‘লাভ জিহাদের’ বলি রাজস্থানের মুসলিম দিনমজুর



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে যার বিরুদ্ধে আরেক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা এবং তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যার পর কার্যত 'ধর্মীয় কারণে চালানো এই হামলার' ভিডিও ইন্টারনেটে শেয়ার করা হয়। দ্বিতীয় আরেকটি ভিডিওতে অভিযুক্ত হত্যাকারীকে হামলার স্বপক্ষে যুক্তি দিতে শোনা যায় ''মুসলিমদের হাত থেকে হিন্দুদের সম্মানরক্ষার খাতিরে এই হামলা।'' পুলিশ বলেছে সন্দেভাজন ব্যক্তি শম্ভু লাল নামে একজন হিন্দু এবং নিহত ব্যক্তি একজন মুসলমান দিনমজুর। এ ঘটনার পর রাজস্থানের কোনো কোনো এলাকায় ইন্টারনেট সেবা ব্যবস্থা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে এবং এই ভিডিও শেয়ার না করার জন্য লোকজনের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। শান্তি রক্ষায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই হামলার ঘটনা ঠিক কখন ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সন্দেহভাজন শম্ভু লাল মুসলিমদের সাবধান করে দিয়ে বলছে: ''আমাদের দেশে যদি 'লাভ জিহাদ' চালাতে চান- আপনারও এই পরিণতি হবে।'' ভারতের ক্ষুদ্র কয়েকটি কট্টর হিন্দু গোষ্ঠীর প্রচারণায় এই 'লাভ জিহাদ' শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠিগুলো মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে তারা ''হিন্দু নারীদের ভুলিয়ে ভালিয়ে তাদের নিজেদের ধর্ম থেকে সরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রে'' লিপ্ত রয়েছে। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা আনন্দ শ্রীবাস্তব বিবিসি হিন্দিকে জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু ''ঘৃণা উস্কে দেওয়া'' ভিডিও শেয়ার করেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেছেন হামলাকারী এবং নিহত দুই ব্যক্তি একে অপরকে চিনত না এবং তাদের মধ্যে শত্রুতার কোনো ইতিহাস নেই। নিহত ব্যক্তির নাম মোহম্মদ আফরাজুল।তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেখানে কাজ করতে যাওয়া এক দিনমজুর। রাজস্থানের উদয়পুর শহরে গত দশ বছরের ওপর ওই ব্যক্তি কাজ করছে এবং ওই শহরের বাসিন্দা। ''আমরা জেনেছি শম্ভু লালের পরিবারের কারোর ভিন্ন ধর্মে বিয়ে হয়নি। এই ভিডিওগুলোতে সে ঘৃণা ছড়ানো বিবৃতি দিয়েছে। সহিংসতা এড়ানোর জন্য আমরা দুই সম্প্রদায়কে নিয়ে বৈঠক করছি,'' বলেন শ্রীবাস্তব।
   

দুর্নীতি মামলায় জামিনে মুক্ত ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির সঙ্গে জড়িত বহু মিলিয়ন ডলারের জমি দখল প্রকল্পে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক হওয়ার পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী মাইকোলা সোলস্কি।

একটি দুর্নীতি দমন আদালত সোলস্কিকে ২৪ জুন পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। প্রসিকিউটররা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ১.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জামানতের বিনিময়ে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।

প্রসিকিউটররা আরও জানিয়েছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে জানিয়েছে, ‘মাইকোলা সোলস্কি হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং ইউক্রেনের কৃষিনীতি ও খাদ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি তার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাচ্ছেন।’

সলস্কির বিরুদ্ধে ৭.৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জমি অবৈধভাবে দখল করার এবং ৪.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অন্যান্য জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।

রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পরপরই ২০২২ সালের মার্চ মাসে ইউক্রেনের যুদ্ধকালীন কৃষিমন্ত্রী হিসাবে কাজ শুরু করার আগে ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালে মধ্যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছিল। ।

জাতীয় দুর্নীতি দমন ব্যুরো জানিয়েছে, কথিত প্রকল্পের অধীনে জমিগুলো বেআইনিভাবে দুটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল এবং কিছু বেসরকারী সংস্থাকে লিজ দেওয়ার শর্তে যুদ্ধের অভিজ্ঞ সেনাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

তবে, ৪৪ বছর বয়সী মন্ত্রী এবং তার আইনজীবী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বৃহস্পতিবার শুনানিতে বলেছেন, তিনি এই জাতীয় কোনও প্রকল্প থেকে লাভবান হননি।

এই সপ্তাহের শুরুতে, সোলস্কি তার পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সংসদে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তিনি নিয়মানুযায়ী কৃষিমন্ত্রী থাকবেন।

;

প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্স মঞ্চে সৌদি আরবের প্রতিযোগী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় এই বছর প্রথমবারের মতো সৌদি আরব প্রতিনিধির দেখা পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সংস্থাটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সমন্বয়কারী মারিয়া হোসে উন্ডা এএফপিকে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন বর্তমানে একটি কঠোর যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী সৌদি আরব ফ্র্যাঞ্চাইজের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব শীঘ্রই সৌদি আরবের অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’ তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোতে নির্ধারিত প্রতিযোগিতার পরবর্তী সংস্করণের আগে সৌদি আরবের পক্ষে একজন প্রতিযোগী রাখা অসম্ভব বিষয় নয়।

