হ্যারি-মেগানের রাজকীয় বিয়ে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  • Font increase
  • Font Decrease

বিয়ের বাঁধনে জড়ালেন ব্রিটিশ রাজ সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি ও হলিউড অভিনেত্রী মেগান।

উইন্ডসর ক্যাসেলের সেইন্ট জর্জ চ্যাপেলে রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন ৬শ’ অতিথি। আর টেলিভিশনের পর্দায় বিয়ের অনুষ্ঠান দেখেছেন সারা বিশ্বের কয়েকশ’ কোটি মানুষ।

ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে সেইন্ট জর্জ চ্যাপেলে আসেন প্রিন্স হ্যারি। গোলাপ, পিওনি আর ফক্সগ্লোভস ফ্লাওয়ারে সাজানো হয় বিয়ের ভেন্যু।

অসুস্থতার কারণে বাবার অনুপস্থিতিতে হবু শ্বশুর ডিউক অব কর্নওয়াল প্রিন্স চার্লসের হাত ধরে বিয়ের ভেন্যুতে পৌঁছেন কনে মেগান মার্কেল।এসময় মেগানের পরনে ছিল ব্রিটিশ নকশাকার ক্লেয়ার ওয়েইট কেলারের করা একটি পোশাক।

প্রিন্স জর্জ ও প্রিন্সেস শার্লটসহ ১০টি বালক-বালিকা কনে মার্কলের সহচর ও সহচরী হিসেবে ছিলেন। মার্কলের মাথায় ছিল রাণি ম্যারির হীরা খচিত টায়রা, যা রাণি তাকে ধারে পরতে দিয়েছিলেন। তার পরনে ওয়েইট কেলারের নকশাকরা সাদা পোশাকটি ফরাসি ফ্যাশন হাউস জিভনচি থেকে আনা।

স্বচ্ছ সাদা একটি পাঁচ মিটার দৈর্ঘ্যের ওড়নায় মার্কলের মুখমণ্ডল ঢাকা ছিল। ওড়নাটিতে কমনওয়েলথভুক্ত সব দেশের একটি করে ফুলের নকশা করা।

নিজের শপথে মেগান তার স্বামীকে ‘মান্য’ করার প্রতিশ্রুতি দেননি, অপরদিকে প্রিন্স হ্যারি রাজকীয় ঐতিহ্য ভেঙে স্ত্রীকে একটি বিয়ের আংটি পরিয়ে দেন।

প্রিন্স হ্যারির বিয়ের আংটি প্ল্যাটিনাম ব্যান্ডের আর ওয়েলশ গোল্ডের আংটি মেগানের।

এরপর প্রিন্স হ্যারির প্রয়াত মা প্রিন্স অব ওয়েলস ডায়নার পক্ষ থেকে তার বোন লেডি জেন ফেলোউস একটি নির্বাচিত অংশ পাঠ করে শোনান।

অনুষ্ঠানে মার্কলের পরিবারের পক্ষ থেকে একমাত্র তার মা ডোরিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলে এক অনুষ্ঠানের পর ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স হ্যারি ও মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কলকে স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এরপর বর ও কনে একটি রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করেন।

/uploads/files/3ExE1BDeIvxqNv3qm8HUotg4ohnZHAtbUC4FKTpW.jpeg

বিয়ের উপহার হিসেবে রানী এলিজাবেথের কাছে থেকে প্রিন্স হ্যারি পেয়েছেন ডিউক অব সাসেক্স উপাধি আর মেগান হলেন ডাচেস অব সাসেক্স।

সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৬শ’ আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে ছিলেন অপরাহ উনফ্রে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ভিক্টোরিয়া ও ডেভিড বেকহ্যাম, স্যার এলটন জন ও সেরেনা উইলিয়ামস।

এটি কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মেসহ রাজনীতিবিদরা ছিলেন না আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায়। বিয়ের ভেন্যুর বাইরে অতিথি ছিলেন আরো ১২শ’।

বিয়ের পর রীতি অনুযায়ী পুরো শহর ঘুরে বেরিয়েছেন নতুন রাজদম্পতি। এরপর ফিরে আসেন উইন্ডসর ক্যাসেলে।

