টোকিও অলিম্পিক

জাপানের রাইজিং সান পতাকা নিষিদ্ধের দাবি দ. কোরিয়ার



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাপানের রাইজিং সান পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

জাপানের রাইজিং সান পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টোকিও অলিম্পিকে জাপানের রাইজিং সান পতাকা নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। অন্যদিকে জাপানের ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আয়োজকরা বিতর্কিত পতাকাটি নিষিদ্ধ করতে রাজি হননি।

দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ বলছেন, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের দশকগুলোতে জাপানি শাসনের অধীনে সহিংসতা, পাশবিক জীবনের স্মৃতি জাগিয়ে তোলে এ ‘শয়তানের পতাকা’ (রাইজিং সান পতাকা)। জাপানি সেনারা এ পতাকা দেখিয়েই লাখো মানুষকে হত্যা করেছেন, যাদের মধ্যে বহু কোরিয়ান রয়েছেন।

a
শিল্পীর তুলিতে কোরিয়ায় জাপানের আগ্রাসন, ছবি: সংগৃহীত

 

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়া সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি মনে করে, তথাকথিত রাইজিং সান পতাকাটি আগামী বছর টোকিও অলিম্পিকে অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতে নিষিদ্ধ করা উচিত।

কারণ, দক্ষিণ কোরিয়া এ পতাকাকে জাপানিদের ‘সাম্রাজ্যবাদ ও সামরিকতন্ত্রের’ প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে।

তবে চলতি সপ্তাহে টোকিও-২০২০ অলিম্পিকের আয়োজক কমিটি বলেছে যে পতাকাটি জাপানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি নিষিদ্ধ করা হবে না।

তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, পতাকা নিজেই একটি রাজনৈতিক বিবৃতি হিসেবে বিবেচিত হয় না, সুতরাং এটিকে নিষিদ্ধ বস্তু হিসেবে দেখা হয় না।

এ সিদ্ধান্তটি দক্ষিণ কোরিয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, সেখানে ক্রীড়া সংসদীয় কমিটির সভাপতি আন মিন-সুক এ সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে আন বলেন, যুদ্ধের প্রতীকী পতাকা শান্তিপূর্ণ অলিম্পিক গেমসের জন্য উপযুক্ত নয়।

a
দক্ষিণ কোরিয়ায় জাপানের রাইজিং সান পতাকাবিরোধী আন্দোলন, ছবি: সংগৃহীত 

 

উদীয়মান সূর্যের পতাকাটি এশিয়ান এবং কোরিয়ানদের কাছে শয়তানের প্রতীকের অনুরূপ, যেমনটি স্বস্তিকা নাৎসিদের প্রতীক, যা ইউরোপীয়দের আক্রমণ ও বিভীষিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

কোরিয়ান ক্রীড়া ও অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে যে টোকিও ২০২০ বা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কাছে পতাকাটি নিষিদ্ধ করার জন্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করা হয়নি।

আইওসির মুখপাত্র বলেন, খেলার সময় স্টেডিয়ামগুলো রাজনৈতিক বিক্ষোভমুক্ত রাখতে হবে। গেমসের সময় উদ্বেগ দেখা দিলে আমরা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সপ্তাহের প্রথম দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র কিম ইন-চুল বলেছেন, জাপান সরকারের উচিত তাদের ইতিহাসের স্বীকৃতি দেওয়া। এটি জাপান সরকারের বোঝা উচিত যে রাইজিং সান পতাকাটি প্রতিবেশী দেশগুলোতে জাপানি সাম্রাজ্যবাদ ও সামরিকতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

a
রাইজিং সান পতাকা নিয়ে জাপানিদের উল্লাস, ছবি: সংগৃহীত 

 

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার টোকিও-২০২০ এ পতাকাটি প্রদর্শন বাতিলের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

দু'দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য বিস্তারের মধ্যে এ পতাকা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যা গত জুলাই মাস থেকে বেড়েই চলেছে।

জাপানের কাছে রাইজিং সান পতাকা সংস্কৃতির অংশ। পতাকাটি ইম্পেরিয়াল জাপানি সেনাবাহিনী ব্যবহার করেছিল এবং দেশের নৌ ও প্রতিরক্ষা বাহিনী এখনও এ পতাকা ব্যবহার করে।

টুইটারে এক জাপানি নাগরিক লিখেছেন, উদিত সূর্য প্রতীকটি কী উপস্থাপন করে, সে সম্পর্কে আমাদের ভিন্ন মতামত থাকতে পারে, তবে এর অর্থ এমন নয় যে তারা সব সময় আমাদের শত্রু।

বিশ শতকের প্রথমার্ধে, কোরিয়ান উপদ্বীপে জাপান উপনিবেশ স্থাপন করে এবং অনেক কোরিয়ানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যারা বেঁচেছিলেন, তাদের দাস বানিয়ে রাখা হয়েছিল। এ নির্মম সময়টি প্রবীণ কোরিয়ানদের স্মৃতিতে আছে। উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া উভয় ক্ষেত্রেই এটি বড় ক্ষত হিসেবে দেখা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং সে সময় জাপানি সৈন্যদের যৌন সেবা দিতে বাধ্য করা হতো কোরিয়ান নারীদের।

দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট ভক্তুভোগী নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে জাপানি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। যদিও দীর্ঘকালীন যুদ্ধ থামাতে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান ১৯৬৫ সালে এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। অনেক কোরিয়ান মনে করেন, এ চুক্তিটি অন্যায্য ছিল এবং তারা বিশ্বাস করেন যে ভুক্তভোগীদের আইনগত দাবি করার এখনও অবকাশ রয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বাণিজ্য বিরোধে রূপ নিয়েছে। জুলাই মাসে টোকিও দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি রাসায়নিক পদার্থের রফতানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, যা কম্পিউটারের চিপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