এদিকে, সৌদি মডেল রুমি আল-কাহতানি গত মার্চের শেষের দিকে অনলাইনে একটি গুঞ্জন তৈরি করার পরে এই বিবৃতিটি আসলো। কাহতানি গত মার্চে তার কয়েক হাজার ইনস্টাগ্রাম অনুসারীদের পোস্ট করে জানান যে, আসন্ন ইভেন্টে মিস ইউনিভার্সে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।

পোস্টটিতে রিয়াদের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সি কাহতানির ছবি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই ছবিতে তিনি একটি সিকুইন্ড পোশাকে সবুজ সৌদি পতাকা ধারণ করে থাকতে দেখা যায়।

এর এক সপ্তাহেরও কম সময় পরে কাহতানির পোস্টকে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে বিবৃতি জারি করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি জানায়, উপসাগরীয় রাজ্যটির নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি।

অন্যদিকে, মিস ইউনিভার্স মঞ্চে সৌদি আরবের কোনো প্রার্থীকে দাঁড় করানো হলে, সেটি হবে দেশটির অতি-রক্ষণশীল ভাবমূর্তিকে নরম করার ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রচেষ্টার আরেকটি ধাপ।

সৌদি আরব বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক। তারা দীর্ঘকাল ধরে নারী নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত। কারণ, সেখানে নারীদের বিপরীতে গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা এবং আবায়া পোশাক পরার প্রয়োজনীয়তার মতো নিয়ম চালু ছিল।

যদিও এই বিধিনিষেধগুলি প্রত্যাহার করা হয়েছে, কিন্তু মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ২০২২ সালে কার্যকর হওয়া একটি ব্যক্তিগত স্থিতি আইন এখনও বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ এবং সন্তান লালন-পালনের বিষয়ে নারীদের প্রতি বৈষম্যের কারণ।

এ ছাড়াও সৌদি আরবের দুইজন নারী রয়েছেন, যারা ২০২২ সালে সরকারের সমালোচনামূলক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য কয়েক দশক ধরে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।

রিয়াদের বাড়িতে কথা কাহতানি মিস ইউনিভার্সে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেন।

গত মার্চ মাসে তার ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর তার প্রথম সাক্ষাত্কারে তিনি এএফপিকে বলেছিলেন, ‘মিস ইউনিভার্স কমিটির পক্ষ থেকে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আলোচনা শুরু হয়েছিল, কিন্তু তখন রমজান মাসে ছিল বলে আমি সাড়া দিতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেছিলেন যে, ‘আমরা এখনও আলোচনা করছি এবং আশা করি এটি একটি সুন্দর সমাপ্তি ঘটবে।’

মিস ইউনিভার্সের কর্মকর্তা মারিয়া হোসে উন্ডা বলেন, ‘মেক্সিকোতে পাঠানোর জন্য একজন প্রতিনিধি বাছাই করার জন্য মিস ইউনিভার্স সৌদি আরব প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য দেশটির ন্যাশনাল ডিরেক্টরকে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাহতানি যদি সৌদি আরবের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে তাকে অন্য প্রত্যেক প্রার্থীর মতো একই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’

;

সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে ব্লিঙ্কেনকে সতর্ক করেছে চীন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের সমাধান করার জন্য ‘সম্পর্কের অবনতি’ ঠেকানোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন। 

বেইজিংয়ে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ক্ষমতাধর এই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু করার সময় এই আহ্বান জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি চীনের রাজধানীর প্রাচীন উদ্যানের দিয়াওইউতাইয়ে রাষ্ট্রীয় গেস্টহাউসে ব্লিঙ্কেনকে অভ্যর্থনা জানান।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্পর্কের অগ্রগতির আশা প্রকাশ করে ব্রিঙ্কেন বলেন, তিনি সরাসরি মত-পার্থক্যের বিষয়গুলো উত্থাপন করবেন। এসবের মধ্যে রাশিয়া, তাইওয়ান এবং বাণিজ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, নভেম্বরে এক শীর্ষ সম্মেলনে নেতা জো বাইডেন এবং শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল হতে শুরু করে। কিন্তু একই সময়ে সম্পর্কের নেতিবাচক বিভিন্ন বিষয় এখনো বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে।’ 

ওয়াং বলেন, দু’দেশের মধ্যে ‘সম্পর্ক বিভিন্নভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চীনের বৈধ উন্নয়ন অধিকার অযৌক্তিকভাবে দমন করা হচ্ছে এবং আমাদের মূল স্বার্থ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।’

এর আগে ব্লিঙ্কেনের সহযোগীরা বলেছিলেন, তিনি রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনসহ বিভিন্ন উদ্বেগের বিষয় সমাধান করবেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুই বছরে তারা দ্রুততার সাথে তাদের সামরিক ঘাঁটি পুনঃনির্মাণ করেছে।

