রোহিঙ্গাদের উপর ইচ্ছাকৃত গণহত্যা চালিয়েছে মিয়ানমার সেনা: জাতিসংঘ
ঢাকা: রোহিঙ্গাদের উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা এ গণহত্যা চালিয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে।
সোমবার (২৭ আগস্ট) জাতিসংঘ গঠিত স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তাদের প্রতিবেদনে এসব জানিয়েছে ।
হত্যা ও ধর্ষণের মত অপরাধ সংঘটনের জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধান এবং জ্যেষ্ঠ পাঁচ জেনারেলকে বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করেছে মিশনটি। রাখাইনের পাশাপাশি শান ও কাচিন অঞ্চলেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ।
প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যায় এবং বেশিরভাগই প্রতিবেশী বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, নিরাপত্তার হুমকির নামে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে সামরিক পদক্ষেপ চালানো হয়েছে যার কোনোও ভিত্তি নেই। জাতিসংঘ সমগ্র অথবা আংশিকভাবে একটি জাতীয়, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার জন্য গণহত্যার কথা বলেছে।
এ গণহত্যা চালানোর সময় বসনিয়া ও সুদান এবং ইরাক এবং সিরিয়ায় ইয়াজিদ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিষয়ে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তার মিল পাওয়া যায়। জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন বলেছে, রাখাইন রাজ্যে অপরাধের এবং তারা যে পদ্ধতিতে নিপীড়িত হয়েছিল তা একই রকম ও প্রকৃতির।
গণহত্যার অভিপ্রায়কে অন্য প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্ঠা চালানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চূড়ান্ত ২০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী কমান্ডের সিনিয়র কর্মকর্তাদের তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনতে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে, যাতে একজন উপযুক্ত আদালত গণধর্ষণের ব্যাপারে তাদের বিচার করা যাবে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মিয়ানমারের সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল টুন টুন ননি বলেন, তিনি অবিলম্বে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না।