তেলসমৃদ্ধ কিরকুক গরিব হওয়ার কারণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইরাকের কিরকুকের একটি তেলক্ষেত্র /ছবি: সংগৃহীত

ইরাকের কিরকুকের একটি তেলক্ষেত্র /ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরাকের তেলসমৃদ্ধ একটি শহর কিরকুক। ইরবিল থেকে কিরকুক যাওয়ার পথেই তেলের গন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি শহরে পৌঁছার পূর্বেই তেলের গন্ধ নাকে আসে। চোখে পড়ে মহাসড়কের উভয় পাশের তেল শৌধনাগারের সাদা চিমনি থেকে কালো ধোঁয়া। কুর্দিশ আধা-স্বায়ত্বশাসিত এলাকা থেকে কিরকুককে আলাদাকারী চেকপোস্টে তেলবাহী ট্রাকগুলোর সারি চোখে পড়ে।

সম্প্রতি আল-জাজিরার সাংবাদিক মারিয়া পেকোভার একটি প্রতিবেদনে কিরকুকের এ অবস্থা তুলে ধরা হয়। মূলত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আর রাজনীতিবিদ ও সামরিক বাহিনীর স্বার্থপরতাই কিরকুকবাসীর গরিব হওয়ার কারণ বলে মনে করা হয়।

কিরকুকের রাস্তার ধারে ছোট সবজি দোকানগুলোর ফাঁকে ফাঁকে পেট্রোল স্টেশন ও ছোট দোকানে প্রাস্টিকের পাত্রে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল।

শহরে প্রবেশ করতেই কিরকুকের রাজনীতির জটিলতা পরিষ্কার হয়ে যায়। কুর্দির ঐতিহ্যবাহী পোশাকে একজন পেশমের্গা যোদ্ধার ভাস্কর্য চোখে পড়ে, যার উপর ইরাকের পতাকা উড়ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/25/1540457598142.JPG

২০১৭ সালে যখন ভাস্কর্যটি উন্মোচন করা হয়, তখন এটি কেআরজি’র পতাকা ধারণ করেছিল, যাতে লাল, সাদা, সবুজ ও মাঝে একটি সূর্য। কুর্দিশ অঞ্চলে ঐতিহাসিকভাবে কিরকুক জাতি হিসেবে দাবি করা কেআরজি আড়াই বছর আগে পেশমের্গা বাহিনীকে বিতাড়িত করে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্যা লেভান্ত (আইএসআইএল)-এর দখল থেকে রক্ষা করতেই তারা এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

২০১৭ সালের অক্টোবরে ইরবিলের স্বাধীনতার দাবিতে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, যা বাগদাদ ও তার মিত্রদের ক্ষিপ্ত করে। ইরাকের সন্ত্রাসদমন বাহিনী ও শিয়া পিএমইউ শহরটির দখল নেয় এবং ভাস্কর্যটিতে ইরাকি পতাকা স্থাপন করে।

বর্তমানে বাগদাদ, কেআরজি ও স্থানীয় রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে বিবাদের মূল কারণ এ কিরকুক ও সেখানকার তেল। এ অবস্থা প্রাদেশিক প্রশাসনকে অকেজো করে রেখেছে, স্থানীয় অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করেছে এবং স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ বাড়িয়েছে।

তেলসমৃদ্ধ কিরকুকে

কিরকুকের দখল নেওয়ার এক বছর পরে কুর্দিশ স্বাধীনতা গণভোটের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাগদাদ। তারা পূর্বের সম্পদের হতাশাজনক অব্যবস্থাপনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

কিরকুকে ইরাকের তৃতীয় সর্বোচ্চ তেল রিজার্ব যা প্রায় ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ব্যারেল রয়েছে। কিন্তু এলাকাটির অধিবাসীরা অভিযোগ করেন যে, এ তেল সম্পদকে তাদের শহরের অবকাঠামো, সেবা ও স্থানীয় অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য ব্যবহার চোখে পড়ে না।

কিরকুকের ছোট মুদি দোকানের মালিক ৭৩ বছরের ফাহিমা আবু বাকির অক্টোবরের এক বিকালে বলেন, ‘সকাল থেকে আমাদের এখানে বিদ্যুৎ নেই।’ এ শহরে সব সময় বিদ্যুতের সমস্যা ছিল কিন্তু সাম্প্রতিক এ সমস্যা আরও খারাপ আকার ধারণ করেছে।

এ দোকানি বলেন, ‘আমি আমার দোকানে পণ্য জমা করতে পারি না। চেক পয়েন্টগুলোর কারণে দাম অনেক বেড়ে গেছে।’