সেইন্ট জর্জ চ্যাপেল হলে রানীর দেয়া সংবর্ধনায় ছিলেন আমন্ত্রিত ৬শ’ অতিথি। এখানেও আবারো ঐতিহ্য ভেঙ্গে স্পিচ দেন নতুন রাজবধূ মেগান। সন্ধ্যায় ফ্রগমোর ক্যাসেলে প্রিন্স চার্লসের দেয়া সংবর্ধনা। এখানে অতিথি ২শ’।

রাজকীয় বিয়ে আর নবদম্পতিকে এক নজর দেখতে উইন্ডসর ক্যাসেলের আশপাশে জড়ো হন লাখো শুভাকাঙ্খী। ঠিকঠাক মতো বিয়ে দেখতে ক’দিন আগে থেকেই ক্যাসেলের বাইরে ক্যাম্প করেন অতি উৎসাহী অনেকে। লাখো ভক্তের শুভেচ্ছায় ভাসেন হ্যারি-মেগান।

ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স হ্যারি ও মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কলের বহুল আলোচিত বিয়েতে ব্রিটিশ সরকারের তিন কোটি পাউন্ডেরও বেশি ব্যয় হবে বলে খবর গণমাধ্যমের।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, শনিবারের বিশাল এই অনুষ্ঠানের মোট ব্যয় তিন কোটি ২০ লাখ পাউন্ড বলে হিসাব করেছে বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রাইডবুক।

এর মধ্যে নিরাপত্তা বাবদ খরচ তিন কোটি পাউন্ডেরও বেশি বলে নিজেদের হিসাবে জানিয়েছে ব্রাইডবুক। তবে অন্যান্যদের হিসাবে নিরাপত্তা বাবদ খরচ দুই কোটি ২০ লাখ পাউন্ডের কাছাকাছি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিয়ের দিন উইন্ডসর ক্যাসলে উৎসবে যোগ দিতে আসা দুই হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষের জন্য করা নিরাপত্তা পরিকল্পনা।

নিরাপত্তার এই সব খরচ ব্রিটিশ করদাতাদেরই বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

ট্যাক্সপেয়ার্স অ্যালায়েন্সের নীতি বিশ্লেষক ডানকান সিম্পসন বলেছেন, “রাজকীয় বিয়েটি যুক্তরাজ্যের একটি উত্তেজনাকর সময়। এই দিনটিতে নবদম্পতি এবং অন্যান্য যারা উইন্ডসরে আসবেন তারা যেন গণউৎসবেরে এই আবহে নিরাপদ বোধ করেন তার জন্য সবচেয়ে কম খরচে সব ধরনের নিরাপত্তা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

বিয়ের বাকি খরচ রাজপরিবার তাদের নিজেদের তহবিল থেকে দিবে। তবে বিয়ের দিন তারা যেহেতু জনগণের কাছ থেকে তহবিল গ্রহণ করবে তাই করদাতারা এই বিয়ের জন্য মোট কত টাকা ব্যয় করবেন তা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের।

   

ভারতে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৮৮ আসনে ৬০.৭% ভোট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোট প্রদানের হার ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির ১৩টি রাজ্যের মধ্যে মণিপুর, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্রে ভোটদানের হার সবচেয়ে কম। সেখানে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫৩ শতাংশ এবং ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভারতের মোট ১০২টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

;

ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাবেন কি না, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রায় তিন ঘণ্টা দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা বিষয়টি পর্যালোচনা করেছেন।

২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ট্রাম্পের বিচার হবে কি না, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর তা নির্ভর করছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেক বিচারপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার করা বা না করা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকে আসা সিদ্ধান্তই আগামী দিনগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের রূপ নির্ধারণ করে দেবে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিল গোরশুচ বলেছেন, ‘আমরা একটি যুগের জন্য রায় লিখছি।’

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য যেকোনো ফৌজদারি অভিযোগ থেকে তিনি দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য- ট্রাম্পের এমন দাবি নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের এক দিন পর আদালতে মামলাটি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিশেষ এ শুনানি হয়।

ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, এই দায়মুক্তিই হবে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের আনা অভিযোগ থেকে তার রক্ষাকবচ।