গত মাসে, জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়াকে তার পছন্দসই ব্যবসায়ীক অংশীদারদের তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক এ পদক্ষেপটিকে ‘অন্যায়’ বলে আখ্যায়িত করে এবং বলেছে, এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ‘বৈরী জাতি’ হিসেবে গণ্য হচ্ছে জাপান।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীদের অংশীদারদের তালিকা থেকে জাপানকে সরিয়ে দিয়েছে। তারা ঘোষণা করেছে, এর মাধ্যমে জাপানের সঙ্গে তাদের সামরিক অংশীদারিত্ব চুক্তিটি বাতিল হয়েছে, যা ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে এ বাণিজ্য বিরোধ স্মার্টফোন এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জন্য গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনকে হুমকির সম্মুখীন করতে পারে।

   

বেইজিংয়ে ঐক্য সংলাপে বসছে ফাতাহ-হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেইজিংয়ে ঐক্য সংলাপে বসতে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনের দুই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহের প্রতিনিধিরা। শিগগিরই এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন হামাস ও ফাতাহর নেতৃবৃন্দ এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐক্য সংলাপে বসার উদ্দেশে ফিলিস্তিনের দুই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহের প্রতিনিধিরা শুক্রবার বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সংলাপে ফাতাহের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন গোষ্ঠীটির জ্যেষ্ঠ নেতা আজাম আল আহমেদ, আর হামাসের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন ওই গোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখাপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনের জাতীয় কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী দেখতে চাই এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যেসব রাজনৈতিক পক্ষ সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে ঐক্য স্থাপন করতে চায়, তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে কূটনৈতিক কর্মকর্তা ওয়াং কেজিয়ান হামাসের প্রেসিডেন্ট ইসমাঈল হানিয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সে সময় বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এই শান্তি সংলাপের প্রস্তাব দেন ওয়াং কেজিয়ান এবং হানিয়েও তাতে সম্মতি দেন।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের প্রতিপক্ষ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য স্থাপনই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে গভীর প্রভাব বিস্তারকারী চীনের এ বিষয়ে অতীত সাফল্যের রেকর্ড রয়েছে। ২০২৩ সালে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে শান্তি স্থাপনে নেতৃত্ব দিয়েছিল বেইজিং। মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই নেতৃস্থানীয় দেশের মধ্যে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বৈরিতা চলছিল।

;

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে গৃহহীনদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত একটি গেস্টহাউসে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের খবর রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুন নেভাতে পাঁচটি ট্রাক এবং কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রেরণ করেছে।’

তিনি আর লিখেছেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাব। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’

ব্রাজিলের মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা ভবনটি আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং য়ায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।

মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আহতদের সংখ্যা ১১ জন বলে জানানো হয়েছে।

;

ছয় বছরে বিজেপির গুগলে বিজ্ঞাপন খরচ ১০০ কোটি রুপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুগল এবং ইউটিউবে ১০০ কোটি রুপির বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এত টাকার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিল।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) মোট যত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তারচেয়ে বেশি টাকার বিজ্ঞাপন একাই দিয়েছে বিজেপি। সেটি ১০১ কোটি রুপিও বেশি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যত খরচ করা হয়েছে, তার ২৬ শতাংশই করেছে বিজেপি। ছয় বছরে মোট ৩৯০ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে।

গুগলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বলতে শুধু রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনকেই বোঝায় না। এই তালিকায় রয়েছে সংবাদ মাধ্যম, সরকারের প্রচার বিভাগ, এমনকি রাজনীতিক, অভিনেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনও।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, ছয় বছরে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজারটি বিজেপির।

এর মধ্যে আবার দলের সব থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে। কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশে গুগলে প্রকাশ করা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ রুপির বিজ্ঞাপন। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও দিল্লি। এমনিতে গুগলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে। তারপরে রয়েছে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ।

গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির পর রয়েছে কংগ্রেস। ছয় বছরে ৪৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। এই সময়ে মোট ৫,৯৯২টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই ৯.৬ কোটি রুপি করে খরচ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬.৩ কোটি রুপি খরচ করেছে।

কংগ্রেসের পর রয়েছে ডিএমকে। গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে তারা তৃতীয় স্থানে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৪২ লাখ রুপি খরচ করেছে তারা। তার মধ্যে ১৬.৬ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা।

তামিলনাড়ুর বাইরে কর্নটকে ১৪ কোটি রুপি এবং কেরলে ১৩ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল। ভারত রাষ্ট্রসমিতি (বিআরএস) ২০১৩ সালের নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১২ কোটি রুপি খরচ করেছে। আইপ্যাক তৃণমূলের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে গুগলে ৪.৮ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, তা জানলে বিস্মিত হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস গুগলে ৫.৭ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর বিজেপি দিয়েছে ৫.৩ কোটি রুপির।

;

ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য: অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তবে, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে দেশটির শিক্ষার্থীদের নীরবতার সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কখনও কখনও রাসায়নিক টেজার ব্যবহার করছে। ফলে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

বিক্ষোভকে স্তব্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

চীনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই ধরনের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যেকোনো সময় তাদের মতামত, উদ্বেগ এবং ক্রোধ প্রকাশ করতে পারে, যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের বিক্ষোভ একটি দেশের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদকারীরা হামাসের নিন্দা করেনি, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব হামলা চালিয়েছিল।’

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যুদ্ধ গতকাল শেষ হতে পারতো, এটি আগামীকালও শেষ হতে পারে। যদি হামাস তার অস্ত্র নামিয়ে বেসামরিকদের পেছনে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবেই শান্তি ফিরবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে হামাস সেটি না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।’

;