ তিনি পূর্বেকার নীতিতে এনেছেন পরিবর্তন৷ আগেকার নীতিতে পাকিস্তানকে নানাভাবে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হতো৷ বিশেষ করে সন্ত্রাস দমনে৷ রণকৌশলগত কারণই মুখ্য ছিল৷ নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারেন, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান আগ্রহী নয়, বিশেষ করে ভারতের ক্ষেত্রে৷'' এই পরিবর্তন কি তাহলে নতুন আঁতাত নয় ? অধ্যাপক সরকারের মতে, ‘‘এটা ঠিক আঁতাত নয়৷ বলা যায়, ন্যাচারাল অ্যালায়েন্স৷ ভারত আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাভাবিক বন্ধুত্ব৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি সেটাই বলেছেন৷ উভয় দেশই গণতান্ত্রিক এবং শান্তি ও উন্নয়নই উভয় দেশের লক্ষ্য৷'' আইএনএ ইন্টারপোলের কাছে সিদ্দিকির বিরুদ্ধে যখন রেড কর্নার নোটিশ জারি করার জন্য তোড়জোডর করছিল, তখন পাকিস্তান সরকার এদের কলম্বো থেকে ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নিয়ে যায়৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে এনআইএ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করলেও অন্য তিনজন অফিসারকে চিহ্নিত করতে পারেনি৷ ঐসব অফিসার ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কলম্বোয় কাজ করেছেন৷ ২৬/১১'র মুম্বাই হামলার জঙ্গিরাও জলপথে অনুপ্রবেশ করে মুম্বাই উপকূলে৷ লস্কর-ই-তৈয়বাসহ পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর ১০জন সন্ত্রাসী মুম্বাইয়ের ১২টি জায়গায় ধারাবাহিক হামলা চালায়৷ ব্যবহার করে আরডিএক্স, গ্রেনেড এবং একে-৪৭ রাইফেল৷ হামলায় নিহত হয় ১৬৮জন, আহত হন ৩০৮ জন৷ জীবিত ধরা পড়ে আজমল কাসাব৷ পরে বিচারে তার ফাঁসি হয়৷ এই হামলার নেপথ্য খলনায়ক ছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার জাকির হোসেন লাখভি৷ মুম্বাই হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকার সমুদ্র উপকূলে নজরদারি এবং সুরক্ষা বাড়াতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়৷ কিন্তু বেশির ভাগ সুরক্ষা প্রকল্প এখনও শেষ হয়নি, যেটা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে আছে৷ গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গোয়ার সমুদ্র সৈকতে জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করেছে উপকূল রক্ষীবাহিনী৷ শুধু গোয়া নয়, পুরো পশ্চিম উপকূলে মত্সজীবিদের ট্রলারগুলিকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়৷ ২৬/১১র হামলায় সন্ত্রাসীরা ট্রলার ছিনতাই করেই মুম্বাইয়ে অনুপ্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়৷
   

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৫৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন।

মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়ে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

;

ভারতের লোকসভা নির্বাচন

রাহুল, শশী, হেমা মালিনীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার সাত দফা ভোটের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হচ্ছে ৮৮টি আসনে। এই দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বলিউড তারকা হেমা মালিনীসহ এক ঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যেরও ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ হবে এই দফার ভোটে।

এদিকে, দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে তুমুল বিতর্ককে সঙ্গী করে। ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেবে জানিয়ে সেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। কদিন ধরেই ওই বিতর্ক ঘিরে ভোটের রাজনীতি সরগরম। এই বিতর্ক দ্বিতীয় দফার ভোটে হিন্দুত্ববাদীদের বেশি করে ভোটদানে উৎসাহিত করে দেশব্যাপী ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটায় কি না, সেটাই হতে চলেছে প্রধান দ্রষ্টব্য।

জানা গেছে, রাহুল গান্ধী তার পুরনো আসন, কেরালার ওয়েনাড় থেকে এবারও ভোটে লড়ছেন। সেখানে তার মূল লড়াই বাম জোট এলডিএফের সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনও। কেরালা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল (আলাপুঝা) ভোটে লড়ছেন। সিপিএমের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী দুই সাবেক মন্ত্রী কেকে শৈলজা এবং টমাস আইজ্যাক (পথনমথিট্টা)।

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়রাঘবনও প্রার্থী পালাক্কাড় আসনে। কেরালা থেকেই ভোটযুদ্ধে রয়েছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— রাজীব চন্দ্রশেখর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং ভি মুরলীধরন (অত্তিনগল)। মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত তার পুরনো আসন রাজস্থানের জোধপুর থেকেই আবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ওই রাজ্যের কোটা থেকে বিজেপি প্রার্থী, বিদায়ী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। অন্য দিকে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ছেলে বৈভব (জালোর) এবং একদা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক সিপি জোশী মরুরাজ্যে কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী।

দ্বিতীয় দফার ভোটের লড়াইয়ে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী (মান্ড্য) এবং ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল (রাজনন্দগাঁও) রয়েছেন। কুমারস্বামী জেডিএস এবং ভূপেশ কংগ্রেসের প্রার্থী। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দুই অভিনেতা হেমা মালিনী (মথুরা) এবং অরুণ গোভিল (মিরাট)। হেমা মথুরার দু’বারের সংসদ সদস্য। আশির দশকে টিভি সিরিয়াল রামায়ণে রামের ভূমিকায় অভিনয়কারী অরুণ এ বার প্রথম নির্বাচনী ময়দানে।

দ্বিতীয় দফায় কেরালার ২০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে। তাছাড়া কর্নাটকের ১৪, রাজস্থানের ১৩, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আটটি করে, বিহার ও আসামের পাঁচটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে লোকসভা আসনও।

;

গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

;

যুদ্ধবিধ্বস্ত হাইতির ক্ষমতায় ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।

বিদায়ী মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় অর্থনীতিমন্ত্রী মিশেল প্যাট্রিক বোইসভার্টকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতিররাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জাতীয় প্রাসাদে নয়জনের ‘অন্তবর্তীকালীন পরিষদ’ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। সহিংসতা এড়াতে গোপনে শপথ নেন অন্তবর্তীকালীন পরিষদের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, তার প্রশাসন কঠিন সময়ে জাতির সেবা করেছে। চিঠিটিতে বুধবারের তারিখ উল্লেখ ছিল।

নিউরোসার্জন থেকে রাজনীতিতে আসা হেনরি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গত কয়েক মাস থেকে হাইতির গ্যাং সদস্যরা কাজ করে আসছিল।

গত মার্চে দেশে হেনরির অনুপস্থিতির সুযোগে হাইতির প্রধান দুই কারাগারে হামলাসহ একের পর এক সহিংসতা চালিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করে গ্যাং সদস্যরা। তারা রাজধানী পোর্ট -অ-প্রিন্সের ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত।

দেশটির চলমান সংকটের মধ্যে হেনরি গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন।

;