বাগদাদ শহরটির দখল নেওয়ার পরে এর বাহিনী ইরবিল ও কেআরজি’র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় শহর সোলাইমানিয়ার পথে মহাসড়কে চেক পয়েন্টগুলো স্থাপন করেছে। কিরকুকে প্রবেশ করা অবৈধ পণ্যগুলোর উপর কর আদায় করার জন্য এ চেক পয়েন্টগুলো। কিরকুক ও এর প্রধান পরিবহণ কেন্দ্রে পণ্য আমদানির জন্য মহাসড়ক দুটিই ভরসা।

আবু বাকিরের দোকানের বাইরে অ্যালান নেজমেদ্দিন আব্দুল্লাহর (২৭) মুখেও একই অভিযোগ, একই সমস্যা।

ময়লা সংগ্রহসহ কয়েকটি মৌলিক সেবার অভাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তীব্র গরমে আমরা দৈনিক ১০ ঘণ্টারও কম সময় বিদ্যুৎ পাই।’

জাতিগতভাবে কুর্দি যুবক আব্দুল্লাহ কেআরজি শাসনামলে এ এলাকার পরিস্থিতি নিয়েও সন্তোষ্ট ছিলেন না। সাবেক কুর্দিশ গভর্নর ও প্যাট্রিয়টিক ইউনিয়ন অব কুর্দিস্তানের (পিইউকে) সদস্য নাজমিদ্দিন করিমকে সরিয়ে একজন আরবি রাকান আল-জাবোরিকে ক্ষমতায় বসায় বাগদাদ।

আব্দুল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসনের উচ্চ পদগুলো এমন লোকজন দিয়ে পূরণ করা হয় যারা এ শহরের নন। সাবেক কুর্দিশ গভর্নর কিরকুকের বাসিন্দা কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি দীর্ঘ সময় এখানে বাস করতেন না।’

‘আমি এমন একজন গভর্নর চাই, যিনি এখানে বাস করেন, মানুষের দুর্ভোগ জানেন এবং সকল গোষ্ঠী- কুর্দি, তুর্কি ও আরবদের সেবা করবেন।’

কুর্দিশ সাংবাদিক জানিয়ার জুমাও বলছেন যে প্রাদেশিক সভায় সংখ্যাগরিষ্ট কুর্দি দল যা ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল, তারাও কিরকুকবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের জন্য তেমন কিছু করেনি।

জুমা বলেন, ‘এখানের সকল রাজনৈতিক দল তাদের নিজেদের স্বার্থের পেছনে ছুটছেন এবং এ শহরের অর্থ ও তেল চুরির চেষ্টা করছেন।’

তিনি শহরটিতে সামরিক শাসনেরও বিরোধিতা করেন। জুমা বলেন, ‘যদিও একজন বেসামরিক লোককে গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিন্তু এখানকার সন্ত্রাস দমন বাহিনী মূল দায়িত্ব পালন করেন।

জুমার ভাই আদহাম, একজন স্বাধীন কর্মী, অক্টোবরের প্রথমদিকে বেসামরিক বিষয়ে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে জুমা বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে সন্ত্রাস দমন বাহিনীর সদস্যরা আদহামকে গ্রেফতারের জন্য বাড়িতে আসে। এ ধরণের সমস্যা করিমের শাসনের সময়ও ছিল। আমাকে পুলিশ স্টেশনে ডাকা হয়েছিল কিন্তু সেটি ইরাকি আইন অনুযায়ীই হয়েছিল। এখন সকল ক্ষমতা সামরিক বাহিনীর হাতে এবং তারা প্রকাশ্যেই যা ইচ্ছা তা করে।’

   

ভারতে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৮৮ আসনে ৬০.৭% ভোট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোট প্রদানের হার ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির ১৩টি রাজ্যের মধ্যে মণিপুর, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্রে ভোটদানের হার সবচেয়ে কম। সেখানে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫৩ শতাংশ এবং ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভারতের মোট ১০২টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

;

ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাবেন কি না, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রায় তিন ঘণ্টা দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা বিষয়টি পর্যালোচনা করেছেন।

২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ট্রাম্পের বিচার হবে কি না, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর তা নির্ভর করছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেক বিচারপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার করা বা না করা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকে আসা সিদ্ধান্তই আগামী দিনগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের রূপ নির্ধারণ করে দেবে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিল গোরশুচ বলেছেন, ‘আমরা একটি যুগের জন্য রায় লিখছি।’

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য যেকোনো ফৌজদারি অভিযোগ থেকে তিনি দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য- ট্রাম্পের এমন দাবি নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের এক দিন পর আদালতে মামলাটি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিশেষ এ শুনানি হয়।

ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, এই দায়মুক্তিই হবে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের আনা অভিযোগ থেকে তার রক্ষাকবচ।