দায়মুক্তির বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারকাজ স্থগিত থাকবে। আগামী জুনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুনানির সময় বিচারপতিরা যেসব প্রশ্ন তুলেছেন, এতে তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভক্তির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি বিভক্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের এমন বিভক্তির জেরে যদি আরও জটিল সিদ্ধান্ত আসে, তাহলে তা ফৌজদারি এ অভিযোগ নিয়ে ট্রাম্পের বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে আরও বিলম্বিত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি আছেন নয়জন। তাদের মধ্যে রক্ষণশীলেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আর উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত বিচারপতিরা সংখ্যালঘু। শুনানিতে করা প্রশ্নে এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে উভয় পক্ষের বিচারপতিরা ইতিহাসের দিকে চোখ রেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান।

এখানে দুটি প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রথমত, যদি সম্পূর্ণ দায়মুক্তি দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকেও হত্যা করতে পারবেন? দ্বিতীয়ত, এই দায়মুক্তি না থাকলে মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রেসিডেন্টদের বিচারের মুখোমুখি বা জেলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি করবে কি না?

;

নিখোঁজ থাই মডেলের মরদেহ মিলল বাহরাইনের মর্গে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক বছর আগে নিখোঁজ হওয়া থাইল্যান্ডের এক মডেলের মরদেহ বাহরাইনের একটি মর্গে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

চায়না টাইমস অনুসারে, ৩১ বছর বয়সি কাইকান কেননাকাম কাজ শেষ হওয়ার পরে তার দেশের বাইরে সুযোগের সন্ধানে গিয়েছিলেন। তিনি উত্তর থাইল্যান্ডে থাকা পরিবারকে সাহায্য করার জন্য তিন বছর আগে বাহরাইনের একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি পেয়ে সেখানে চলে এসেছিলেন।

তিনি নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেন এবং তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি তার বাহরাইনি প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছেন।

২০২৩ সালের এপ্রিলে হঠাৎ তিনি পোস্ট করা বন্ধ করে দেন। এ সময় তার পরিবার তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়নি।

কাইকানের পরিবার চলতি বছরের জানুয়ারিতে থাই দূতাবাসের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু, তারা তাকে খুঁজে পায়নি।

গত ১৮ এপ্রিল থাই দূতাবাস তার পরিবারকে জানায় যে, একজন অজ্ঞাত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান মহিলার মৃতদেহ সালমানিয়া মেডিকেল কমপ্লেক্সের মর্গে রাখা হয়েছে।

চায়না টাইমস বলেছে, তার পায়ের একটি ট্যাটু দেখে তার পরিবারকে কাইকান কেননাকামকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার মৃত্যুর কারণ অ্যালকোহল বিষক্রিয়া।

ডেইলি স্টারের মতে, কাইকানের পরিবার এখন তার দেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য চাইছে এবং বিশ্বাস করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

কাইকানের বোন সুথিদা নেগারনথাওর্ন ১৯ এপ্রিল একটি অনলাইন পোস্টে বলেছেন, ‘আমার বোন প্রায় দুই বা তিন বছর আগে বাহরাইনে কাজ শুরু করেছিল এবং সেখানে একজন আরব প্রেমিককে পেয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে, আমরা গত বছরের এপ্রিল থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাদের পরিবার বাহরাইনের থাই দূতাবাসে যোগাযোগ করে এবং চলতি মাসের ১৮ এপ্রিল জানতে পারে যে, তিনি মারা গেছেন।’

;

স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১০ মে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল।

ফিলিস্তানের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদে সাউদার্থ ক্যালিফোর্নিয়া ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও অনেক ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ২৮ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিলেও এই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়েননি। পুলিশের ভাষ্য, নির্দেশ অমান্য করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার ইউএসসি ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৯৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সময়ে ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাবুগুলোও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। 

বাতিল হওয়া এই স্নাতক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল বিদায়ী মুসলিম শিক্ষার্থী আসনা তাবাসসুমের। এ মাসের শুরুর দিকে ‘নিরাপত্তা হুমকির’ কারণ দেখিয়ে তাঁর বক্তৃতাও বাতিল করে ইউএসসি। এবার অনুষ্ঠানই বাতিল কার ঘোষণা দিল ইউএসসি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করছি। গাজায় ইসরায়েল যে যদ্ধ চালাচ্ছে, তা অন্যায় যুদ্ধ।’

পুলিশ জানিয়েছে, ইমোরি বিশ্বিবিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছেন। পুলিশ বাধ্য হয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপরে রাসায়নিক উপকরণ ছুড়েছে।

;