ওয়াংয়েরর সাথে বৈঠক শুরু করার সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, এসব ক্ষেত্রে তিনি ‘খুব স্পষ্ট এবং খুব সরাসরি কথা বলবেন। এটি আমাদের দুই দেশের সামনে একটি প্রধান প্রশ্ন এবং আমাদের আন্তরিকতা এবং সক্ষমতার পরীক্ষা।’

তিনি আরো বলেন,‘আমাদের প্রেসিডেন্টরা যে সব বিষয়ে সম্মত হয়েছেন সে সব বিষয় আমরা কিছুটা এগিয়ে নেব বলে আমরা আশা করছি।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, দুই দেশের ‘যে ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের মতভেদ আছে সে গুলো ব্যাপারে যতটা সম্ভব পরিষ্কার হওয়া উচিত। অন্ততপক্ষে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে আমাদের এমনটা করা উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা কেবলমাত্র আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য এমনটা করা দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র স্থিতিশীলতার সাথে এগিয়ে যাবে নাকি নিম্নগামী সম্পর্কের দিকে ফিরে যাবে সে বিষয়টি অনেকটার নির্ধারিত হতে চলেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশে ব্লিঙ্কেনের এটি দ্বিতীয় সফর।

;

মহুয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা তুলে নিলেন দেহদ্রাই



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই। এনডিটিভি জানিয়েছে, এই আইনজীবীর আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সাংসদ পদ হারিয়েছিলেন মহুয়া।

দিল্লি হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এই মামলার শুনানি ছিল। সেই সময়ে আবেদনকারী দেহদ্রাইয়ের কৌঁসুলি রাঘব অবস্তী জানান, সাবেক সাংসদ যদি ঘোষণা করেন যে দেহদ্রাইয়ের বিরুদ্ধে তিনি আর কোনও অসত্য অভিযোগ আনবেন না, তাহলে ২ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণের এই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য, এর আগে মামলার শুনানিতে হাজির হয়ে মহুয়া দেহদ্রাইকে ‘লুনাটিক’ বা ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। বিচারপতি প্রতীক জালান যার প্রতিবাদে বলেছিলেন, মহুয়ার মন্তব্য ‘দৃশ্যতই অসত্য।’

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জালান বলেন, বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়ে গেলে ঘরের ঝগড়া প্রকাশ্যে আসবে না।

এর পরে মহুয়ার আইনজীবী সমুদ্র ষড়ঙ্গীকে বিচারপতি বলেন, ‘আপনি চাইলে বাদী পক্ষের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে নিতে পারেন। সেই জন্য কিছু সময় দেওয়া হলো।’

এরপর এজলাসের এক পাশে অবস্তী এবং ষড়ঙ্গী বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। তারপরে দেহদ্রাইয়ের পক্ষে আইনজীবী অবস্তী বিচারপতিকে বলেন, তিনি কোনও শর্ত ছাড়াই মামলাটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন।

এরপরে বিচারপতি জালান ঘোষণা করেন, ‘বাদী পক্ষের অনুমতি নিয়ে তার কৌঁসুলি মামলা প্রত্যাহার করতে চেয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি খারিজ করা হলো।’

ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ ও উপহারের পরিবর্তে মহুয়া মৈত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুগত শিল্পপতি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লোকসভায় প্রশ্ন তুলতেন বলে অভিযোগ করেছিলেন দেহদ্রাই।

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সেই অভিযোগ লোকসভার স্পিকারের নজরে আনেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে মহুয়ার সাংসদ পদ কেড়ে নেয় লোকসভার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি।

জবাবে মহুয়া দেহদ্রাইকে ‘কর্মহীন আইনজীবী’ এবং ‘প্রত্যাখ্যাত প্রেমিক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এই মন্তব্যের জন্যই মহুয়ার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছিলেন দেহদ্রাই।

তবে মহুয়াও দেহদ্রাইয়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সেই মামলা এখনও চলছে। মহুয়া বরাবরই দেহদ্রাইয়ের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

দেহদ্রাই জানিয়েছিলেন, লোকসভা সদস্য হিসাবে নিজের লগইন ও পাসওয়ার্ডও মহুয়া হিরানন্দানির এক কর্মচারীকে দিয়েছিলেন, যিনি মহুয়ার নামে লোকসভায় প্রশ্ন তৈরি করে পেশ করতেন।

মহুয়া বলেন, লগইন-পাসওয়ার্ড কোনও গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় যে তা অন্যকে দেওয়া যাবে না। সাংসদদের সহকারীরাই এটি ব্যবহার করে।

মহুয়া বলেন, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তিনি লোকসভায় সবচেয়ে সরব বলেই বিজেপি দেহদ্রাইদের ঘুঁটি করে তার সদস্যপদ কেড়ে মুখ বন্ধ করিয়েছে। প্রথমে দূরত্ব রচনা করলেও পরে মহুয়ার পাশে দাঁড়ান তৃণমূল নেতৃত্ব। কৃষ্ণনগরে প্রার্থীও করেছেন তাকে। এই পরিস্থিতিতে দেহদ্রাইয়ের সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে মহুয়াকে।

;