সৌদি তেল স্থাপনায় হামলা: অর্ধেকের নিচে উৎপাদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
হামলার পর আগুন লেগে এমন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে, ছবি: সংগৃহীত

হামলার পর আগুন লেগে এমন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আর্মকোর কোম্পানির দুইটি তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এ হামলায় তেল স্থাপনা দুটিতে আগুন লেগে যায়। ফলে দেশটির বৃহৎ এ স্থাপনা দুটি থেকে তেল উৎপাদন অর্ধেকেরও নীচে নেমে এসেছে। এর প্রভাবে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে কয়েক দফায় তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সৌদি আরবের বৃহৎ দুইটি তেল স্থাপনায় হামলার ফলে ইতোমধ্যে তেল উৎপাদন অর্ধেকের নীচে নেমে এসেছে। একদিনের ব্যবধানে তেল উৎপাদন অর্ধেকের বেশি কমে যাওয়ায় কয়েক দফায় তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার এ ঘটনা জানানো হয়। হামলায় তেল স্থাপনা দুটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় টিভি ফুটেজের ভিডিওতে কালো ধোঁয়া ও আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

আরও পড়ুন, সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা

প্রথমে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও পরে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এ হামলার দায় স্বীকার করেন। এমনকি এ হামলার পিছনে ইরানের সমর্থন রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এ দুটি স্থাপনায় হামলা করতে কমপক্ষে দশটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

সৌদি আরবের পূর্ব প্রদেশ দাহরানের ৬০ কিলোমিটার দূরে আবাকাইক তেল স্থাপনার অবস্থান। এবং দাহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে খুরাইশ তেল স্থাপনার অবস্থান। খুরাইশ তেল স্থাপনা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তর তেল স্থাপনা। সৌদি আরবের আর্মকোর কোম্পানি বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন এ প্রতিষ্ঠানটি ৭০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে।

এদিকে এ আক্রমণটি ছিল বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা। এর আগে ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় সাদ্দাম হোসেনর বাহিনী কর্তৃক সৌদি তেল স্থাপনায় আক্রমণ করা হয়। এরপরই শনিবারের হুথি বিদ্রোহীদের করা এ হামলা ছিল দ্বিতীয় বৃহৎ হামলা।

এ হামলায় নাসার একটি স্যাটেলাইট থেকে সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমের আকাশে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। যেটি দেখে মনে হয়েছিল কালো দীর্ঘ স্রোত বয়ে যাচ্ছে।

আর্মকোর এক বিবৃতিতে বলেছে হয়েছে, আক্রমণে পর ৫.৭ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে। এ স্থাপনা দুটি থেকে দেশটির তেল উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে আনতে পারে। সৌদিআরব বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের প্রায় ৬ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। ফলে এমন ঘাটতি তেলের দাম প্রচুর বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর্মকোর বিবৃতিতে কতদিন পর্যন্ত এ উৎপাদন ব্যাহত হবে তার কোনও নির্দিষ্ট সময় বলা হয়নি।

এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগ থেকে দেওয়া এক বরাতে জানানো হয়, তেল উৎপাদন কমে গেলে প্রয়োজনে দেশের জরুরি তেল মজুদে হাত দিতে হতে পারে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। 

   

মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি দেশই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো দেয় রাশিয়া। অপর দেশ চীন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। খসড়াটিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাধর দেশের পাশাপাশি সব রাষ্ট্রকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

খসড়ায় ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি সমর্থনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মহাকাশে কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন না করতে সম্মত হয়েছিল এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন পদক্ষেপকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, সহজবোধ্য প্রস্তাবটি এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করত। তবুও এতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই মস্কোর।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের ভেটো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি কি এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন না, যা সে নিয়মগুলো মেনে চলাকেই নিশ্চিত করে? আপনি কী লুকাতে চান?’ অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, প্রস্তাবটির পেছনে ‘গোপন ও নিষ্ঠুর’ উদ্দেশ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন, মহাকাশভিত্তিক একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। পরে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করে, ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির প্রতি তারা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে মস্কোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক নজরদারি, মার্কিন সামরিক অভিযান থেকে শুরু করে জিপিএস সিস্টেম, আর্থিক লেনদেনের মতো বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের স্যাটেলাইটগুলোকে টার্গেট করা হলে রীতিমতো অচল হয়ে পড়বে দেশটি।

;

গাজায় আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার বিক্ষোভ ছড়িয়েছে ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়েও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের  ক্যাম্পাসে যান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ক্যাম্পাসে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আগমনকে ঘিরেই বিক্ষোভের ডাক দেন শত শত শিক্ষার্থী। ফিলিস্তিনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। 

এদিন যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রাখে দাঙ্গা পুলিশ। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মুখোমুখি অবস্থানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গাজার পক্ষে শুরু হওয়া আন্দোলনের মতোই ফরাসি সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগে বিক্ষোভ বড় পরিসরে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা সরবোনের শিক্ষার্থীদের। 

প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরাইলের অভিযানের প্রতিবাদে ইসরাইলের প্রধান মিত্র ও পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরু থেকেই চলছিল। তবে সম্প্রতি তা আরও ব্যাপক রূপ নিয়েছে। 

ক্রমবর্ধমান এই বিক্ষোভ সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্মকর্তারা রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। যে কারণে বিক্ষোভ দমনের নামে ধড়পাকড় চালানো হচ্ছে। তবে যত দিন যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

কলম্বিয়া ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। নতুন নতুন ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

;

ভারতে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৮৮ আসনে ৬০.৭% ভোট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোট প্রদানের হার ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির ১৩টি রাজ্যের মধ্যে মণিপুর, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্রে ভোটদানের হার সবচেয়ে কম। সেখানে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫৩ শতাংশ এবং ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভারতের মোট ১০২টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

;

ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাবেন কি না, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রায় তিন ঘণ্টা দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা বিষয়টি পর্যালোচনা করেছেন।

২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ট্রাম্পের বিচার হবে কি না, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর তা নির্ভর করছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেক বিচারপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার করা বা না করা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকে আসা সিদ্ধান্তই আগামী দিনগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের রূপ নির্ধারণ করে দেবে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিল গোরশুচ বলেছেন, ‘আমরা একটি যুগের জন্য রায় লিখছি।’

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য যেকোনো ফৌজদারি অভিযোগ থেকে তিনি দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য- ট্রাম্পের এমন দাবি নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের এক দিন পর আদালতে মামলাটি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিশেষ এ শুনানি হয়।

ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, এই দায়মুক্তিই হবে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের আনা অভিযোগ থেকে তার রক্ষাকবচ।

দায়মুক্তির বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারকাজ স্থগিত থাকবে। আগামী জুনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুনানির সময় বিচারপতিরা যেসব প্রশ্ন তুলেছেন, এতে তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভক্তির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি বিভক্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের এমন বিভক্তির জেরে যদি আরও জটিল সিদ্ধান্ত আসে, তাহলে তা ফৌজদারি এ অভিযোগ নিয়ে ট্রাম্পের বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে আরও বিলম্বিত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি আছেন নয়জন। তাদের মধ্যে রক্ষণশীলেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আর উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত বিচারপতিরা সংখ্যালঘু। শুনানিতে করা প্রশ্নে এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে উভয় পক্ষের বিচারপতিরা ইতিহাসের দিকে চোখ রেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান।

এখানে দুটি প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রথমত, যদি সম্পূর্ণ দায়মুক্তি দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকেও হত্যা করতে পারবেন? দ্বিতীয়ত, এই দায়মুক্তি না থাকলে মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রেসিডেন্টদের বিচারের মুখোমুখি বা জেলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি করবে কি না?

;