অভিবাসী সংকট: সমঝোতায় ইইউ নেতারা
ব্রাসেলসে শীর্ষ সম্মেলনে দীর্ঘ বৈঠকের পর অভিবাসন বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
চুক্তি মতে, ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশে নতুন অভিবাসী কেন্দ্র স্থাপন করার ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছানো হয়। যা পরিচালিত হবে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী ভিত্তিতে । আর এই কেন্দ্রগুলোর পক্ষ থেকেই ঠিক করা হবে কারা আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য আর কারা অনিয়মিত অভিবাসী। অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টিও এখান থেকেই নির্ধারণ করা হবে।
এছাড়া ইউরোপীয় অঞ্চলে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে কোটা সীমাবদ্ধ করার ব্যাপারেও একমত হন ইইউ নেতারা।
কিন্তু কোন কোন দেশ এসব অভিবাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
হাজারো অভিবাসীদের জন্য প্রবেশ দ্বার ইতালি। মূলত আফ্রিকা থেকে অভিবাসীরা ইতালি হয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করে থাকে। তাই চুক্তিতে মত দিলেও প্রয়োজনীয় সহায়তা না পেলে ভোটো দেয়ার হুমকি রয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে।
বৈঠকের পর ইতালীর প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কন্টে বলেন, ইউরোপ এখন থেকে আরো দায়িত্বশীল এবং আরো ঐক্যবদ্ধ হলো। তিনি বলেন, ইতালি এখন আর একা নয়।
কিন্তু অভিবাসী সমস্যা সমাধানে আরো অনেক কিছু করা প্রয়োজন বলে মনে করেন জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেল। যদিও অভিবাসী ইস্যুতে নিজ দেশেই চাপের মুখে রয়েছেন তিনি। সমস্যা সমাধোনে জোট সঙ্গী তাঁকে সময় বেধে দিয়েছেন। হুঁমকি দিচ্ছেন জার্মানে আশ্রয় নেয়া অভিবাসীদের বের করে দেয়ার। এমনকি ক্ষমতা হারানোর হুমকির মধ্যেও রয়েছেন মার্কেল।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বৃহস্পতিবার শুরু হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর এই শীর্ষ সম্মেলন। এতে যোগ দেন ইউনিয়নের ২৮টি দেশের নেতারা।
দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার বৈঠকে কয়েকটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। যেমন: সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানো এবং তুরস্ক ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে আর্থিক সহায়তা বাড়ানো।
সাগর পথে অভিবাসীদের আসার যে পথ তৈরি হয়েছে তা প্রতিহত করা হবে।
ইতালি ও গ্রিসে অভিবাসীদের চাপ বেশি তাই তাদের পক্ষ থেকে এই অভিবাসীদের প্রতিবেশী দেশগুলোকেও আশ্রয় দেয়ার উপর জোর দেয়া হয়।