দায়মুক্তির বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারকাজ স্থগিত থাকবে। আগামী জুনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুনানির সময় বিচারপতিরা যেসব প্রশ্ন তুলেছেন, এতে তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভক্তির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি বিভক্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের এমন বিভক্তির জেরে যদি আরও জটিল সিদ্ধান্ত আসে, তাহলে তা ফৌজদারি এ অভিযোগ নিয়ে ট্রাম্পের বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে আরও বিলম্বিত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি আছেন নয়জন। তাদের মধ্যে রক্ষণশীলেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আর উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত বিচারপতিরা সংখ্যালঘু। শুনানিতে করা প্রশ্নে এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে উভয় পক্ষের বিচারপতিরা ইতিহাসের দিকে চোখ রেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান।

এখানে দুটি প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রথমত, যদি সম্পূর্ণ দায়মুক্তি দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকেও হত্যা করতে পারবেন? দ্বিতীয়ত, এই দায়মুক্তি না থাকলে মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রেসিডেন্টদের বিচারের মুখোমুখি বা জেলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি করবে কি না?

;

নিখোঁজ থাই মডেলের মরদেহ মিলল বাহরাইনের মর্গে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক বছর আগে নিখোঁজ হওয়া থাইল্যান্ডের এক মডেলের মরদেহ বাহরাইনের একটি মর্গে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

চায়না টাইমস অনুসারে, ৩১ বছর বয়সি কাইকান কেননাকাম কাজ শেষ হওয়ার পরে তার দেশের বাইরে সুযোগের সন্ধানে গিয়েছিলেন। তিনি উত্তর থাইল্যান্ডে থাকা পরিবারকে সাহায্য করার জন্য তিন বছর আগে বাহরাইনের একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি পেয়ে সেখানে চলে এসেছিলেন।

তিনি নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেন এবং তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি তার বাহরাইনি প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছেন।

২০২৩ সালের এপ্রিলে হঠাৎ তিনি পোস্ট করা বন্ধ করে দেন। এ সময় তার পরিবার তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়নি।

কাইকানের পরিবার চলতি বছরের জানুয়ারিতে থাই দূতাবাসের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু, তারা তাকে খুঁজে পায়নি।

গত ১৮ এপ্রিল থাই দূতাবাস তার পরিবারকে জানায় যে, একজন অজ্ঞাত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান মহিলার মৃতদেহ সালমানিয়া মেডিকেল কমপ্লেক্সের মর্গে রাখা হয়েছে।

চায়না টাইমস বলেছে, তার পায়ের একটি ট্যাটু দেখে তার পরিবারকে কাইকান কেননাকামকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার মৃত্যুর কারণ অ্যালকোহল বিষক্রিয়া।

ডেইলি স্টারের মতে, কাইকানের পরিবার এখন তার দেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য চাইছে এবং বিশ্বাস করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

কাইকানের বোন সুথিদা নেগারনথাওর্ন ১৯ এপ্রিল একটি অনলাইন পোস্টে বলেছেন, ‘আমার বোন প্রায় দুই বা তিন বছর আগে বাহরাইনে কাজ শুরু করেছিল এবং সেখানে একজন আরব প্রেমিককে পেয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে, আমরা গত বছরের এপ্রিল থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাদের পরিবার বাহরাইনের থাই দূতাবাসে যোগাযোগ করে এবং চলতি মাসের ১৮ এপ্রিল জানতে পারে যে, তিনি মারা গেছেন।’

;

স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১০ মে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল।

ফিলিস্তানের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদে সাউদার্থ ক্যালিফোর্নিয়া ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও অনেক ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ২৮ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিলেও এই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়েননি। পুলিশের ভাষ্য, নির্দেশ অমান্য করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার ইউএসসি ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৯৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সময়ে ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাবুগুলোও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। 

বাতিল হওয়া এই স্নাতক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল বিদায়ী মুসলিম শিক্ষার্থী আসনা তাবাসসুমের। এ মাসের শুরুর দিকে ‘নিরাপত্তা হুমকির’ কারণ দেখিয়ে তাঁর বক্তৃতাও বাতিল করে ইউএসসি। এবার অনুষ্ঠানই বাতিল কার ঘোষণা দিল ইউএসসি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করছি। গাজায় ইসরায়েল যে যদ্ধ চালাচ্ছে, তা অন্যায় যুদ্ধ।’

পুলিশ জানিয়েছে, ইমোরি বিশ্বিবিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছেন। পুলিশ বাধ্য হয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপরে রাসায়নিক উপকরণ ছুড়েছে।

;